ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

রাস্তা দিয়ে হেঁটে গেলে বৃদ্ধরা মাথায় হাত দিয়ে দোয়া করেন: নিক্সন চৌধুরী

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২৩
রাস্তা দিয়ে হেঁটে গেলে বৃদ্ধরা মাথায় হাত দিয়ে দোয়া করেন: নিক্সন চৌধুরী

ফরিদপুর: ফরিদপুর-৪ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী বলেছেন, রাস্তা দিয়ে হেঁটে গেলে মায়ের কোল থেকে চার বছরের বাচ্চা বলে, ওই যে নিক্সন যায়, ১৩-১৪ বছরের কিশোর সামনে এসে বলে দোস্ত কই যান, বৃদ্ধরা সামনে এসে মাথায় হাত দিয়ে দোয়া করেন।  

তিনি বলেন, আমি নিক্সন চৌধুরী সংসদ সদস্যের সঙ্গে চার বছরের শিশুর সম্পর্ক তৈরি করেছি, ওই কিশোরদের সঙ্গে সংসদ সদস্যের সম্পর্ক তৈরি করেছি, বৃদ্ধ বাবা-চাচাদের সঙ্গে সংসদ সদস্যের  সম্পর্ক তৈরি করেছি।

আর আগে আপনাদের হেভিওয়েট এমপি ছিলেন, যারা জনগণের সঙ্গে হাত মিলিয়ে টিস্যু দিয়ে হাত মুছতেন। যান বাংলাদেশের ৩০০ আসনে, কোথায় আছে এমপির সঙ্গে চার বছরের শিশুর সম্পর্ক। অনেক জায়গায় এমপির নামও জানে না।

বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের মজুমদার বাজার ফকিরবাড়ি ঈদগাঁ মাঠে আয়োজিত উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  

ফরিদপুর-৪ আসনের জনগণকে উদ্দেশ্য করে নিক্সন চৌধুরী বলেন, গত ১০ বছর আপনারা দায়িত্ব দিয়েছিলেন, আমি ইমানের সঙ্গে সেই দায়িত্ব পালন করেছি। উন্নয়ন করেছি, জনগণের মূল্যায়ন করেছি। যখন আপনারা দায়িত্ব দেন, তখন প্রতিটি ইউনিয়নে ৭০-৮০টা করে বাঁশের সাঁকো ছিল, রাস্তা-ঘাট ছিল বিধ্বস্ত। আর এখন কী অবস্থা, তা আপনারা নিজের চোখে দেখছেন। আমি নিক্সন চৌধুরী আমার ইমানি দায়িত্ব পালন করেছি, উন্নয়ন করেছি, মূল্যায়ন করেছি। যদি আপনারা উন্নয়নে ভোট দেন, মূল্যায়নে ভোট দেন, তাহলে সেই ভোটের দাবিদার আমি নিক্সন। আপনাদের ভোট আমার হক। নিক্সন চৌধুরীকে যদি ভোট না দেন, তাহলে আগামীতে কোনো এমপি উন্নয়ন ও মূল্যায়ন কোনোটাই করবে না।  

যুবলীগের এ প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, করোনার সময় যখন ভাইয়ের মৃত্যুর খবরে ভাই যায় নাই, তখন আমার বৃদ্ধ মা ও শিশু সন্তানকে রেখে নিজে গাড়ি চালিয়ে আপনাদের মাঝে এসেছি, দিনমজুর ভাইদের খাবার ব্যবস্থা করেছি, যারা লাইনে দাঁড়িয়ে খাবার নিতে পারেন না, তাদের জন্য হটলাইন চালু করেছি। কল করলে বাড়ির উঠানে খাবার পৌঁছে দিয়ে আসছি। গত ১০ বছরে একটা ঈদও আমি সন্তানদের সঙ্গে করিনি, আপনাদের ৩ থানার মানুষের সঙ্গে করেছি। কিন্তু আজ যেসব হেভিওয়েটরা আপনাদের কাছে ভোট চান, ওই সময়ে তারা কোথায় ছিলেন? একটিবারও তো আসেনি আপনাদের দেখতে। এখন ভোটের সময় এসে ভোট চাচ্ছেন -লজ্জা করে না। প্রতিবছর আমার নির্বাচনী এলাকার ৪-৫ ইউনিয়ন বর্ষাকালে পানিতে ডুবে যায়, মানুষ অসহায় হয়ে পড়ে। কোনো দিনতো ওই হেভিওয়েট প্রার্থীকে ২ কেজি চাল নিয়ে বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াতে দেখিনি, আমিতো নিজে চালের বস্তা মাথায় নিয়ে বোট নিয়ে বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছে দিয়েছি। ’

নিক্সন চৌধুরী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর এক বোন আমার দাদি, আরেক বোন আমার নানি। আমার বাবা-মা আপন খালাতো ভাই-বোন। আমার শরীরে বঙ্গবন্ধুর রক্ত। আমরাই আসল নৌকার লোক। আমার ফুফু কাজী কাকাকে প্রতিবারই নৌকা দেন, কিন্তু বৈঠাটা দেন আমাকে। কাকা নৌকা নিয়ে টালমাটাল হয়ে যান, আর আমি বৈঠা নিয়ে কলাগাছের ভেলা বানিয়ে গাঙ পাড় হয়ে যাই।  

উঠান বৈঠকে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোকাদ্দেস ফকিরের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী শফিকুর রহমান, জেলা পরিষদ সদস্য ইখলাস ফকির, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শাহেদীদ গামাল লিপু, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জিনিয়া নাজনীন কল্পনা, সংরক্ষিত জেলা পরিষদ সদস্যা কোহিনুর বেগমসহ সদরপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২৩
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।