ঢাকা: জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে চলছে নির্বাচনী প্রচারণা। আওয়ামী লীগেরও স্বতন্ত্র প্রার্থীর আধিক্য থাকায় এবারের ভোটের ময়দান জমজমাট।
রাজধানীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রার্থী ঢাকা-১৪ আসনে। আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ দলীয় প্রার্থী ৮ জন। স্বতন্ত্র প্রার্থী ৫। মোট ১৩ প্রার্থীর এ আসনে নির্বাচনী আচরণবিধি ভাঙার হিড়িক লেগেছে। যে যার মতো আচরণ ভঙ্গ করছেন বলে আসনের স্থানীয়দের অভিযোগ রয়েছে।
আসনটির বিভিন্ন স্থানে ঘুরে প্রার্থীদের আচরণবিধি ভাঙার মতো কার্যক্রম দেখেছে বাংলানিউজও।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৭, ৮, ৯, ১০, ১১, ১২ ও সাভার উপজেলার কাউন্দিয়া ইউনিয়ন নিয়ে ঢাকা-১৪ আসন গঠিত। আসনের মোট ভোটার ৪ লাখ ১৮ হাজার ২১৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ১৩ হাজার ৪৬৯; নারী ভোটার ২ লাখ চার হাজার ৭৪৪ জন। হিজড়া ভোটার আছে ৪ জন।
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে সংসদে আসন বাগাতে প্রার্থিতা করছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল (নৌকা), জাতীয় পার্টির আলমাস উদ্দিন (লাঙ্গল), জাসদের আবু হানিফ (মশাল), তৃণমূল বিএনপির নাজমুল ইসলাম (সোনালী আঁশ), বিএনএফের কামরুল ইসলাম (টেলিভিশন), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মাহবুব মোড়ল (আম), বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমেদ (একতারা), সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের আসিফ হোসেন (ছড়ি), স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবিনা আক্তার তুহিন (ট্রাক), লুৎফর রহমান (কেটলি), জেড আই রাসেল (ঈগল), এমরুল কায়েস খান (রকেট), মোহাম্মদ মহিবুল্লাহ (দালান) ও কাজী ফরিদুল হক (বাঁশি)।
আসনের হেভিওয়েট প্রার্থী আওয়ামী লীগের সরাসরি মনোনীত মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল। ২০১৯ সালের ২৩ নভেম্বর বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সপ্তম জাতীয় কংগ্রেসে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। নিখিল ১৯৮০ সালের দিকে লালবাগ থানা ছাত্রলীগের কর্মী ছিলেন। ১৯৮৭ সালে যোগ দেন যুবলীগে। তৎকালীন ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের একটি আহ্বায়ক কমিটি ছিল। কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন নিখিল। তিনি ১৯৯৪ সালে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ২০০৩ সালে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
নিখিলকে পাল্লা দেবেন আরেক হেভিওয়েট ও দশম জাতীয় সংসদের ৩৫ নম্বর সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সাবিনা আক্তার তুহিন। তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতি করলেও দলটিতে নেই। ২০২২ সালের ১১ ডিসেম্বর যুব মহিলা লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক সাংগঠনিক অদক্ষতা, সংগঠনের নিয়ম শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে নিয়ােজিত এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সভাপতিসহ কার্যনির্বাহী কমিটির নেতৃবৃন্দকে নিয়ে মানহানিকর বক্তব্য প্রদানের কারণে তুহিনকে যুব মহিলা লীগের ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী তিনি।
প্রার্থীদের মধ্যে আচরণবিধি ভাঙার অভিযোগ নিখিলের লোকজনের বিরুদ্ধেই বেশি। কেননা, মিরপুর-১৪ আসনে মাইনুল হোসেন খান নিখিলের নির্বাচনী ক্যাম্পই সবচেয়ে বেশি। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৯, ৮ ও ৭ ওয়ার্ডে সবচেয়ে বেশি ক্যাম্প পরিচালনা করা হচ্ছে তার নামে। এ ছাড়া ১১-১২ নম্বর ওয়ার্ডেও বেশ কয়েকটি নির্বাচনী ক্যাম্প আছে তার। এসব ক্যাম্পে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সকাল থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত অবস্থান করেন। তারা নির্বাচনের বিভিন্ন ধরনের গান চালু রাখেন এসব ক্যাম্পে। মাঝে মাঝে সেখানে হিন্দি গান বাজতে শোনা গেছে।
অভিযোগ আছে, প্রচারণার জন্য নেতাকর্মীরা রাস্তার ওপর গ্যাদারিং করেন। যে কারণে চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে। রাত ১২টা, ১টা পর্যন্ত গান চালিয়ে রাখায় স্থানীয়দের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটছে। এমন অভিযোগ সবচেয়ে বেশি পাওয়া গেছে ১১ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে।
আচরণবিধি অনুযায়ী নির্বাচনী প্রচারে কোনো ধরনের গেট বা তোরণ নির্মাণ করা যাবে না। কিন্তু নিখিলের নামে বেশ কয়েকটি তোরণ দেখা গেছে। একটি তোরণ আসনের মাজার রোডের প্রবেশপথে; অপরটি ৭ নম্বর ওয়ার্ডে নৌকার নির্বাচনী কার্যালয়ের সামনে।
৯ নম্বর ওয়ার্ডভুক্ত গাবতলী এলাকায় নৌকার প্রধান নির্বাচনী কার্যালয় বাগবাড়ী কারমাইকেল রোডের বিউটি কমিউনিটি সেন্টারের নিচতলায়। তা ছাড়া বেড়িবাঁধের বেষ্টনী প্রকল্প মার্কেটের সামনে ও বেড়িবাঁধের দুই পাশে আরও চারটি নির্বাচনী ক্যাম্প রয়েছে আওয়ামী লীগের।
৮ নম্বর ওয়ার্ডের বেশির ভাগ এলাকা মিরপুর-১ নম্বর সেকশনের আওতাধীন। এখানে নৌকার প্রধান নির্বাচনী কার্যালয় চিড়িয়াখানা রোডের ঈদগাহ মাঠের সামনে। এই ওয়ার্ডের চিড়িয়াখানা রোডের প্রবেশ পথে পশ্চিম পাশে এমআরসি মেঘালয় ভবনের সামনে প্রচারণা ক্যাম্প, গুদারাঘাট, বক্সনগর মোড়, বিআইএসএফের ভবনের উল্টো পাশে, বিসিআইসি কলেজের ফটকের পাশে এবং মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে ছয়টি নির্বাচনী ক্যাম্প করা হয়েছে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে। একটি ওয়ার্ডে নিখিলের প্রচারণা ক্যাম্প করা হয়েছে সাতটি। যার মধ্যে ছয়টি সড়ক ও ফুটপাতের জায়গা দখল করে করা হয়েছে।
চিড়িয়াখানা রোডের ঈদগাহ মাঠের পশ্চিম পাশে রাস্তা ও ফুটপাত দখল করে স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাকের প্রচারণা অস্থায়ী ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে। এই ওয়ার্ডের তার ও খাম্বাগুলোয় দড়ি দিয়ে ঝোলানো হয়েছে নৌকা, ট্রাক, লাঙ্গল, বাঁশি, দালান মার্কার প্রার্থীদের পোস্টার। এক নম্বর বাস স্ট্যান্ডে ফুট ওভার ব্রিজের নিচে স্বতন্ত্র প্রার্থী রকেট মার্কার পোস্টার ছিঁড়ে ফেল হয়েছে।
প্রচারণার কাজে প্রতিবন্ধীদেরও ব্যবহার করা হচ্ছে। ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মিরপুর-১ নম্বরের বাস স্ট্যান্ডে দেখা গেছে এক দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ও তার স্ত্রী নৌকার প্রার্থী নিখিলের লিফলেট বিতরণ করছেন। ওই ব্যক্তির নাম মো. সেলিম। পরিচয় দিয়ে কথা বলে জানা গেল, সেলিম আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রার্থী নিখিলকে ভালোবাসেন। তিনি বলেন, আমি চোখে না দেখলেও আমার বউকে সাথে নিয়ে নৌকার পক্ষে লিফলেট বিলি করে যাচ্ছি ও মানুষের কাছে নৌকার জন্য ভোট চাচ্ছি। সকাল থেকে রাত দশটা পর্যন্ত নিখিল ভাইয়ের নির্দেশে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি।
৭ নম্বর ওয়ার্ডের রূপনগর আবাসিক এলাকার ১ নম্বর সড়কে নির্মাণাধীন সিটি সেন্টারের ভবনের নিচতলায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়। এটিসহ এই ওয়ার্ডে নৌকার প্রার্থীর ছয়টি নির্বাচনী কার্যালয় দেখা গেছে। ক্যাম্প থাকলও এসবে কোনো নেতাকর্মীদের দেখা যায়নি। এই ওয়ার্ডের ঝিলপাড় বস্তির সামনের সড়ক ও ফুটপাত দখল করে ক্যাম্প করা হয়েছে। ওয়ার্ডের মনিপুর উচ্চবিদ্যালয় রূপনগর শাখার সামনের ফুটপাতে, রূপনগর ১১ নম্বর সড়কের ফুটপাতে ও ফুটপাত দখল করে আরেকটি কার্যালয় করা হয়েছে। এছাড়া ওয়ার্ডের রজনীগন্ধা মার্কেটের পাশের ফুটপাতে এবং রূপনগর ১০ নম্বর রোডের প্রবেশমুখে সড়কের অর্ধেক অংশ দখল করে আরেকটি কার্যালয়ের কাঠামো তৈরি করে রাখা হয়েছে। কোথাও কোনো নেতাকর্মীকে দেখা যায়নি।
স্থানীয়রা বলছেন, ফুটপাথের জায়গা দখল করে নির্বাচনী ক্যাম্প করলেও সেগুলো নিষ্ক্রিয়। কোনো কাজই হচ্ছে না। অযথা এসব করে জনগণের ক্ষতি করার কারণ কি? সময় নষ্ট, অর্থ নষ্ট সাধারণের যেমন হচ্ছে, তেমনি প্রার্থীরও তো হচ্ছে। যুবলীগের বর্তমান ও সাবেক দুই প্রার্থী ভোটযুদ্ধে নামলেও নৌকার প্রার্থী হিসেবে নিখিলের প্রভাব সবচেয়ে বেশি। পুরো ১৪ আসনে তার প্রচার-প্রচারণাই সবচেয়ে বেশি হচ্ছে। সে তুলনায় তুহিন, আলমাস, হানিফ, নাজমুল, কামরুল, মাহবুব, সাইফুদ্দিন, আসিফ, লুৎফর, রাসেল, কায়েস, মহিবুল্লাহ বা কাজী ফরিদুলের প্রচার-প্রচারণা প্রায় দেখাই যাচ্ছে না।
রূপনগর ১২ নম্বর সড়কের সোনার বাংলা মার্কেটের সামনে সড়ক ও ফুটপাত দখল করে পাশাপাশি দুটি নির্বাচনী কার্যালয় করা হয়েছে। ৭ নম্বর ওয়ার্ডে নৌকার সব কটি নির্বাচনী কার্যালয়ই আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে বানানো হয়েছে। অস্থায়ী নির্বাচনী প্রচারণা ক্যাম্পে খুঁজে পাওয়া যায়নি কোনো নেতাকর্মীকে।
শিয়াল বাড়ি পাঁচ নম্বর রোডে স্বতন্ত্র প্রার্থী জেড আই রাসেলের (ঈগল) একটি প্রচারণা ক্যাম্প দেখা গেছে। এখানেও রাস্তা দখল করে তৈরি করা হয়েছে ক্যাম্পটি নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়াও রূপনগর আবাসিক এলাকার ২৪ নম্বর রোডেও রয়েছে এ প্রার্থীর আরও একটি প্রচারণা ক্যাম্প।
৭ নম্বর ওয়ার্ডের ঈগল মার্কার প্রচারণার প্রধান সমন্বয়ক ওবায়দুল হক বাংলানিউজকে বলেন, এই ওয়ার্ডে আমাদের দুটি প্রচারণা ক্যাম্প রয়েছে। আওয়ামী লীগের প্রার্থীর এই ওয়ার্ডে অনেক ক্যাম্প রয়েছে। তারা এর মধ্যে বেশ কিছু ক্যাম্পে প্রচারণা বন্ধ করে দিয়েছে। বন্ধ হয়ে যাওয়া ক্যাম্পগুলোর শিয়ালবাড়ি রাস্তা থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। আর রূপনগর আবাসিক এলাকায় ক্যাম্পগুলোর থাকলেও এখানে কোনো নেতাকর্মী নেই। আমরা রূপনগর আবাসিক এলাকার ২৪ নম্বর রোডের ক্যাম্পটি সরিয়ে ফেলবো। আমরা নির্বাচনী আচরণবিধি ভাঙতে চাই না।
এই ওয়ার্ডের নৌকার প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যক্রম সমন্বয়ক ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আবদুল হাই হারুন বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের একটাই প্রধান কার্যালয়। অন্য কাউকে নির্বাচনী ক্যাম্প করতে বলিনি। অতি উৎসাহী লোকজন তারা বানিয়েছে। তারাই সেগুলোয় বসে।
অন্যান্য ওয়ার্ডগুলোর ক্যাম্প সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পুরো ঢাকা-১৪ আসনে নৌকার বিজয় ঘটাতে নেতাকর্মীরা একাট্টা। যে কারণে সবাই নিজেদের মতো করে নির্বাচনী ক্যাম্প নির্মাণ করেছেন। মাইনুল হোসেন খান নিখিলের নির্দেশে এসব ক্যাম্প পরিচালিত হচ্ছে। তবে, আচরণবিধি ভাঙার ব্যাপারে প্রশ্ন করলে কেউ কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
নির্বাচনী আচরণবিধি ভাঙার বিষয় কথা বলতে নৌকার প্রার্থী মাইনুল হোসেন খান নিখিলকে বেশ কয়েকবার কল করে বাংলানিউজ। কিন্তু তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরে তার একান্ত সচিব ও যুবলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মো. মুক্তার হোসেন চৌধুরীর (কামাল) সঙ্গে যোগাযোগ করে বাংলানিউজ।
তিনি বলেন, ঢাকার অন্য আসনগুলোর তুলনায় ১৪ নম্বরে প্রার্থীও বেশি; নির্বাচনের আমেজটাও বেশি। নৌকার হেভিওয়েট প্রার্থী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি (নিখিল) দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে রাজনীতি করছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর আস্থাভাজন ও গরিব-মেহনতি মানুষের বন্ধু। এই দৃষ্টিকোণ থেকে তার জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। তাই তার প্রচার প্রচারণাও বেশি। সাত নম্বর ওয়ার্ডে যেসব নির্বাচনী অস্থায়ী ক্যাম্প করা হয়েছে, সে বিষয়ে আমরা ওয়াকিবহাল রয়েছি। আমাদের অজান্তেই পাড়া-মহল্লায় ক্যাম্পগুলো তৈরি হচ্ছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে আমাদের একটি করে নির্বাচনী প্রচারণা ক্যাম্প আছে। নির্বাচন কমিশন থেকে ম্যাজিস্ট্রেট যখন আমাদেরকে জানিয়েছেন তখনই আমরা ক্যাম্প সরিয়ে ফেলেছি। (রূপনগর এলাকার ক্যাম্পের বিষয়টিও অস্বীকার করে) রূপনগরে আমাদের কোনো ক্যাম্প নেই, সব সরিয়ে ফেলেছি। গলিতেও যেসব ক্যাম্প ছিল সেগুলোও সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
তোরণের বিষয় জানতে চাইলে মুক্তার বলেন, নির্বাচন কমিশন থেকে যখন আমাদের জানানো হলো, তখনই বিষয়টি তদন্তের জন্য লোক পাঠিয়েছি। ওখানে কোনো তোরণ দেখা যায়নি। যদি আমাদের অজান্তে কেউ তোরণের ব্যবস্থা করে থাকে তাহলে খুলে ফেলতে বলবো।
বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, প্রার্থী বার তার সমর্থকরা যদি নির্বাচনী আচরণবিধি ভাঙেন; বা তাদের কার্যক্রমের কারণে সাধারণ জনগণের ভোগান্তি হয়- কমিশন ব্যবস্থা নেয়। ঢাকা-১৪ আসনে এমন কিছু হয়ে থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০২৩
এমএমআই/এমজে