রাজবাড়ী: রাজবাড়ী জেলার দুইটি সংসদীয় আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটের ফলাফলের ভিত্তিতে জাতীয় পার্টির দুই প্রার্থীসহ মোট আটজন প্রার্থীর জামানত হারাচ্ছেন।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে রাজবাড়ী জেলা নির্বাচন অফিসার মো. অলিউল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ভোট কাস্টিংয়ের আট ভাগের একভাগ ভোট না পেলে ওই প্রার্থী জামানত হারাবেন। সে হিসাবে রাজবাড়ী-১ ও রাজবাড়ী-২ দুই সংসদীয় আসনে বিজয়ী ও নিকটতম প্রার্থী ছাড়া আট প্রার্থীই জামানত হারিয়েছেন।
জানা গেছে, রাজবাড়ী-১ (রাজবাড়ী সদর ও গোয়ালন্দ) আসনে আওয়ামী লীগসহ ছয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কাজী কেরামত আলী (নৌকা) ৯৭ হাজার ৩৪ ভোট পেয়ে ৬ষ্ঠ বারের মতো এমপি নির্বাচিত নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইমদাদুল হক বিশ্বাস ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৫৩ হাজার ১৩২ ভোট।
এ আসনে এক লাখ ৫৯ হাজার ৫৮৪ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
জামানত হারানো প্রার্থীরা হলেন- জাতীয় পার্টির প্রার্থী অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান বাচ্চু, তিনি লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন এক হাজার ৬১৮ ভোট। তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী ডিএম মজিবুর রহমান সোনালী আঁশ প্রতীকে পেয়েছেন দুই হাজার ৯১ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী স্বপন সরকার ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ৪৮৭ ভোট ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মান্নান মুসল্লী ঢেঁকি প্রতীকে পেয়েছেন দুই হাজার ৫৫২ ভোট।
রাজবাড়ী-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. জিল্লুল হাকিম নৌকা প্রতীক নিয়ে দুই লাখ ৩১ হাজার ৮৮৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। এ বিজয়ে তিনি পঞ্চমবারের মতো এমপি নির্বাচিত হলেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী হক ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ৪৬ হাজার ৪৬৬ ভোট।
জামানত হারানো প্রার্থীরা হলেন- জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. শফিউল আজম খান, তিনি লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন দুই হাজার ৫৩৪ ভোট। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) মনোনীত প্রার্থী মো. আব্দুল মতিন মিয়া মশাল প্রতীকে পেয়েছেন দুই হাজার ৬০২ ভোট, তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী এস এম ফজলুল হক সোনালী আঁশ প্রতীকে পেয়েছেন ৭৬৫ ভোট ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের মো. আব্দুল মালেক মণ্ডল ছড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ৮৪৭ ভোট।
রাজবাড়ী-২ আসনে মোট দুই লাখ ৯১ হাজার ২৩৮ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।
উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমাদানের সময় ইসির নির্ধারিত ২০ হাজার টাকা করে জামানত দিতে হয়েছিল। সেই হিসাবে রাজবাড়ী-১ আসনের চারজন এবং রাজবাড়ী-২ আসনের চার জনসহ জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়া আটজন প্রার্থীর কাছ থেকে মোট এক লাখ ৬০ হাজার টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হলো।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৮, ২০২৪
এসএম