ঢাকা: ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা সিটিসহ বিভিন্ন স্থানীয় সরকারের ২৩১টি নির্বাচন শেষ হলো বিচ্ছিন্ন সহিংস ঘটনার মধ্য দিয়ে। এখন চলছে গণনা।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানিয়েছেন, শনিবার (৯ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এক্ষেত্রে ভোটকেন্দ্রের চৌহদ্দির মধ্যে যারা থাকবেন, বিকেল ৪টার পরও তাদের ভোট নেওয়া হবে। ভোট শেষ হলে মোট ভোট পড়ার হার জানানো যাবে।
তিনি বলেন, প্রথম ছয় ঘণ্টায় ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৪২ শতাংশ ও কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে ৩৩ শতাংশ ভোট পড়েছে।
এর আগে দুপুর একটার দিকে তিনি জানিয়েছিলেন প্রথম চার ঘণ্টায় (১২টা পর্যন্ত) ময়মনসিংহে ২৭ ও কুমিল্লায় ২৫ শতাংশ ভোট পড়েছে।
দেশের ২৩১ টি স্থানীয় নির্বাচনে গুলির ঘটনাসহ কিছু সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটে। এসব ঘটনায় ৪৫ জনকে আটক করেছে আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে ইসি।
কুমিল্লা সিটি নির্বাচনেই সবচেয়ে সাংঘর্ষিক ঘটনা ঘটেছে। এখানে ‘ছাত্রলীগ নেতার’ গুলিতে দুজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। মেয়র প্রার্থী মুনিরুল হক সাক্কু তার এজেন্টদের বের করে দেওয়ারও অভিযোগ করেছেন।
ময়মনসিংহ সিটি নির্বাচনে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ইকরামুল হক টিটু, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম, শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সাদেকুল হক খান (টজু), জাতীয় পার্টির প্রার্থী শহীদুল ইসলাম ও কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাবেক সদস্য কৃষিবিদ রেজাউল হক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১২৮টি ভোটকেন্দ্রে তিন লাখ ৩৬ হাজার ৪৯০ জন ভোট দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। এদের মধ্যে এক লাখ ৬৩ হাজার ৮৭১ জন পুরুষ এবং এক লাখ ৭২ হাজার ৬১০ জন নারী। এছাড়াও তৃতীয় লিঙ্গের নয়জন ভোটার।
অন্যদিকে কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে চার স্বতন্ত্র প্রার্থী-তাহসীন বাহার, নূর-উর রহমান মাহমুদ তানিম, মোহাম্মত নিজাম উদ্দিন ও মো. মুনিরুল হক সাক্কু প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এতে দুই লাখ ৪২ হাজার ৪৫৮ জন ভোটার ১০৫টি কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। এদের মধ্যে পুরুষ এক লাখ ১৮ হাজার ১৮২ জন, নারী এক লাখ ২৪ হাজার ২৭৪ জন ও হিজড়া দুজন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৩ ঘণ্টা, মার্চ ৯, ২০২৪
ইইউডি/এমজে