ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি শাজাহান খানের ছেলে ও ভাই

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০২৪
মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি শাজাহান খানের ছেলে ও ভাই

মাদারীপুর: মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে মাদারীপুর সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে কেউই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন এমপি শাজাহান খানের ছেলে আসিবুর রহমান খান ও তার চাচাতো ভাই পাভেলুর রহমান খান শফিক।

 

এমপি মন্ত্রীদের পরিবারের সদস্য এবং আত্মীয়-স্বজনদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে বলা হলেও মাদারীপুর সদর উপজেলার দুই প্রার্থীর কেউই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি।

অন্যদিকে মাদারীপুর জেলার শিবচরে তিনটি পদেই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন প্রতিদ্বন্দ্বীরা। ফলে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে আর ভোটের দরকার হচ্ছে না।

এছাড়া মাদারীপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুই প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। তারা হলেন জাহিদ হোসেন ও মো. মোকলেছুর রহমান।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন মাদারীপুর-২ আসনের এমপি শাজাহান খানের বড় ছেলে মো. আসিবুর রহমান খান এবং তার চাচাতো ভাই পাভেলুর রহমান শফিক খান। শাজাহান খানের বড় ছেলে আসিবুর রহমান খান বাংলাদেশ যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরী সদস্য এবং শাজাহান খানের চাচাতো ভাই পাভেলুর রহমান শফিক খান সদর উপজেলা পরিষদের দুইবারের সাবেক চেয়ারম্যান ও মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।

এমপি মন্ত্রীদের পরিবারের সদস্য এবং আত্মীয়-স্বজনদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে বলা হলেও মাদারীপুর সদর উপজেলার দুই প্রার্থীর কেউই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি।

আসিবুর রহমান বলেন, 'জনপ্রতিনিধি ও দলের প্রতিনিধিরা তাকে প্রার্থী করেছেন। জনসেবায় জনগণের আস্থা রয়েছে তার পরিবারের ওপর। তিনি নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত তিনি মাঠেই থাকবেন। এছাড়াও তিনি বিজয়ী হবেন বলে শতভাগ আশাবাদী। '

অন্যদিকে পাভেলুর রহমান শফিক খান বলেন, 'আমি দুবার উপজেলার চেয়ারম্যান ছিলাম। ছোটবেলা থেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে রয়েছি। শেষ পর্যন্ত আমি নির্বাচনে থাকবো। যেখানে মানুষ আমাকে অনেক ভালোবাসেন, তাতে আল্লাহর রহমতে আমি আবারও বিজয়ী হব। '

স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান বলেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত ছিল নির্বাচন সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে কোনো দলীয় প্রতীক থাকবে না, সে অনুযায়ী যার যার মতে তারা প্রার্থী হয়েছেন। অন্যান্য জায়গারটা আমি বলতে পারবো না। এবার মাদারীপুর সদর উপজেলায় মাত্র দুজন প্রার্থী রয়েছেন একজন আমার বড় ছেলে আসিবুর রহমান খান আরেকজন আমার আপন চাচাতো ভাই শফিক খান। এখন প্রশ্ন হলো দলীয় সিদ্ধান্ত যদি এটা হয় যে, সন্তান বা স্বজন তাদের প্রত্যেককে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করতে হবে। তাহলে মাদারীপুরে একজন আমার সন্তান আর আরেকজন আমার স্বজন। তাহলে দুজনকেই তো প্রত্যাহার করতে হবে। দুজনকে প্রত্যাহার করতে হলে একটি শূন্যতার সৃষ্টি হবে। সেক্ষেত্রে কি হবে এ সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি। তবে আমি মনে করি, একটি গণতান্ত্রিক অধিকার সবার আছে সেই বিষয়টিও দলের পক্ষ থেকে বিবেচনায় নিবেন বলে আমি বিশ্বাস করি। '

নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আহমেদ আলী বলেন, মাদারীপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দুইজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। তাদের কেউই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি। দুই প্রার্থীর মধ্যেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। অন্যদিকে শিবচরে তিন প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করায় ওই উপজেলায় আর নির্বাচন হচ্ছে না। বিনা প্রতিন্দ্বন্দ্বিতায় শিবচরে সবাই নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন দিয়ে সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হবে। এ ছাড়া সদর ও রাজৈর উপজেলায় আগামীকাল মঙ্গলবার প্রতীক বরাদ্দ করা হবে। ভোট গ্রহণ হবে ৮ মে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০২৪
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।