ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইনের পরিবর্তন চান সাকি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪
রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইনের পরিবর্তন চান সাকি

ঢাকা: বিদ্যমান রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইন ও বিধিমালা নতুন রাজনৈতিক দল গড়ে তোলার অধিকারকে ক্ষুণ্ণ করে। তাই এই আইন ও বিধিমালা পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবের হাত থেকে গণসংহতি আন্দোলনের নিবন্ধন সনদ নেওয়ার পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

জোনায়েদ সাকি বলেন, আমরা ‘মাথাল’ প্রতীক হিসেবে গ্রহণ করেছি। প্রতীক ইসির আইনের মধ্য থেকে বাছাই করতে হয়েছে। আমরা মনে করি, এই আইনগুলো পরিবর্তন করা দরকার। পুরো নিবন্ধন বিধিমালাই পরিবর্তন করা দরকার। কারণ, দল নিবন্ধনের যে আইন ও বিধি তৈরি করা হয়েছে, তা জনগণের অধিকারকে ক্ষুণ্ণ করে, রাজনৈতিক দল গড়ে তোলার অধিকার ক্ষুণ্ণ করে। ফলে নিবন্ধন আইন পরিবর্তন করে সহজ করে তোলা এবং প্রতীক অবারিত করা যেন দল তার পছন্দসই প্রতীক বাছাই করতে পারে। আমরা ইতোমধ্যে দাবি জানিয়েছি, ভবিষ্যতেও আন্দোলন চালিয়ে যাব।



গণসংহতি আন্দোলনের নিবন্ধনের বিষয়ে দলটির প্রধান সমন্বয়কারী বলেন, নির্বাচন কমিশন সচিব আজ আমাদের কাছে নিবন্ধন সনদ হন্তান্তর করেছেন। দীর্ঘ সাড়ে ছয় বছর ধরে আমো বিগত সরকারের একটা নিবর্তনের মধ্য দিয়ে কাটিয়েছি। ২০১৭ সালে ৩১ ডিসেম্বর নিবন্ধনের জন্য আবেদন করি। সব শর্ত পূরণ করলেও ইসি থেকে বলা হয়, আমাদের গঠনতন্ত্রে অঙ্গ সংগঠন নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো বক্তব্য নেই। অঙ্গ সংগঠন যে থাকতে পারবে না, তা গঠনতন্ত্রে উল্লেখ করতে হবে। পরে আমরা দলের বর্ধিত সভা ডেকে গঠনতন্ত্রে বিষয়টি অন্তর্ভূক্ত করে ইসিতে জমা দিযেছি। কিন্তু ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কয়েক মাস আগে আমাদের চিঠি দিয়ে জানানো হলো যে, আমাদের নিবন্ধন দেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু কেন দেওয়া হচ্ছে না, তার কারণ চিঠিতে উল্লেখ করা ছিল না।

জোনায়েদ সাকি বলেন, আমারা আদালতে গেলে ২০১৯ সালের ১১ এপ্রিল রায় পাই যে, গণসংহতি আন্দোলনকে নিবন্ধন দিতে হবে এবং নিবন্ধন দেওয়া হয়নি, এটা অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। রায়ের লিখিত কপি পাওয়ার ৩০ দিনের (৩০ জুন) মধ্যে ইসিকে নিবন্ধন দেওয়ার আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। কিন্তু এরপর ছয় বছর কেটে গেলেও ইসি দেয়নি।

তিনি আরও বলেন, সেই রায়ের পর আমরা বারবার ইসিতে যোগাযোগ করেছি। সরকারের যে নিবর্তনমূলক বিষয়গুলো ছিল, দলগুলোর ওপর তারা একইভাবে যেভাবে ফ্যাসিস্ট কায়দায় জনগণের অধিকারকে হরণ করতে চেয়েছে, একই কায়দায় রাজনৈতিক দলও যাতে বিকশিত হতে না পারে, সেজন্য নানাভাবে যেন সংকুচিত করে রাখা যায়, সেটার অংশ হিসেবেই গণসংহতি আন্দোলনের নিবন্ধন আটকে রেখেছিল।

জোনায়েদ সাকি বলেন, নিবন্ধন নেই, এই অজুহাতে নানাভাবে জেলায় জেলায় আমাদের নেতাকর্মীদের হয়রানি করা হয়েছে। এইভাবে তারা চাপে রেখেছিল। পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশ মান্য করা হচ্ছে না, এই রকম দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশনও আবার আদালতের দ্বারস্থ হয়। তবে আপিল চালাতে আগ্রহী কি না, সরকার পতনের পর এই ইসির কাছে জানতে চাইলে তারা আপিল প্রত্যাহার করে নেয়। এভাবে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ইসি।

গণসংহতি আন্দোলন নিবন্ধন পাওয়ায় ইসিতে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা দাঁড়াল ৪৮টি।

আরও পড়ুন:
মাথাল প্রতীকে নিবন্ধন পেল গণসংহতি আন্দোলন

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪
ইইউডি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।