ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

রসিক নির্বাচন: প্রধানমন্ত্রীসহ ভিভিআইপিদের অর্থ ছাড় নয়

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ৬, ২০১৭
রসিক নির্বাচন: প্রধানমন্ত্রীসহ ভিভিআইপিদের অর্থ ছাড় নয়

ঢাকা: আসন্ন রংপুর সিটি করপোরেশনের (রসিক) নির্বাচনী এলাকায় প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারি সুবিধাভোগী অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের উন্নয়ন কাজের জন্য কোনো প্রকার অর্থ অবমুক্ত না করতে বলেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একইসঙ্গে সরকারকেও নির্বাচনী এলাকায় নতুন করে কোনো উন্নয়ন প্রকল্প হাতে না নেওয়ার নির্দেশনা পাঠিয়েছে সংস্থাটি।

ইসির সহকারী সচিব মো. রাজীব আহসানের স্বাক্ষরে জারি করা এক পরিপত্রে এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে- নির্বাচন পূর্ব সময়ে কোনো সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে রাজস্ব বা উন্নয়ন তহবিলভুক্ত কোনো প্রকল্পের অনুমোদন, ঘোষণা বা ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন কিংবা ফলক উন্মোচন করা যাবে না।

নির্বাচন পূর্ব সময় বলতে এখানে তফসিল ঘোষণার সময় থেকে নির্বাচনের ফল গেজেট আকারে প্রকাশ করা সময় পর্যন্ত বোঝানো হয়েছে।

নির্দেশনায় আরো বলা হয়েছে- নির্বাচনপূর্ব সময়ে কোনো সরকারি সুবিধাভোগী অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সরকারি বা আধা-সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের তহবিল থেকে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী বা প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে কোনো অনুদান বা বরাদ্দ প্রদান বা অর্থ অবমুক্ত করতে পারবে না।  

সিটি করপোরেশন নির্বাচন আচরণ বিধিমালায় সরকারি সুবিধাভোগী অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সংজ্ঞায়- প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় সংসদের স্পিকার, সরকারের মন্ত্রী, চিফ হুইপ, ডেপুটি স্পিকার, বিরোধী দলের নেতা, সংসদ উপনেতা, বিরোধী দলীয় উপনেতা, প্রতিমন্ত্রী, হুইপ, উপমন্ত্রী বা তাদের সমপদমর্যাদার কোনো ব্যক্তি, সংসদ সদস্য এবং সিটি করপোরেশনের মেয়রকে বোঝানো হয়েছে।

এদিকে নির্বাচন পূর্ব সময়ে সিটি করপোরেশনের মেয়র বা কাউন্সিলর বা অন্য কোনো পদধারী ব্যক্তিরাও সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশন এলাকায় উন্নয়নমূলক কোনো প্রকল্প অনুমোদন বা ইতিপূর্বে অনুমোদিত কোনো প্রকল্পে অর্থ অবমুক্ত করতে পারবেন না।

এছাড়া পরিপত্রে প্রার্থী আচরণ বিধি উল্লেখ করে বলা হয়েছে- মনোনয়পত্র জমা দেওয়া ও প্রার্থিতা প্রত্যাহারের বেলায় কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষের কোনো লোক বা কোনো সংস্থা বাধা প্রদান বা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারবে না।

প্রার্থী বা তার পক্ষের কেউ প্রচারণার জন্য কোনো প্রকার দেওয়াল লিখন, মুদ্রণ, ছাপচিত্র বা চিত্র অঙ্কন করতে পারবেন না। বিলবোর্ড, মিছিলে প্রচারণায়ও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। ঘরোয়া সভার ক্ষেত্রেও স্থানীয় পুলিশকে অবহিত করতে হবে। সড়কে পথসভার জন্য স্থাপন করা যাবে না কোনো মঞ্চ এবং আলোকসজ্জাও করা যাবে না। । প্যান্ডেল বা ক্যাম্প হবে ২৪ বর্গমিটারের মধ্যে।

অন্যদিকে উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রদান এবং দলীয় প্রধান ছাড়া হেলিকপ্টার ব্যবহার করা যাবে না। ধর্মীয় উপসনালয়ে চালানো যাবে না নির্বাচনী প্রচারণা। পোস্টার হবে সাদা-কালো, যার আয়তন ৬০ সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ হবে ৪৫ সেন্টিমিটার। মাইক বা শব্দের মাত্রা বর্ধনকারী যন্ত্রের মধ্যে প্রচার কাজ দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।

ইতিমধ্যে নির্দেশনা সম্বলিত পরিপত্রটি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে। যার অনুলিপি প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্য সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্ট সব দফতরে পাঠানো হয়েছে।

রসিক নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২২ নভেম্বর, রিটার্নিং কর্মকর্তা মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করবেন ২৫ ও ২৬ নভেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়েরের সময় ২৭-২৯ নভেম্বর, আপিল নিষ্পত্তি ৩০ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর। এছাড়া মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ৪ ডিসেম্বর এবং ভোটগ্রহণ ২১ ডিসেম্বর।

**রসিক নির্বাচন: দলগুলোকে মনোনয়নকারীর নাম দিতে বলেছে ইসি

বাংলাদেশ সময়: ০০১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১৭
ইইউডি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।