ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

স্থানীয় সরকারের ১৩৩টি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩৩০ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৮
স্থানীয় সরকারের ১৩৩টি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে গাজীপুরের একটি ভোটকেন্দ্র। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: বিভিন্ন স্থানীয় সরকারের মোট ১৩৩টি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। বৃহস্পতিবার (২৯ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে এ ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখা জানিয়েছে, ইউনিয়ন পরিষদ সাধারণ নির্বাচন ৪৭টি ও বিভিন্ন পদে উপ নির্বাচন/স্থগিত নির্বাচন ৭২টি, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচন ১টি, পৌরসভা সাধারণ নির্বাচন ৪টি ও বিভিন্ন পদে উপনির্বাচন/স্থগিত নির্বাচন ৭টি এবং খুলনা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাধারণ ওয়ার্ডের ১টি করে নির্বাচনসহ সর্বমোট ১৩৩টি নির্বাচন চলছে।

নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে আগে থেকেই সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছেন কমিশন।

কেন্দ্রগুলোতে মোতায়েন করা হয়েছে বিপুল সংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য।

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন
প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে একজন অফিসারসহ তিনজন পুলিশ, অস্ত্রসহ চারজন আনসার এবং অঙ্গীভূত আনসার/ভিডিপি সদস্য ১৩ জনসহ সর্বমোট ২০ জন মোতায়েন থাকবে। প্রতি ইউনিয়নে পুলিশ, এপিবিএন, ব্যাটালিয়ন আনসারের ২টি করে মোবাইল টিম, বিজিবি ১ প্লাটুন ও র‌্যাব এর ২টি করে টিম মোতায়েন থাকবে। এছাড়া পটুয়াখালী, বরগুনা ও সন্দ্বীপের জন্য ১ প্লাটুন কোস্টগার্ড সদস্য নিয়োজিত থাকবে। নির্বাচনে ৭৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়োজিত করা হয়েছে।

পৌরসভা নির্বাচন
সাধারণ কেন্দ্রে ৫ জন পুলিশ, অস্ত্রসহ ২ জন আনসার এবং অঙ্গীভূত আনসার/ভিডিপি সদস্য ১২ জন, সর্বমোট ১৯ জন মোতায়েন থাকবে। ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে ১জন অফিসারসহ ৬ জন পুলিশ, অস্ত্রসহ ২ জন আনসার এবং অঙ্গীভূত আনসার/ভিডিপি সদস্য ১২ জন, সর্বমোট ২০ জন মোতায়েন থাকবে। এছাড়া পুলিশ, এপিবিএন, ব্যাটালিয়ান আনসারের সমন্বয়ে মোবাইল টিম ৩২টি, স্ট্রাইকিং ফোর্স ৫টি, ১০ প্লাটুন বিজিবি ও র‌্যাব এর ১৭টি টিম মোতায়েন থাকবে। পৌরসভা নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ৩৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং ৪ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন
সাধারণ কেন্দ্রে ২ জন পুলিশ, অস্ত্রসহ ২ জন আনসার এবং অঙ্গীভূত আনসার/ভিডিপি সদস্য ১০ জন ও ১ জন গ্রাম পুলিশসহ সর্বমোট ১৫ জন মোতায়েন থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ৩ জন পুলিশ, অস্ত্রসহ ২ জন আনসার, এবং অঙ্গীভূত আনসার/ভিডিপি সদস্য ১০ জন ও ১ জন গ্রাম পুলিশসহ সর্বমোট ১৬ জন নিয়োজিত থাকবে। এছাড়া পুলিশ, এপিবিএন ব্যাটালিয়ান আনসারের সমন্বয়ে ১০টি মোবাইল টিম, স্ট্রাইকিং ফোর্স ৩টি, ৩ প্লাটুন বিজিবি ও র‌্যাব এর ৩টি টিম পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করবে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১০ জন এক্সিকিউটিভ ও ১ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে।

সিটি করপোরেশন নির্বাচন
সাধারণ কেন্দ্রে ৭ জন পুলিশ, অস্ত্রসহ ৩ জন আনসার এবং অঙ্গীভূত আনসার/ভিডিপি সদস্য ১২ জন, সর্বমোট ২২ জন মোতায়েন থাকবে। আর গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ৭ জন পুলিশ, অস্ত্রসহ ৫ জন আনসার এবং অঙ্গীভূত আনসার/ভিডিপি সদস্য ১২ জন, সর্বমোট ২৪ জন মোতায়েন থাকবে। এছাড়া চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৩৬ নং সাধারণ ওয়ার্ডের উপনির্বাচনে পুলিশের ৪টি ও র‌্যাবের ৩টি টিম ও খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ৬ নং সাধারণ ওয়ার্ডের উপনির্বাচনে পুলিশের ৩টি ও র‌্যাবের ২টি টিম স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোতায়েন থাকবে। সিটি কর্পোরেশনের প্রতি ওয়ার্ডে ১ জন করে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯২৯ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৮
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।