ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

গাজীপুর ও খুলনা সিটির ভোট ১৫ মে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮০৩ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১৮
গাজীপুর ও খুলনা সিটির ভোট ১৫ মে গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশনের লোগো

ঢাকা: গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন ১৫ মে অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মিডিয়া সেন্টারে নির্বাচনের এ তফসিল ঘোষণা করেন।

গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন ১৫ মে অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মিডিয়া সেন্টারে নির্বাচনের এ তফসিল ঘোষণা করেন।

এ সময় ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সিইসি বলেন, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ১২ এপ্রিল, বাছাই ১৫-১৮ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহার ২৩ এপ্রিল।

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের পাঁচ বছর মেয়াদ পূর্ণ হবে ৪ সেপ্টেম্বর আর খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়াদ শেষ হবে ২৫ সেপ্টেম্বর। এ ছাড়া সিলেটের ৮ অক্টোবর, রাজশাহী ৫ অক্টোবর ও বরিশালের ২৩ অক্টোবর।

আইন অনুযায়ী গাজীপুর সিটির নির্বাচনের দিন গণনা ৮ মার্চ ও খুলনা সিটির দিন গণনা ৩০ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে। এ কারণে কমিশন এ দু’টি সিটি করেপোরেশনের তফসিল ঘোষণা করছে।

গাজীপুর সিটি নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা করা হয়েছে ঢাকা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা রকিব উদ্দিন মন্ডলকে, আর খুলনার রিটার্নিং কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলীকে।

৫৭টি সাধারণ ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড নিয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশন গঠিত। ভোটার সংখ্যা ১১ লাখ ৬৪ হাজার ৪২৫।

খুলনা সিটিতে রয়েছে ৩১টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড। এ নির্বাচনে ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৪৫৪জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন।

এ দুই নির্বাচনে সীমিত আকারে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন এবং সিসিটিভি ব্যবহার করা হবে।

সিইসি বলেন, আগামী অক্টোবর মাসে সিলেট, রাজশাহী এবং বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়াদ উত্তীর্ণ হবে। ঈদুল ফিতরের পর এসব নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

কেএম নূরুল হুদা বলেন, যারা আগাম প্রচার চালাচ্ছেন, তাদের আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সব প্রচার সামগ্রী সরিয়ে ফেলতে হবে। নির্ধারিত সময়ের আগে কেউ প্রচারণা চালালে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হবে।

শনিবার (৩১ মার্চ) সকালে এক কমিশন বৈঠক করে সিইসি ওই দুই নির্বাচনের ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন।

বৃহস্পতিবার (২৯ মার্চ) অনুষ্ঠিত ১৩৩ স্থানীয় সরকার নির্বাচনের সহিংসতা প্রসঙ্গে কেএম নূরুল হুদা বলেন, একজন মানুষ মারা গেছেন। আমাদের কাছে প্রতিটি মানুষের জীবন অনেক মূল্যবান। কিছু সহিংসতা হয়েছে। তবে তা অনেক কম। আমরা আরো ভালো নির্বাচনের প্রত্যাশা করেছিলাম। ভবিষ্যতে আরো ভালো নির্বাচনের প্রচেষ্টা থাকবে।

স্থানীয় নির্বাচন দলীয়ভাবে হওয়ায় এমন হচ্ছে, এ বিষয়ে কমিশন কি মনে করে? সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, এটা সরকারের সিদ্ধান্ত। আমরা এর ধারাবাহিকতা রক্ষা করবো।

ছোট নির্বাচনে প্রাণহানী হলো, জাতীয় নির্বাচনে কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, জাতীয় নির্বাচনে সহিংসতা যাতে না হয়, সেজন্য বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১৮
ইইউডি/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।