ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

তারেকের ভিডিও কনফারেন্স’র অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা: ইসি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৮
তারেকের ভিডিও কনফারেন্স’র অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা: ইসি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান ও নির্বাচন কমিশনের কোলাজ ছবি

ঢাকা: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের ভিডিও কনফারেন্সের বিষয়ে কেউ প্রমাণসহ অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

নির্বাচন ভবনের নিজ কার্যালয়ে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম রোববার (১৮ নভেম্বর) সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করেন।

বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের এই নেতা সাজাপ্রাপ্ত ‘পলাতক’ আসামি হিসেবে লণ্ডনে আছেন।

সেখানে তিনি রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়েছেন।

আরও পড়ুন>> ভিডিও কনফারেন্সে সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন তারেক রহমান

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তিনি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সাক্ষাৎকার নিয়েছেন, তা করতে পারেন কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আপনারা বলেছেন, আমরা শুনেছি। আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত এই ধরনের কোনো কিছুকে মনিটরিং করার নিজস্ব ক্যাপাসিটি নেই। যদি কেউ তথ্য প্রমাণসহ আমাদের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ করেন, তাহলে আমরা আইনের মধ্যে থেকে যদি কিছু থাকে, তাহলে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষকে বলবো। আর যদি আইনের ভেতর কিছু না থাকে, তাহলে আমরা নিজেরা কমিশন বসে আমরা কি করতে পারি সেটা পর্যালোচনা করে দেখে তারপরে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবো।

তিনি বলেন, যদি কেউ তথ্য প্রমাণসহ আমাদের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ করেন, তাহলে পরে আমরা আইনের মধ্যে থেকে, যদি কিছু থাকে তাহলে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষকে বলবো।

তারেক রহমান যদি দেশে থাকতেন তাহলে তিনি ভিডিও কনফারেন্স করতে পারতেন কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে রফিকুল ইসলাম বলেন, যদি কোনো দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হন, তাহলে অবশ্যই তার জেলে বা পলাতক থাকার কথা। কেউ জেলে থাকলে এই ধরনের কাজ করার কথা না। জেল থেকে যদি উনি জামিনে আসতেন, তাহলে করলে পরে কোনো অসুবিধা ছিল না। কিন্তু এক্ষেত্রটা সম্পূর্ণ ভিন্ন। আইনের কাভারেজ কতটুকু কি আছে এগুলো দেখে আমরা একটি সিদ্ধান্ত নিতে পারবো।
বিএনপির জমা দেওয়া মামলার তালিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তালিকাটি আমি দেখিনি। আমরা দেখে সত্যিকারের অর্থে যদি কোনো হয়রানিমূলক মামলা হয়ে থাকে, তাহলে আমরা অবশ্যই পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশনা দেবো, যেন হয়রানিমূলক মামলা না করে। কেননা, হয়রানিমূলক মামলা করলে নির্বাচনের পরিবেশ কিছুটা হলেও বিনষ্ট হবে।

তিনি বলেন, ‘আসলে হয়রানিমূলক কিছু হয়ে থাকে কমিশন নির্দেশনা দেবে, এই ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য। ’

রফিকুল ইসলাম বলেন, রোববারের মধ্যে আগাম সব ধরনের নির্বাচনী প্রচারণা সরিয়ে ফেলতে হবে। যদি কেউ সরিয়ে না ফেলেন তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

প্রিজাইডিং ও সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের ফোন নিয়ে হরয়ানির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কমিশন থেকে এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়নি। যদি কেউ এই ধরনের কাজ করেন তাহলে অতি উৎসাহী হয়ে কাজ করছেন।

শনিবার (১৭ নভেম্বর) একটি জাতীয় দৈনিকে প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের পুলিশ ফোন দিয়ে ব্রিবত করছে বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।  

বিষয়টি নজরে আনলে রফিকুল ইসলাম বলেন, সংবাদে যে কর্মকর্তার কথা বলা হয়েছে আমি তার সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি আমাকে বলেছেন, ‘না স্যার, এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি’।

তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করা হবে। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ২৮ নভেম্বর, বাছাই ২ ডিসেম্বর। আর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ৯ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ১০ ডিসেম্বর।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৮
ইইউডি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।