ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

নির্বাচনে কনভিন্স-ম্যানেজই মূল চ্যালেঞ্জ: ইসি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৮
নির্বাচনে কনভিন্স-ম্যানেজই মূল চ্যালেঞ্জ: ইসি ইসি রফিকুল ইসলাম, ফাইল ফটো

ঢাকা: নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রফিকুল ইসলাম বলেছেন, নির্বাচনী প্রশাসন, রাজনৈতিক দলসহ সকলকে কনভিন্স ও ম্যানেজ করাই এই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মূল চ্যালেঞ্জ।

শুক্রবার (৩০ নভেম্বর) নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
 
এসময় রফিকুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন এমন একটা জিনিস, এখানে কোনো একটা বিষয় বাদ দিলেই সুষ্ঠুভাবে করা সম্ভব হবে না।

নির্বাচনটা ইঞ্জিনের মতো। একজন মেকানিককে যদি জিজ্ঞেস করেন ইঞ্জিনের কোন অংশ গুরুত্বপূর্ণ, তখন তিনি বলবেন, সব অংশই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ইঞ্জিনের একটা স্ক্রুও যদি না থাকে, তাহলে গাড়ি চলবে না। তেমনি নির্বাচনে যা যা আছে প্রত্যেকটা জিনিসই গুরুত্বপূর্ণ।

নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ কী-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে নির্বাচনী প্রশাসন। নির্বাচনী প্রশাসনের সঙ্গে বিশাল জনগোষ্ঠী জড়িত। পুরো এই বিশাল জনগোষ্ঠীকে এক জায়গায় এনে, একই সুরে একইভাবে কাজ করানো, এটা হচ্ছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

‘আমাদের হিসেব করতে হচ্ছে রাজনৈতিক দল যে লোকটাকে পোলিং এজেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেবে, তার নিয়োগপত্রটাও কিন্তু আমাদের দেখতে হবে। জিনিসটা পাওয়ার পর কাকে কোন স্টেশনে দেওয়া হলো, ওই জিনিসটা আমাদের পোলিং স্টেশনে পৌঁছাতে হবে। এগুলো সবগুলো হচ্ছে একটা বিশাল কর্মযজ্ঞ। ’

রফিকুল ইসলাম বলেন, মানুষ আমাদের কাছে খুব একটা ইম্পরট্যান্ট না। ইম্পরট্যান্ট হচ্ছে তার পেশাদারিত্ব। যদি পেশাদারিত্ব নিয়ে যেকোনো লোকই কাজ করেন, তাহলে কোন লোকটা কাজ করলেন, সেটা আমাদের দেখার বিষয় না। আমি রফিকুল ইসলাম কমিশনার হিসেবে আছি, এটা গুরুত্বপূর্ণ না। রফিকুল ইসলাম না, নির্বাচন কমিশনার হিসেবে আমার গুরুত্বটা। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) যিনি আছেন, নাম যাই হোক, ব্যক্তি উনি যাই হোক না কেনো, উনার পেশাদারিত্ব যদি ঠিক রাখেন, তাহলে নির্বাচনে তার ওপর প্রভাবটা স্টাবলিশড হয়ে যাবে। তিনি পেশাদারিত্ব নিয়ে দায়িত্ব পালন করবেন। আমরা ওই পেশাদারিত্বে জায়গাটাকে ঠিক করতে চাইছি।
 
‘সবকিছুকে ওলট-পালট করে দিয়ে এই পেশাদারিত্ব ঠিক করা যাবে বলে আমি মনে করি না। আমি মনে করি, উনি পেশাদারিত্ব নিয়ে উনার দায়িত্বটা পালন করছেন-এটা এনশিওর করছেন। ’
 
‘আমাদের বিরুদ্ধে তো শত শত অভিযোগ। আপনারা কি মনে করছেন- প্রতিটি অভিযোগ নিয়ে আমাদের দৌড়াতে হবে? কেনো আপনারা মনে করছেন, আমরা অভিযোগ আমলে নিচ্ছি না। যেমন দাবি আছে সব ওসিকে পরিবর্তন করা, ইউএনও, ডিসিকে পরিবর্তন করা। এদের পরিবর্তন করতে যে বিশাল বাজেট লাগবে, সরকারের অন্যান্য কার্যক্রম বিঘ্ন ঘটবে, আমরা কী এইসব করতে পারি!’
 
ইসি বলেন, আমরা সরকার নই, নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনকালীন হোক আর যেটা হোক, একটা সরকার আছে। সেই সরকারের কাছে নির্বাহী ক্ষমতা দেওয়া আছে সংবিধান অনুযায়ী। উনাদের দায়িত্ব তো আমাদের পালন করার কথা না। আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় যদি কেউ প্রভাব বিস্তার করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। তিনি সেক্রেটারিও যদি হন, আমরা ব্যবস্থা নেবো। আইজিপি হলেও ব্যবস্থা নেবো।

ঐক্যফ্রন্টের তালিকা সম্পর্কে সাবেক এই সচিব বলেন, ‘উনারা যে চিঠিপত্র দিয়েছেন, আমরা পর্যালোচনা করে দেখেছি। যেগুলোতে আমরা সন্তুষ্ট হয়েছি। সেগুলো আমলে নিয়ে কার্যকর করেছি। তাছাড়া হুট করে আমাকে একটা কাগজ ধরিয়ে দিলেন ব্যবস্থা নেন, আর আমি করবো, কয়েক মিনিট পরে করছি। এটা তো না। প্রক্রিয়া ছাড়া তো এটা করা সম্ভব না…।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৮
ইইউডি/টিএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।