ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

ইসির যুগ্ম-সচিবের বিরুদ্ধে ‘তেড়ে আসা’র অভিযোগ প্রার্থীর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৮
ইসির যুগ্ম-সচিবের বিরুদ্ধে ‘তেড়ে আসা’র অভিযোগ প্রার্থীর

ঢাকা: নির্বাচন কমিশনের আইন শাখার যুগ্ম-সচিব সেলিম মিয়ার ‍বিরুদ্ধে ‘তেড়ে এসে মারতে চাওয়ার’ অভিযোগ তুলেছেন এক স্বতন্ত্র প্রার্থী। প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার আপিলের শুনানি শেষে রায়ের কপি চাইতে গেলে প্রার্থী মো. সাদাকাত খান ফাক্কুর সঙ্গে এমন আচরণ করা হয়।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার কাছে মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর) এক লিখিত অভিযোগে এমনটি উল্লেখ করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান প্রার্থী ফাক্কু। ঢাকা-১৬ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন তিনি।

অভিযোগপত্রে ফাক্কু উল্লেখ করেন, গত ৮ ডিসেম্বর আপিল শুনানিতে তার মনোনয়নপত্র বাতিল হলে সার্টিফায়েড কপির জন্য রাত সাড়ে ৯টা থেকেই অপেক্ষা করতে থাকেন তিনি। পরদিন ৯ ডিসেম্বর কপিটি পাওয়া যাবে বলে আশ্বস্ত করা হয় তাকে। এভাবে পরদিনও রাত ১০টা নাগাদ অপেক্ষা করেন ফাক্কু ও তার সমর্থকরা। এরপরও আপিলের কপি না পাওয়ায় আইন বিভাগের শরণাপন্ন হতে হয় এই প্রার্থীকে। রাত প্রায় সাড়ে ১০টার দিকে আইন শাখার যুগ্ম-সচিব সেলিম মিয়ার সঙ্গে দেখা করেন ফাক্কু। তখন সেলিম মিয়া অসদাচরণ করেন ফাক্কুর সঙ্গে।

অভিযোগে ফাক্কু বলেন, তিনি (সেলিম মিয়া) আমাকে বলেন, ‘আপনি কি ১০টাও ভোট পাবেন? বেশি কথা বলবেন না। ’ একথা বলেই তিনি আমাকে আঘাত করার চেষ্টা করেন। দৌড়ে এসে আমাকে থাপ্পড়ও দিতে চান। তার সহকর্মীদের অনুরোধে সেলিম মিয়ার কার্যালয় থেকে আমি বেরিয়ে এলেও তিনি পেছন পেছন এসে পুলিশ ও র‌্যাবের হাতে ধরিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন আমাকে।

এই স্বতন্ত্র প্রার্থী অভিযোগ করেন, অন্য কোনো প্রার্থীর কাছ থেকে প্রভাবিত হয়ে আপিলের সার্টিফায়েড কপি না দিয়ে আদালতে যাওয়ার পথ বন্ধের ষড়যন্ত্র করছিলেন যুগ্ম-সচিব সেলিম মিয়া।  

অবশ্য এমন লিখিত অভিযোগ জমার দেওয়ার পর ১১ ডিসেম্বর সকালে ১০ ডিসেম্বরের (ব্যাকডেটেড) রায়ের কপি তাকে দেওয়া হয়।

ফাক্কু জানান, ঢাকা-১৬ আসনে বিহারীদের অধিকার নিয়ে কাজ করেন তিনি। এই আসনে বিহারী ভোটারের সংখ্যা ৭০ হাজার থেকে ৮০ হাজারের মতো।

গত ৩ থেকে ৫ ডিসেম্বর আপিল আবেদন গ্রহণের পর ৬ থেকে ৮ ডিসেম্বর শুনানি করে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু ৯ ও ১০ ডিসেম্বরও অনেকে শুনানির রায়ের কপি পাননি। এ নিয়ে নির্বাচন ভবনের সামনে প্রার্থী ও তার সমর্থকরা বিক্ষোভ ও হট্টগোলও করেন।

এরইমধ্যে সংসদ নির্বাচনের প্রতীক নিয়ে প্রার্থীরা প্রচারে নেমেছেন। এবারের সংসদ নির্বাচনে ৩৯টি দল ১৭৪৫ জন প্রার্থী দিয়েছে। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৯৬ জন। ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ।

বাংলাদেশ সময়: ২২৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৮
ইইউডি/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।