ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

‘বিচারিক ক্ষমতা মুখ্য বিষয় নয়, নিরাপত্তাই বড় কথা’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৮
‘বিচারিক ক্ষমতা মুখ্য বিষয় নয়, নিরাপত্তাই বড় কথা’ বক্তব্য রাখছেন নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম

রাজশাহী: বিচারিক ক্ষমতা মুখ্য বিষয় নয়, নিরাপত্তাই বড় কথা বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘বিচারিক ক্ষমতা কারোরই নেই। পুলিশের নেই, র‌্যাবের নেই, সেনাবাহিনীর নেই। যার হাতে অস্ত্র থাকে তার কিন্তু বিচারিক ক্ষমতা থাকে না। কারণ, এটা বাংলাদেশের সংবিধানের জন্য স্ববিরোধী’।

শুক্রবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজশাহী শিল্পকলা একাডেমিতে নির্বাচনে নারীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা বিষয়ক সচেতনতা কর্মশালার উদ্বোধন করেন তিনি। পরে আগামী ২৪ ডিসেম্বর থেকে সারাদেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ‘যদি কোনো অঘটন ঘটে তাহলে সেনাবাহিনী যেমন যেকোনো লোককে গ্রেফতার করতে পারে, সহিংস ঘটনা ঘটলে তারা গুলিও চালাতে পারে এবং প্রয়োজনে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছ থেকে নির্দেশনা নিতে পারেন। আর জীবন ও জানমালের রক্ষায় এমনিতে গুলি চালাতে পারে; গ্রেফতার করতে পারে’।

ভোটের মাঠে সাম্প্রতিক সহিংসতা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মারামারি, উত্তপ্ত বাক্যবিনিমিয় বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির অংশ। যখন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয় তখন একটু আরেকটু গরম হয়ে-ই যায়। আর উত্তাপ না থাকলে ভালোও লাগে না’।

আদালতের নির্দেশে বেশ কয়েকজনের প্রার্থিতা বাতিল হওয়ায় বিএনপির পুনঃতফসিল দাবির প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আইনে কী আছে সেটা দেখতে হবে। বিষয় খতিয়ে দেখেই সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন। কোনো তথ্য শুনেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা কমিশনের নেই। আইন মেনেই সিদ্ধান্ত নিতে হয়’।

জাল ব্যালট ছাপা হচ্ছে এমন প্রশ্নে নির্বাচন কমিশনার বলেন, যারা জাল-জালিয়াতি করে তারা তো করতেই পারে। শুধুমাত্র ব্যালট না এতোগুলো নিরাপত্তা বেষ্টনি থাকা সত্ত্বেও জাল টাকা ছাপা হচ্ছে। তাই জাল ব্যালট ছাপানোর সুযোগ যে নেই তা নয়। তবে জাল টাকা ছাপালে যেমন আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়, গ্রেফতার থেকে শুরু করি জেল-জরিমানা সবই করা হয়। যদি এমন কিছু পায় তাহলে আমাদের আইন রয়েছে। সেই আইন দিয়েই শাস্তি দেবো। আইনের আওতায় আনবো’।    

লেভেল প্লেয়িং নিয়ে কথা বলতে গিয়ে রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচনে ভোটাররাই আসল। আমরা সব ভোটারকে তালিকাভুক্ত করেছি। এটা বাংলাদেশ ছাড়া আর কোথাও বলা সম্ভব নয়। এখন সব ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে যেতে পারেন, পছন্দমত পার্থীকে ভোট দিতে পারেন, সেজন্য গোপন কক্ষসহ তার জন্য যা যা ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন তা নিয়েছি। বিজিবি নামিয়েছি। সেনাবাহিনীও নামানো হবে’।

নির্বাচন কমিশনের আয়োজনে এ কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার নূর-উর-রহমান ও রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক এস.এম আব্দুল কাদের, মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (সদর) তানভীর হায়দার চৌধুরী।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৮
এসএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।