স্মার্টকার্ডধারী ভোটারদের অভিযোগ, এ কার্ডে যে আইডি নম্বর দেওয়া আছে তা ভোটার স্লিপের সঙ্গে মিলছে না। তাই প্রয়োজন পুরাতন আইডি বা জাতীয় পরিচয় পত্র।
রোববার (৩০ ডিসেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচা হাইস্কুলের কেন্দ্রে গিয়ে মিলেছে এমন ভোগান্তির চিত্র। এই কেন্দ্রটিতে রয়েছে মোট তিন ভোটকেন্দ্র।
সকালে ভোটকেন্দ্রটিতে গিয়ে দেখা যায়, কেন্দ্রের বাইরে অপেক্ষমান ভোটারদের কয়েকজন আওয়ামী লীগের বুথের সামনে ক্ষুব্ধ অবস্থায় রয়েছেন। কারণ তারা ভোট দিতে পারছেন না। জানতে চাইলে শেখ ইউনুস আলী নামের তোপখানা নিবাসী এক ভোটার বাংলানিউজকে জানান, আমার স্মার্ট আইডিকার্ডে এই বুথ থেকে ভোটার স্লিপ নিতে গিয়ে দেখি আমার নাম নেই। অথচ আমার কেন্দ্র এটাই। আমার আবাসস্থল ও এই কেন্দ্রের পাশেই। অথচ আমি এখানে ভোট দিতে পারছি না। ওরা বলছে পুরনো জাতীয়পরিচয় পত্রটি আনতে হবে। সেটা তো আমার নেই। এখন ভোট না দিয়েই ফিরে যাচ্ছি।
এদিকে শাহজাহান নামে আরেক ভোটার বাংলানিউজকে বলেন, আওয়ামী লীগের এই বুথ থেকে ভোটার স্লিপ নিতে এলে আমাকে স্কুলের ২০৩ নম্বর কক্ষে পাঠানো হয়েছে। সেখানে গিয়ে জানতে পারলাম সিরিয়ালে আমার দিনের নাম নেই। আবার এখানে ফিরে আসলাম কিন্তু কোনো সমাধান পাচ্ছি না। অন্যান্য বার বাসায় বসে ভোটার স্লিপ পৌঁছে দেয় এবার দেওয়া হয়নি। আমার আশ-পাশের যাদের পুরানো জাতীয় পরিচয়পত্র রয়েছে তারা ভোটার স্লিপ পেয়েছে।
সেগুনবাগিচা হাইস্কুল ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার আসাদুল আলম বাংলানিউজকে জানান, ভোটার লাভ ভুল করছে যে, তারা ভোটার নম্বর নিয়ে আসছে না। তারা বাইরের বুথ থেকে ভোটার আইডি নম্বর নিয়ে আসছে। এখানে প্রয়োজন ভোটের একটি আলাদা আইডি আছে সেটি। যেটা ভোটার স্লিপে দেওয়া থাকে।
ভোটকেন্দ্রের বাইরে বুথে আওয়ামী লীগের পোলিং এজেন্ট কামরুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, আমরা স্লিপ ভোটারদের বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছি। যারা স্লিপ পায়নি তাদের স্মার্টকার্ডে আইডি নম্বর ভুল আছে। যে কারণে মিলছে না বা ভোটার স্লিপ দিতে পারিনি। তাই তাদের বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে।
এ সমস্যার সমাধান সম্পর্কে আওয়ামী লীগের পোলিং এজেন্টদের কাছে জানতে চাইলে তারা কোনো সমাধান জানেন না বলে জানিয়েছেন। এছাড়া এই কেন্দ্রের সামনে আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোনো দলের পোলিং এজেন্টদের বা বুথ দেখা যায়নি।
এদিকে সেগুনবাগিচাসহ আশ-পাশের এলাকাতেও একই বিড়ম্বনা লক্ষ্য করা গেছে। সেখানেও স্মার্টকার্ডধারীরা ভোট দিতে পারছে না। তবে খুব অল্প সংখ্যক ভোটার পাওয়া গেছে যার ভোট দিতে পেরেছেন।
ভিকারুন্নেসা নুন নিসা হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রের ভোটার শফিক বলেন, আমার স্মার্টকার্ড তবুও ভোট দিতে পেরেছি। তবে আমার আশ-পাশের অনেকেরই স্মার্টকার্ড থাকায় ভোট দিতে পারেনি বা ভোটার নম্বর অথবা ভোটার স্লিপ পায়নি। তবে সেগুনবাগিচা এলাকায় স্মার্টকার্ডধারী কেউ ভোট দিতে পেরেছে বলে জানা যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৮
এমএএম/এএটি