নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এ তফসিল ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, ডিএনসিসি’র মেয়র পদে উপ-নির্বাচন এবং ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নতুন গঠিত ১৮টি করে ৩৬টি ওয়ার্ডের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এক্ষেত্রে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ৩০ জানুয়ারি, বাছাই ২ ফেব্রুয়ারি ও প্রার্থিতা প্রত্যাহার ৯ ফেব্রুয়ারি।
২০১৮ সালের ১৭ এবং ১৮ জানুয়ারি ডিএনসিসি (নতুন ১৮টি ওয়ার্ডেসহ) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ওপর স্থগিতাদেশ দেন আদালত।
সাবেক মেয়র আনিসুল হক মৃত্যুবরণ করায় একই বছর ৯ জানুয়ারি ডিএনসিসি’র মেয়র পদে উপ-নির্বাচন, নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের সাধারণ নির্বাচন এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের সাধারণ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ১৮ জানুয়ারি সে তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল। আর ভোটগ্রহণের কথা ছিল ২৬ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু আদালত ছয়মাসের স্থগিতাদেশ দিয়েছিল।
ওই তফসিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ১৬ জানুয়ারি ভাটারা থানার বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান এবং বাড্ডা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। ১৭ জানুয়ারি শুনানি শেষে আদালত ওই তফসিলের ওপর সব কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে ওই নির্বাচনের জন্য তফসিল কেন ‘আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত’ ঘোষণা করা হবে না-তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।
ভোটার তালিকা প্রকাশ হয় ৩১ জানুয়ারি। তার আগেই তফসিল ঘোষণার করায়, ভোটার তালিকা চূড়ান্ত না হওয়ায় কিভাবে প্রার্থী হবেন এবং ৩০০ ভোটার সমর্থকের স্বাক্ষর নেবেন। এছাড়া যারা কাউন্সিলর নির্বাচিত হবেন তাদের মেয়াদ কি আড়াই বছর না পাঁচ বছর হবে- এসব প্রশ্নকে সামনে রেখে ওই রিট আবেদনটি করা হয়েছিল।
২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল ঢাকার দুই সিটি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এক্ষেত্রে তফসিল ঘোষিত পদগুলোর মেয়াদ হবে করপোরেশনের মেয়াদ পর্যন্ত। ২০১৯ সালের মে মাসেই নতুন নির্বাচিতদের মেয়াদ পূর্ণ হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৯
ইইউডি/এসএইচ