ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ছিলো: ইএমএফ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৯
নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ছিলো: ইএমএফ ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের সংবাদ সম্মেলন

ঢাকা: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশ্রহণমূলক, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ছিলো বলে জানিয়েছে ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম (ইএমএফ)।

বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক মাওলানা মো. আবেদ আলী একথা জানান।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আবেদ আলী বলেন, আমরা নির্বাচনের দিন সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যায় ফলাফল প্রকাশ পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করেছি।

তবে রাতের আঁধারে কী ঘটেছে সেটি আমরা বলতে পারবো না।

নির্বাচন গ্রহণযোগ্য কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, হ্যাঁ গ্রহণযোগ্য ছিল। তবে আমরা যেটা দেখেছি এবারের সংসদ গঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী বিরোধী দলশূন্যভাবে। জাতীয় সংসদে একটি শক্তিশালী বিরোধী দল প্রয়োজন থাকলেও সেটা দৃশ্যমান হয়নি। আর নির্বাচন নিয়ে যারা অভিযোগ করেছেন, তারা জনগণকে সাথে নিয়ে আন্দোলন করতে ব্যর্থ হয়েছেন।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করে ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম কিছু সুপারিশ তুলে ধরেছে। এগুলো হলো— 

* দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ অন্যান্য সকল সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে আরও শক্তিশালী ও ক্ষমতা প্রয়োগের ক্ষেত্রে আন্তরিক হতে হবে।

* নির্বাচনকালীন সময় সহিংসতায় সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের দ্রুত বিচার আইনে শাস্তি নিশ্চিত করা ও নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে নির্বাচন কমিশন তাদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তাসহ ক্ষতিপূরণ প্রদান করা।

* আগামী সকল নির্বাচনে পর্যবেক্ষকদের সহযোগিতার লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন থেকে ন্যূনতম সম্মানি ভাতা প্রদান করা। এর ফলে বিদেশি সংস্থার অর্থের ওপর নির্ভরশীল হয়ে ফরমায়েশি প্রতিবেদন থেকে পর্যবেক্ষণ সংস্থাসমূহ বিরত থাকবে।
নির্বাচনকালীন সময়ে কোনো প্রার্থী যাতে কোনো রকম হয়রানির স্বীকার না হয় তা নিশ্চিত করা।

* বিদেশি পর্যবেক্ষক নির্ভরশীলতা থেকে দূরে রাখতে দেশের বিভিন্ন পেশার স্বনামধন্য ব্যক্তিবর্গকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণে উৎসাহিত করা।

সংবাদ সম্মেলনে আবেদ আলী আরও বলেন, কানাডার পর্যবেক্ষক তানিয়া ফস্টার ও বিচারপতি আব্দুস সালামের বক্তব্য যেভাবে পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়েছে তা সঠিক নয়। তানিয়া ফস্টার আমাদের জানিয়েছেন তিনি নির্বাচনের দিন যে বক্তব্য দিয়েছেন সেটাই সঠিক। রয়টার্স যে সংবাদ প্রকাশ করেছে তা সঠিক নয়। অপরদিকে বিচারপতি আব্দুস সালামের বক্তব্য সঠিকভাবে উপস্থাপন করা হয়নি। তিনিও পত্রিকায় প্রকাশিত ওই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তবে দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি যে, তার সে বক্তব্য পত্রিকাগুলো প্রকাশ করেনি।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের পরিচালক ড. মোহাম্মদ মাসুম চৌধুরী, ইএমএফ-এর সমন্বয়কারী মো. মনির হোসেন, মানবাধিকার কর্মী মোহাম্মদ জাহেদ হোসেন, মো. শহিদুল ইসলাম, খন্দকার ফারুক আহমেদ, সুলতানা রাজিয়া শিলা, মোসাম্মৎ রূপা আক্তার প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৯
এমএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।