সংস্থাটির যুগ্ম-সচিব (নির্বাচন পরিচালনা-২) ফরহাদ আহম্মদ খান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত নির্দেশনা বুধবার (৬ মার্চ) ইসির সব ডিসি-এসপিদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
এতে হয়েছে, ‘আগামী ১০ মার্চ থেকে ৩১ মার্চের মধ্যে সারাদেশে চার ধাপে উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
‘এছাড়া এক্সিকিউটিভ ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের ব্যবস্থা করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন বিশ্বাস করে যে মাঠ প্রশাসনের সহযোগিতা ছাড়া দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনা করা সম্ভব নয়। আজ তার সে জায়গাটি সমুন্নত রাখার জন্য মাঠ প্রশাসনের সবাইকে সচেতন থাকার অনুরোধ করা হলো। ’
‘নির্বাচনের সময় সব প্রার্থী যেন সমান সুযোগ ভোগ করতে পারেন, ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ও নিরাপদে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, ভোটদান শেষে নিরাপত্তাহীনতায় না থাকেন; সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তার নিশ্চয়তা বিধান করতে হবে।
‘এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের সমন্বয়ে গঠিত ভ্রাম্যমাণ আদালত নিরপেক্ষভাবে প্রার্থীদের প্রচারণা, আচরণ পর্যবেক্ষণ করবেন এবং যথাযথভাবে আচরণবিধি প্রতিপালনে সবাইকে পরামর্শ দেবেন। যারা নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করবেন, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নির্দ্বিধায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন। নির্বাচনে বিশৃংখলা সৃষ্টিকারী বা পরিবেশ বিনষ্টকারী যে কোনো কর্মকাণ্ড বা কোনো ধরনের প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন কঠোর অবস্থানে রয়েছে ‘
কমিশন নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে কারো অবহেলা প্রত্যাশা করে না। এমন সিদ্ধান্তের আলোকে স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ ও অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে বলে নির্বাচন কমিশন আশা করে। তাদের কারণে নির্বাচনে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা, অনিয়ম আইনবহির্ভূত ঘটনা ঘটলে যে কাউকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে বলে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বর্ণিত অবস্থায় অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে আসন্ন উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রভাবমুক্ত থাকার অনুরোধ করা হলো। ’
প্রথম ধাপে আগামী ১০ মার্চ, দ্বিতীয় ধাপে ১৮ মার্চ, তৃতীয় ধাপে ২৪ মার্চ, চতুর্থ ধাপে ৩১ মার্চ ও পঞ্চম ধাপে ১৮ জুন ভোটগ্রহণ করবে নির্বাচন কমিশন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৩ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০১৯
ইইউডি/এএ