শুক্রবার (০৮ মার্চ) বরিশাল জেলা প্রশাসক ও জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে পৃথকভাবে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বরিশালের গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একজন করে প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
এছাড়াও বরিশাল, মুলাদী, বাকেরগঞ্জ ও বানারীপাড়ায় চেয়ারম্যান পদে এবং বানারীপাড়া ও বাবুগঞ্জ উপজেলায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান একক প্রার্থী থাকায় সেখানেও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এসব প্রার্থীরা নির্বাচিত হন।
দুপুর সাড়ে ১২টায় জেলার নয় উপজেলার মধ্যে ছয়টিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত ছয়জন চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের দু’টি পদে আরো ছয়জনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে। স্ব-স্ব উপজেলার দায়িত্বে থাকা রিটার্নিং অফিসাররা তাদের নির্বাচিত ঘোষণা করেন।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিতরা হলেন- বরিশাল সদর উপজেলায় সাইদুর রহমান রিন্টু, গৌরনদীয় সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরী, আগৈলঝাড়ায় আব্দুল রইচ সেরনিয়াবাত, বানারীপাড়ায় মো. গোলাম ফারুক, মুলাদীতে তারিকুল ইসলাম মিঠু ও বাকেরগঞ্জ উপজেলায় মোহাম্মদ শামসুল আলম চুন্নু।
এদের মধ্যে সদর, মুলাদী ও বানারীপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান পদে দু’জন করে প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। পরে সদর উপজেলায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. আনোয়ার হোসাইন ও বানারীপাড়ায় জাতীয় পার্টির প্রার্থী মিজানুর রহমানের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন। তাছাড়া আপিলে বাতিল হয় মুলাদী উপজেলায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. আমিনুল ইসলাম চৌধুরীর মনোনয়নপত্র। বাকি তিনটি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী ছিলেন।
এদিকে আগৈলঝাড়ায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে মো. রফিকুল ইসলাম তালুকদার ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মলিনা রানি রায়, গৌরনদীর ভাইস চেয়ারম্যান পদে মো. ফরহাদ হোসেন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে জিনিয়া আফরোজ হেলেন, বাবুগঞ্জ উপজেলায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফারজানা বিনতে ওহাব ও বানারীপাড়ায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দা তাসমিমা হোসেনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়। এছাড়া ৭টি উপজেলার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানসহ মোট ১৫টি পদে ৩৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এরমধ্যে ৩টি উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যানের দু’টি পদে লটারি করে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। তবে চেয়ারম্যানের ৩টি পদের প্রার্থীদের দলীয় এবং পছন্দের প্রতীক দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে উজিরপুর উপজেলার মজিদ সিকদার বাচ্চু (নৌকা), স্বতন্ত্র আবুল কালাম আজাদ বাদল আনারস ও হাফিজুর রহমান ইকবাল (কাপ-পিরিচ)।
বাবুগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগের কাজী এমদাদুল হক দুলাল (নৌকা), বিকল্প ধারার এনামুল হক রাজু (কুলা), ওয়ার্কার্সপার্টির মোজাম্মেল হক ফিরোজ হাতুড়ী ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মোস্তাক আহমেদ রিপন (আনারস) প্রতীক পেয়েছেন। হিজলা উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী সুলতান মাহমুদ (নৌকা), আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বেলায়েত হোসেন ঢালী (আনারস) ও অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী জাকির হোসেন (কাপ-পিরিচ)।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল সদর উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে দু’জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দু’জন, বানারীপাড়ার ভাইস চেয়ারম্যানের একটি পদে তিনজন, মুলাদীতে ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) তিনজন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন, হিজলা উপজেলা চেয়ারম্যান পদে তিনজন, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে তিনজন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুইজন, উজিরপুরে চেয়ারম্যান পদে তিনজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুইজন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন, বাবুগঞ্জে চেয়ারম্যান পদে চারজন, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন ও বাকেরগঞ্জ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান(পুরুষ)পদে দুইজন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুইজন করে প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২১ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০১৯
এমএস/এএটি