ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

সিরাজগঞ্জের ৫ উপজেলায় আ’লীগ ৩, স্বতস্ত্র ২

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২৫ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৯
সিরাজগঞ্জের ৫ উপজেলায় আ’লীগ ৩, স্বতস্ত্র ২

সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের পাঁচটি উপজেলার চেয়ারম্যান পদে তিনটিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত ও দু’টিতে বিদ্রোহী প্রার্থী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন।

রোববার (১০ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার থেকে বেসরকারিভাবে এ ফলাফল ঘোষণা শুরু করেন সংশ্লিষ্ট উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তারা। রাত ১টার দিকে বেলকুচি উপজেলায় সর্বশেষ ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

 

রায়গঞ্জ উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন অফিসার  মাসুদ রানা জানান, এ উপজেলার ১০৮টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে সবকটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইমরুল হাসান তালুকদার ইমন নৌকা প্রতীকে ৭৯ হাজার ৩৮৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিদ্রোহী প্রার্থী গোলাম হোসেন সরকার শোভন আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ২৬ হাজার ১৫৩ ভোট।

চৌহালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু তাহির বাংলানিউজকে বলেন, উপজেলার আওয়ামী লীগের প্রার্থী ফারুক হোসেন সরকার নৌকা প্রতীকে ৩৪ হাজার ৯৪৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মেজর (অব.) আব্দুল্লাহ আল মামুন দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে ৯ হাজার ৭৫৪ ভোট পেয়েছেন।  

শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমুল হুসেইন খান জানান, উপজেলার ১৩৯টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ভোট জালিয়াতির অভিযোগে দু’টি কেন্দ্র স্থগিত ঘোষণা করা হয়। বাকি ১৩৭টি কেন্দ্রের আওয়ামী লীগের প্রার্থী অধ্যক্ষ আজাদ রহমান দুই লাখ ১৯ হাজার ৬২৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী মুক্তার হাসান লাঙল প্রতীকে পেয়েছেন ৬ হাজার ৪৯৮ ভোট।  

তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইফফাত জাহান জানান, এ উপজেলার স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুজ্জামান মনি দোয়াত কলম প্রতীকে ৩৯ হাজার ৮৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সঞ্জিত কুমার কর্মকার নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ২৯ হাজার ৪৪৫ ভোট।

অপরদিকে বেলকুচি উপজেলায় দু’দফা ভোট গণনা শেষে রাত পৌনে ১টার দিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরুল ইসলাম সাজেদুলকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন অফিসার আবুল হোসেন জানান, নুরুল ইসলাম সাজেদুল দোয়াত কলম প্রতীকে পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৭৪৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী মীর সেরাজুল ইসলাম আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৭২৩ ভোট।  

প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে জেলার আটটি উপজেলায় ভোট গ্রহণের কথা থাকলেও উচ্চ আদালতের নির্দেশে উল্লাপাড়া উপজেলার ভোটগ্রহণ স্থগিত হয়। বাকি ৭ উপজেলার মধ্য চেয়ারম্যান পদে দু’টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা।

এছাড়া, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাতটি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ সময়: ০৬২৫ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৯
জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।