স্থগিত সাতটি উপজেলা ছাড়া বাকি ৮০টি উপজেলার মধ্যে দু’টিতে ফল ঘোষণা হয়নি। বাকি ৭৮টি উপজেলার নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৫৫ (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১১) জন আওয়ামী লীগ থেকে, ১০ জন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী হিসেবে এবং ১৩ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন।
চেয়ারম্যান পদে জয়ী যারা
পঞ্চগড়ের ৫ উপজেলা
পঞ্চগড় সদর উপজেলায় আমিনুল ইসলাম (আওয়ামী লীগ), আটোয়ারীতে মো. তৌহিদুল ইসলাম (আওয়ামী লীগ), বোদায় অধ্যাপক ফারুক আলম টবি (আওয়ামী লীগ, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা), দেবীগঞ্জে আব্দুল মালেক চিশতি (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) ও তেঁতুলিয়ায় কাজী মাহমুদুর রহমান ডাবলু (আওয়ামী লীগ)।
কুড়িগ্রামের ৯ উপজেলা
কুড়িগ্রাম সদরে আমান উদ্দিন মঞ্জু (আওয়ামী লীগ), ভুরুঙ্গামারীতে নুরুন্নবী চৌধুরী খোকন (আওয়ামী লীগ), উলিপুরে গোলাম হোসেন মন্টু (আওয়ামী লীগ), নাগেশ্বরীতে মো. মোস্তফা জামান (আওয়ামী লীগ), রাজারহাটে জাহিদ ইকবাল সোহরাওয়ার্দী বাপ্পি (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) রাজীবপুরে আকবর হোসেন হীরো (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী), চিলমারীতে শওকত আলী সরকার (আওয়ামী লীগ), রৌমারীতে শেখ আব্দুল্লাহ (স্বতন্ত্র)। আদালতের নির্দেশে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত রয়েছে।
নীলফামারীর ৬ উপজেলা
ডোমারে তোফায়েল আহমেদ (আওয়ামী লীগ), ডিমলায় তবিবুল ইসলাম (আওয়ামী লীগ), সৈয়দপুরে মোকছেদুল মোমিন (আওয়ামী লীগ), কিশোরগঞ্জে আবুল কালাম বারি (স্বতন্ত্র)। হাইকোর্টের নির্দেশে নীলফামারী সদর ও জলঢাকা উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত রয়েছে।
লালমনিরহাটের ৫ উপজেলা
লালমনিরহাট সদরে মোহাম্মদ কামরুজ্জামান সুজন (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) কালীগঞ্জে মাহবুবুজ্জামান আহমেদ (আওয়ামী লীগ), হাতীবান্ধায় মো. মশিউর রহমান মামুন (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী), পাটগ্রামে রুহুল আমীন বাবুল (আওয়ামী লীগ)। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে আদিতমারী উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত রয়েছে।
জামালপুরের ৭ উপজেলা
জামালপুর সদরে মোহাম্মদ আবুল হোসেন (আওয়ামী লীগ, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা), সরিষাবাড়ীতে গিয়াস উদ্দিন পাঠান (আওয়ামী লীগ), দেওয়ানগঞ্জে মো. সোলায়মান হোসেন (স্বতন্ত্র), ইসলামপুরে এস এম জামাল আব্দুন নাসের (আওয়ামী লীগ), বকশীগঞ্জে আব্দুর রউফ তালুকদার (স্বতন্ত্র), মেলান্দহে ইঞ্জিনিয়ার কামরুজ্জামান (আওয়ামী লীগ, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা), মাদারগঞ্জে ওবায়দুর রহমান বেলাল (আওয়ামী লীগ, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা)।
নেত্রকোণার ৯ উপজেলা
নেত্রকোণা সদরে অধ্যাপক তফসির উদ্দিন খান (আওয়ামী লীগ, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা), দুর্গাপুরে জান্নাতুল ফেরদৌস তালুকদার ঝুমা (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) খালিয়াজুরীতে গোলাম কিবরিয়া জব্বার (আওয়ামী লীগ), বারহাট্টায় মাইনুল হক কাসেম (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী), মোহনগঞ্জে মো. শহীদ ইকবাল (আওয়ামী লীগ), কেন্দুয়ায় মো. নূরুল ইসলাম (আওয়ামী লীগ, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা), কলমাকান্দায় আবদুল খালেক তালুকদার (আওয়ামী লীগ), মদনে মো. হাবিবুর রহমান (আওয়ামী লীগ)। এছাড়া নির্বাচন কমিশনের আদেশে পূর্বধলায় নির্বাচন স্থগিত রয়েছে।
সুনামগঞ্জের ১০ উপজেলা
সুনামগঞ্জ সদরে খায়রুল হুদা চপল (আওয়ামী লীগ), দক্ষিণ সুনামগঞ্জে ফারুক আহমদ (স্বতন্ত্র), ছাতকে ফজলুর রহমান (আওয়ামী লীগ), দোয়ারাবাজারে ডা. আবদুর রহিম (আওয়ামী লীগ), দিরাইয়ে মো. মঞ্জুর আলম চৌধুরী (স্বতন্ত্র), তাহিরপুরে করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল (আওয়ামী লীগ), ধর্মপাশায় মোজাম্মেল হোসেন (স্বতন্ত্র), বিশ্বম্ভরপুরে মো. সফর উদ্দিন (স্বতন্ত্র)। শাল্লা উপজেলায় ফলাফল স্থগিত এবং জামালগঞ্জে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে নির্বাচন স্থগিত রয়েছে।
হবিগঞ্জের ৮ উপজেলা
হবিগঞ্জ সদরে মোতাচ্ছিরুল ইসলাম (আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী, স্বতন্ত্র), মাধবপুরে সৈয়দ মো. শাহাজাহান (স্বতন্ত্র), বাহুবলে সৈয়দ খলিলুর রহমান (স্বতন্ত্র), চুনারুঘাটে কাদির লস্কর (আওয়ামী লীগ), লাখাই মুশফিউল আলম আজাদ (আওয়ামী লীগ), নবীগঞ্জে ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী), আজমিরীগঞ্জে মর্তুজা হাসান (আওয়ামী লীগ), বানিয়াচংয়ে আবুল কাশেম চৌধুরী (আওয়ামী লীগ)।
সিরাজগঞ্জের ৮ উপজেলা
সিরাজগঞ্জ সদরে রিয়াজ উদ্দিন (আওয়ামী লীগ), চৌহালীতে এস এস ফারুক সরকার (আওয়ামী লীগ), কাজীপুরে খলিলুর রহমান সিরাজী (আওয়ামী লীগ), রায়গঞ্জে ইমরুল হাসান (আওয়ামী লীগ), শাহজাদপুরে আজাদ রহমান (আওয়ামী লীগ), তাড়াশে মো. মনিরুজ্জামান মনি (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী), উল্লাপাড়ায় শফিকুল ইসলাম শফি (আওয়ামী লীগ)। এছাড়া বেলকুচিতে ফলাফল স্থগিত রয়েছে।
জয়পুরহাটের ৫ উপজেলা
জয়পুরহাট সদরে এস এম সোলায়মান আলী (আওয়ামী লীগ, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা), আক্কেলপুরে আব্দুস সালাম আকন্দ (স্বতন্ত্র), কালাইয়ে মিনফিজুর রহমান মিলন (আওয়ামী লীগ), ক্ষেতলালে মোস্তাকিম মণ্ডল (আওয়ামী লীগ), পাঁচবিবিতে মুনিরুল শহীদ মণ্ডল (আওয়ামী লীগ, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা)।
নাটোরের ৫ উপজেলা
নাটোর সদরে শরিফুল ইসলাম রমজান (আওয়ামী লীগ, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা), বাগাতিপাড়ায় ওহিদুল ইসলাম গোকুল (স্বতন্ত্র), গুরুদাসপুরে আনোয়ার হোসেন (স্বতন্ত্র), বড়াইগ্রামে সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী (আওয়ামী লীগ), লালপুরে ইসাহাক আলী (আওয়ামী লীগ), সিংড়ায় শফিকুল ইসলাম শফিক (আওয়ামী লীগ)।
রাজশাহীর ৯ উপজেলা
তানোরে লুৎফর হায়দার রশীদ ময়না (আওয়ামী লীগ), গোদাগাড়ীতে জাহাঙ্গীর আলম (আওয়ামী লীগ), বাগমারায় অনিল কুমার সরকার (আওয়ামী লীগ), পুঠিয়ায় জিএম হিরা বাচ্চু (আওয়ামী লীগ), দুর্গাপুরে নজরুল ইসলাম (আওয়ামী লীগ), চারঘাটে ফকরুল ইসলাম (আওয়ামী লীগ), মোহনপুরে আব্দুস সালাম (আওয়ামী লীগ, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা), বাঘায় লায়েব উদ্দীন লাভলু (আওয়ামী লীগ, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা)। আদালতের আদেশে পবা উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৯
আরএ/এইচএ/
** উপজেলার প্রথম ধাপে ভোট পড়েছে ৪৩.৩২ শতাংশ