তিনি বলেন, কত শতাংশ ভোট হলে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হবেন, এর কোনো মাপকাঠি নেই। সবচেয়ে বেশি ভোট যিনি পাবেন, তিনিই নির্বাচিত হবেন।
বুধবার (১৩ মার্চ) সিলেটে আইন-শৃঙ্খলা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন সিইসি।
রাতে ব্যালট বাক্স ভর্তির আশঙ্কায় ইভিএম চালু করার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচনে ব্যালট বাক্স বড় ঝামেলা। এজন্য ইভিএম চালু করলে সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। যদিও ইভিএম চালু করার ব্যাপারে আগে থেকেই সিদ্ধান্ত আছে। প্রেক্ষাপট বিবেচনায় ইভিএম চালুর কথা বলেছি। কেননা, নির্বাচনের ব্যালট বাক্স ছিনতাই হয়, আগুন দেওয়া হয়, উপড়ে ফেলা, জোর করে সিল মারার ঘটনা ঘটে। আর আগের রাতে নির্বাচনের বাক্সে ভোট দেওয়া পুরনো ঘটনা।
তিনি বলেন, দ্বিতীয় ধাপে সিলেটে ইভিএম চালু করতে পারিনি। তবে চতুর্থ ও পঞ্চম ধাপে ১০টি উপজেলায় ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ করা হবে। বিশেষ করে সদর উপজেলাগুলোতে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, নিষেধ অমান্য করে সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ এমপি রতন এলাকায় থাকার বিষয়টি তার জানা নেই। তিনি (এমপি রতন) নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করেছেন কিনা, খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সিলেটে পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু হবে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, সিলেটে নির্বাচনের পরিবেশ অনেক ভালো। সিলেট নিয়ে শঙ্কা খুব কম। এখানের মানুষ নিয়ম মেনে চলেন। নির্বাচনে এতোগুলো প্রার্থী দাঁড়ালেও অন্যান্য স্থানের মতো কোনো ধরনের সহিংসতা নেই।
এর আগে আইন-শৃঙ্খলা কমিটির বৈঠকে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দেন সিইসি। সভায় বিভাগীয় প্রশাসন, জেলা প্রশাসন, রেঞ্জ ও মেট্টোপলিটন পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, আনসার ভিডিপিসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১৯
এনইউ/জেডএস