সদর উপজেলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী তিনবারের উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইমদাদুল হক বিশ্বাস (আনারস) ২৬ হাজার ৮৯৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক এসএম নওয়াব আলী (দোয়াত কলম) পেয়েছেন ১৯ হাজার ৮৪০ ভোট।
বালিয়াকান্দি উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদ (নৌকা) ৪৩ হাজার ২৫৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এহসানুল হাকিম সাধন (মোটরসাইকেল) পেয়েছেন ৪০ হাজার ৫৮০ ভোট।
পাংশা উপজেলায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ফরিদ হাসান ওদুদ (আনারস) ৪৪ হাজার ৯৬৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভপতি শফিকুল মোর্শেদ আরজ (নৌকা) পেয়েছেন ৩৮ হাজার ৯০৩ ভোট।
রোববার (২৪ মার্চ) ভোট গণনা শেষে রাত ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ ফলাফল ঘোষণা করেন রাজবাড়ী সদর ও বালিয়াকান্দি উপজেলার রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ আশেক হাসান এবং গোয়ালন্দ ও পাংশা উপজেলার রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান। এসময় জেলা প্রশাসক মো. শওকত আলী উপস্থিত ছিলেন।
ফলাফল ঘোষণার সময় রিটার্নিং অফিসাররা জানান, রাজবাড়ীর চার উপজেলায় শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোথাও কোনো অপ্রিতীকর ঘটনা ঘটেনি।
রাজবাড়ীর ৪ উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ছয় লাখ ৯১ হাজার ৫৮৬ জন।
৪ উপজেলার মধ্যে গোয়ালন্দ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এবিএম নুরুল ইসলাম আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। ফলে ওই উপজেলায় শুধু ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন হয়।
এ কারণে তিন উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ৪ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৫ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯০০ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৯
আরএ