সংস্থাটির এনআইডি অনুবিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েও অনিয়ম বন্ধ করা যাচ্ছে না। এজন্য দলালরাই কেবল দায়ী নয়, দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারদেরও গাফিলতি আছে।
বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে অনিয়ম বন্ধ এবং সেবা বাড়ানোর জন্য দু’টি কার্যক্রম হাতে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। একটি হলো- ভালো কাজের জন্য পুরস্কার দেওয়া এবং আরেকটি হলো অনিয়মের জন্য বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া। যার অংশ হিসেবেই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
ইসির উপ-সচিব মো. নুরুজ্জামান খান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত অফিস আদেশে বলা হয়েছে- ‘আইডিইএ প্রকল্প বা স্মার্টকার্ড প্রকল্প (এই প্রকল্পের অধীনেই নাগরিকদের এনআইডি দেওয়া হচ্ছে) আওতায় সারাদেশের থানা/উপজেলা/আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয় ও প্রকল্প কার্যালয়ে কর্মরত কর্মচারীরা দেশের জনগণের জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন, বিতরণ এবং ভোটার রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ কার্যাবলী এবং অন্যান্য দাপ্তরিক কাজ করে থাকেন। যেসব কর্মচারী নিজ নিজ কাজের ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রেখে চলছেন, তাদের কর্মস্পৃহা আরো বাড়ানোর জন্য প্রকল্প থেকে পুরস্কার তথা বিশেষ মূল্যায়ন করা হবে।
‘একই সঙ্গে কারো বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ’
দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা/কর্মচারীদের পাঠানোর পাশাপাশি নির্দেশনাটির অনুলিপি আইডিইএ প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক (অপারেশন্স), জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ), ইসির সব আঞ্চলিক, জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছেও পাঠানো হয়েছে।
সম্প্রতি স্মার্টকার্ড বিতরণকে কেন্দ্রে অবৈধ ব্যবসা বন্ধের জন্য সব জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও র্যাবের কোম্পানি কমান্ডারদেরও নির্দেশনা দিয়েছিল ইসি।
এ বিষয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব মো. মোখলেছুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, এনআইডি সরবরাহ একটি মহৎ উদ্যোগ। এই উদ্যোগ কেউ নস্যাৎ করবে কিংবা বিতর্কের সৃষ্টি করবে, সেটা নির্বাচন কমিশন কখনো মেনে নেবে না। তাই কর্মকর্তাদের মধ্যে যারা ভালো কাজ করবেন, তাদের যেমন পুরস্কৃত করা হবে, তেমনি অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধেও কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে তৎকালীন এটিএম শামসুল হুদার কমিশন ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়ন করে জাতীয় পরিচয়পত্র সরবরাহ শুরু করে। পরে ওই কমিশনই সে সময়ের নয় কোটি ভোটারকে উন্নতমানের এনআইডি বা স্মার্ট কার্ড দেওয়ার প্রকল্প হাতে নেয়। যে প্রকল্পের মাধ্যমেই নাগরিকদের এনআইডি দেওয়া হচ্ছে।
বর্তমানে দেশের ভোটার প্রায় সাড়ে ১০ কোটি। দেশের সব নাগরিককে স্মার্টকার্ড দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন সরকারি তহবিল থেকে নতুন প্রকল্প হাতে নিচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১০০ ঘণ্টা, মার্চ ৩০,২০১৯
ইইউডি/জেডএস