ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

টাঙ্গাইলে আ’লীগ ৮, বিদ্রোহী ৩, বিএনপির বহিষ্কৃত ১ 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১, ২০১৯
টাঙ্গাইলে আ’লীগ ৮, বিদ্রোহী ৩, বিএনপির বহিষ্কৃত ১  নির্বাচিতরা

টাঙ্গাইল: পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে টাঙ্গাইলের ১২টি উপজেলার মধ্যে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ ৮টি, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র)৩টি এবং একটিতে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা জয়লাভ করেছেন। 

এর মধ্যে তিনটি উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন।

রোববার (৩১মার্চ) ভোটগ্রহণ শেষে রাতে এ ফলাফল ঘোষণা করেন স্ব-স্ব নির্বাচনী এলাকার কর্মকর্তা।

 

টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহজাহান আনছারী (নৌকা) ৫৯ হাজার ৯৬৭ ভোট পেয়ে জয় লাভ করেছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সদর উপজেলা বিএনপির সদ্য বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী (ঘোড়া) ৩৭ হাজার ৭৯৫ ভোট পেয়েছেন।

ভূঞাপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুল হালিম (নৌকা) ২০ হাজার ৬৮০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী আমিরুল ইসলাম তালুকদার (মোটরসাইকেল) ১৫ হাজার ৯১৪ ভোট পেয়েছেন।

নাগরপুর উপজেলায় বিএনপির বহিষ্কৃত আব্দুছ সামাদ দুলাল (ঘোড়া) ৩৫ হাজার ৮৪৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে জয় লাভ করেছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী কুদরত আলী (নৌকা) ২৮ হাজার ৩৭২ ভোট পেয়েছেন।

ঘাটাইলে উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রার্থী শহিদুল ইসলাম লেবু (নৌকা) ৬৪ হাজার ১০৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) মুহাম্মদ আরিফ হোসেন (আনারস) ২৯ হাজার ৮৮৭ ভোট পেয়েছেন।

দেলদুয়ার উপজেলায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাহমুদুল হাসান মারুফ (আনারস) ২৬ হাজার ৯৯০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী ফজলুল হক (নৌকা) ১৫ হাজার ৮৫৭ ভোট পেয়েছেন।

মির্জাপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান মীর এনায়েত হোসেন মন্টু (নৌকা) ৬৭ হাজার ১০২ ভোট পেয়ে জয় লাভ করেছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি থেকে সদ্য পদত্যাগকারী সদস্য ফিরোজ হায়দার খান (মোটরসাইকেল) ৩৫ হাজার ১০০ ভোট পেয়েছেন।

সখীপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী জুলফিকার হায়দার কামাল লেবু (নৌকা) ৫০০৫১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী অধ্যক্ষ আবু সাঈদ (আনারস) ৩৬৪৩৬ ভোট পেয়েছেন।

কালিহাতী উপজেলায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র)প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনছার আলী (আনারস) ৬৮ হাজার ৯৮২ ভোট পেয়ে জয় লাভ করেছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মোজহারুল ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু (নৌকা) ২৬ হাজার ৬১৭ ভোট পেয়েছেন।

বাসাইল উপজেলায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী অলিদ ইসলাম (আনারস) ৩৫ হাজার ৩৬১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মতিয়ার রহমান গাউস (নৌকা) ১৩৮৭৬ ভোট পেয়েছেন।

এছাড়াও ধনবাড়ী উপজেলায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হারুনার রশিদ হীরা (নৌকা), মধপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ছরোয়ার আলম খান আবু (নৌকা), গোপালপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ইউনুছ ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু (নৌকা) বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০১৯
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।