নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে মঙ্গলবার (১৮ জুন) সন্ধ্যায় পঞ্চম ধাপের ভোটগ্রহণ শেষে তিনি সাংবাদিকদের একথা জানান।
মো. আলমগীর বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ছিনতাই ও একটি কেন্দ্রে পাঁচটি ব্যালটে সিল মারার মতো ছোট ঘটনা ছাড়া ভোটগ্রহণ খুব ভালো হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ২০টি উপজেলা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করেছে ইসি। এরমধ্যে চারটি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হয়। ইভিএমে ভোটের ফলাফল আসতে দেরি হওয়ার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, নতুন প্রযুক্তি। অভ্যস্ত হতে একটু সময় দিন। আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে।
মো. আলমগীর বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া প্রযুক্তিতে একদিনে আজকের অবস্থানে আসেনি। আমাদেরও একটু সময় দিন।
যেসব উপজেলায় নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে এগুলো হলো-শেরপুরের নকলা, নাটোরের নলডাঙ্গা, সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ, পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী, বরগুনার তালতলী, নারায়ণগঞ্জ বন্দর, গাজীপুর সদর, রাজবাড়ীর কালুখালী, হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ, মাদারীপুর সদর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর, নোয়াখালী সদর, রাজশাহীর পবা, নেত্রকোণার পূর্বধলা, সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ, কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া, ফেনীর ছাগলনাইয়া ও খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা।
এসব উপজেলার মধ্যে চারটি উপজেলা অর্থাৎ গাজীপুর সদর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর, নোয়াখালী সদর ও নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ভোট নেওয়া হয়েছে। প্রায় ২৪ লাখ ভোটার এ নির্বাচনে ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পয়েছেন।
নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৫৯ জন, ভাইস চেয়ারম্যান ১০০ জন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। শেষ ধাপের নির্বাচনে দু’জন চেয়ারম্যান পদে ও দু’জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন গত ১০ মার্চ শুরু হয়। এরপর দ্বিতীয় ধাপে ১৮ মার্চ, তৃতীয় ধাপে ২৪ মার্চ, চতুর্থ ধাপে ৩১ মার্চ ভোটগ্রহণ করে নির্বাচন কমিশন। এরমধ্যে চতুর্থ ধাপে ৩১ মার্চ ছয়টি উপজেলায় এবং ২৪ মার্চ তৃতীয় ধাপেও চারটি উপজেলায় ইভিএমে ভোটগ্রহণ করে ইসি।
বাংলাদেশ সময়: ২০০১ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০১৯
ইইউডি/এএ