ইসির উপ-সচিব মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত নির্দেশনাটি এরইমধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রার্থী এবং রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, কমিশন জানতে চেয়েছিল কোন কোন প্রার্থী সময়মতো ব্যয়ের হিসাব জমা দেননি।
অন্যদের বিরুদ্ধে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীরাই বেশি রয়েছে, বলেন মিজানুর রহমান।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী, নির্বাচিত প্রার্থীদের গেজেট প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে ব্যয়ের হিসেব প্রতিদ্বন্দ্বী সব প্রার্থীকে দিতে হয়। কোনো প্রার্থী নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব নির্ধারিত সময়ে মধ্যে জমা না দিলে, তার বিরুদ্ধে মামলা করার বিধান রয়েছে।
গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর বিজয়ী প্রার্থীদের গেজেট ১ জানুয়ারি প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। সে অনুযায়ী নির্ধারিত সময় শেষ হয়েছে পাঁচ মাস আগে।
আইন অনুযায়ী, যথাসময়ে হিসাব না দিলে দুই থেকে সাত বছর কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩৯টি নিবন্ধিত দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মিলিয়ে এই নির্বাচনে মোট ১ হাজার ৮৬১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এদের মধ্যে দলীয় প্রার্থী ১ হাজার ৭৩৩ জন। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী ১২৮ জন। নির্বাচনী আইন অনুযায়ী, সব প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকেই নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তাদের দেওয়া নির্দেশনায় বলা হয়েছে- যেসব প্রার্থী নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব জমা দেননি এমনকি সময় চেয়ে আবেদনও করেননি, তাদের বিরুদ্ধে আরপিও অনুয়ায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে ইসি।
এবার সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীর জন্য ভোটার প্রতি গড় ব্যয় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল ১০ টাকা। তবে সর্বোচ্চ ব্যয় ২৫ লাখ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল।
২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচনের পর জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ যথাসময়ে ব্যয়ের হিসাব না দেওয়ায়, তার বিরুদ্ধে মামলা করেছিল ইসি। সে সময় ভোটার প্রতি ব্যয় ধরা হয়েছিল ৮ টাকা। সেবারও সর্বোচ্চ ব্যয় ছিল ২৫ লাখ টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১২ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০১৯
ইইউডি/জেডএস