ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

এরশাদের আসনে ভোট, ইসির ভাবনায় ১১দিন

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩৭ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১৯
এরশাদের আসনে ভোট, ইসির ভাবনায় ১১দিন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ (ফাইল ফটো)

ঢাকা: সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির সদ্য প্রয়াত চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শূন্য ঘোষিত আসনে উপ-নির্বাচনের জন্য সুবিধাজনক সময় খুঁজছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে সেপ্টেম্বর শেষ সাতদিন ও অক্টোবর প্রথমদিকের ৪দিন মোট ১১টি দিবসকে আমলে নেওয়া হচ্ছে।

সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচএম এরশাদ গত ১৪ জুলাই চিকৎসাধীন অবস্থায় রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মারা যান। তাই সংসদ সচিবালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) আ ই ম গোলাম কিবরিয়া মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) আসনটি শূন্য হওয়ার গেজেট প্রকাশ করেন।

রংপুর-৩ আসন থেকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে এরশাদ আমৃত্যু বিরোধীদলীয় নেতার দায়িত্বে ছিলেন।

সংবিধানের ১২৩(৪) দফায় বলা হয়েছে- ‘সংসদ ভাঙিয়া যাওয়া ব্যতীত অন্য কোনো কারণে সংসদের কোনো সদস্যপদ শূন্য হইলে পদটি শূন্য হইবার নব্বই দিনের মধ্যে উক্ত শূন্যপদ পূর্ণ করিবার জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে (তবে শর্ত থাকে যে, যদি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের মতে, কোনো দৈব-দুর্বিপাকের কারণে এই দফার নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে উক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব না হয়, তাহা হইলে উক্ত মেয়াদের শেষ দিনের পরবর্তী নব্বই দিনের মধ্যে উক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে)।

ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, আসন্ন শূন্য হওয়ার দিন থেকেই নব্বই দিন গণনা করা হয়। এক্ষেত্রে আগামী ১১ অক্টোবরের মধ্যে ওই আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা আছে।
 
সংসদ সচিবালয়ের আসন শূন্য ঘোষণা করার গেজেট ইসির হাতে আসলে আসনটিতে উপ-নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি। এক্ষেত্রে ইসি সচিবালয় এ ভোটের জন্য ১১টি দিবসকে প্রস্তাব করেছে কমিশনের কাছে।
 
প্রস্তাবনায় উল্লেখ করা হয়েছে-চলতি বছরের ১২ আগস্ট ঈদ উল আজহা, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস, ২৩ আগস্ট জন্মাষ্টমী এবং আগস্ট মাসের ৮/৯ তারিখ পবিত্র হজ পালন হবে। আর ৮ অক্টোবর দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
 
যেকোনো নির্বাচনের জন্য তফসিল ঘোষণার পর থেকে ৩৫-৪৫ দিন সময়ের প্রয়োজন হয়। এসব দিক বিবেচনায় সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহের সুবিধাজনক যেকোনো দিন, ১ থেকে ৩ অক্টোবরের অথবা ১০ অক্টোবর রংপুর-৩ আসনের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।
 
অক্টোবরে নির্বাচন সম্পন্ন করতে হলে আগস্টের শেষ অথবা ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আর সেপ্টেম্বরের শেষে নির্বাচন করতে হলে ২০ আগস্টের মধ্যে তফসিল ঘোষণা করতে হবে।
 
এমন প্রস্তাবনার ওপর কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়ে যে তারিখ দেবে, সেই তারিখে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
 
ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান বাংলানিউজকে জানান, আমরা আগস্টকে পার করেই ভোটের প্রক্রিয়ায় যেতে চাচ্ছি। বন্যা পরিস্থিতি একটু দেখি। এছাড়া আগস্টে বেশকিছু দিবস উদযাপন, জাতীয় অনুষ্ঠান আছে। কমিশনের কাছে আমরা একটি প্রস্তাবনা দিচ্ছি। যে সিদ্ধান্ত আসবে সে অনুযায়ীই ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা হওয়ার কথা রয়েছে রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তারা। ৩০ ডিসেম্বরের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় এ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হয়েছে। এজন্য উপ-নির্বাচনেও ইভিএমে ভোট করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দীর্ঘদিন ধরে ব্লাড ক্যান্সারে ভুগে নব্বই বছর বয়ে মারা যান। তার মৃত্যুর পর উপ-নির্বাচনে কে হতে পারেন প্রার্থী, এ নিয়ে এরই মধ্যে দলটির ভেতরে নানা আলোচনা শুধু হয়েছে। দলের শীর্ষ নেতারা বৈঠকও করছেন।

** এরশাদের আসন শূন্য ঘোষণা, ৯০ দিনের মধ্যে ভোট

বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১৯
ইইউডি/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।