আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান এইচটি ইমামের নেতৃত্বে বুধবার (৩১ জুলাই) নির্বাচন কমিশন (ইসি) কার্যালয়ে ইসি সচিব মো. আলমগীরের কাছে একটি প্রতিনিধিদল দলের আয়-ব্যয়ের-হিসাব জমা দেন।
ইসির মিডিয়া সেন্টারে এইচটি ইমাম বলেন, এবার দলের আয় হয়েছে ২৪ কোটি ২৩ লাখ ৪২ হাজার ৭০৭ টাকা।
ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দলটির আয় টানা ৬ বছর ধরেই বাড়ছে। ২০১৭ সালে আওয়ামী লীগেরর আয় ছিল ২০ কোটি ২৪ লাখ ৯৬ হাজার ৪৩৬ টাকা। একই বছরে দলটির ব্যয় হয়েছে ১৩ কোটি ৬৩ লাখ ৪৮ হাজার ৩১৯ টাকা। বছর শেষে তাদের ৬ কোটি ৬১ লাখ ৪৮ হাজার ১১৭ টাকা উদ্বৃত ছিল।
২০১৬ সালে দলটির আয় হয়েছিল ৪ কোটি ৮৪ লাখ ৩৪ হাজার ৯৭ টাকা। ব্যয় হয়েছিল ৩ কোটি ১ লাখ ৮৪ হাজার ৭৯৯ টাকা। উদ্বৃত ছিল ১ কোটি ৮২ লাখ ৪৯ হাজার ২৯৯ টাকা।
২০১৫ সালে আওয়ামী লীগ আয় করে ৭ কোটি ১১ লাখ ৬১ হাজার ৩৭৫ টাকা। ব্যয় করে ৩ কোটি ৭২ লাখ ৮১ হাজার ৪৬৯ টাকা। ওই বছরও দলটি প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা উদ্বৃত্ত ছিল।
২০১৪ সালে দলটি আয় দেখিয়েছে ৯ কোটি ৫ লাখ ৪৫ হাজার ৬৪৩ টাকা। আর ব্যয় দেখিয়েছিল ৩ কোটি ৪৪ লাখ ৪০ হাজার ৮২১ টাকা। এতে প্রায় সাড়ে ৫ কোটি টাকা উদ্বৃত্ত ছিল আওয়ামী লীগের।
২০১৩ সালে আওয়ামী লীগ আয় দেখিয়েছিল ১২ কোটি ৪০ লাখ টাকা। আর ব্যয় দেখিয়েছিল ৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এ বছর প্রায় ৬ কোটি টাকা দলটির উদ্বৃত্ত ছিল।
২০০৮ সালে নিবন্ধন প্রথা চালুর পর গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ মেনে প্রতিবছর আর্থিক লেনদেনের হিসাব দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর।
কোনো দল পরপর তিন বছর আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা না দিলে ইসি চাইলে তার নিবন্ধন বাতিল করতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৮ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১৯
ইইউডি/এএটি