জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শূন্যঘোষিত রংপুর-৩ আসনে আগামী ৫ অক্টোবর (শনিবার) উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাড়ি বাড়ি গিয়ে নতুন ভোটারদের তথ্য সংগ্রহের কাজ শেষ।
রংপুর-৩ আসনটি সদর উপজেলা এবং ১ থেকে ৮ নম্বর ছাড়া রংপুর সিটি করপোরেশনের ৯ থেকে ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত।
ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, এ আসনের মোট ভোটার ৪ লাখ ৪২ হাজার ৭২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ২১ হাজার ৩১০ জন ও নারী ভোটার ২ লাখ ২০ হাজার ৭৬২ জন। এখানে নতুন ভোটারদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
এ বিষয়ে ইসির যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান বাংলানিউজকে বলেন, নতুন ভোটাররা চূড়ান্তভাবে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবেন আগামী ৩১ জানুয়ারি। এটা আইনেই আছে। তাই তাদের ভোট দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
তফিসল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৯ সেপ্টেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১১ সেপ্টেম্বর। আর প্রার্থিতা প্রত্যাহার ১৬ সেপ্টেম্বর। পুরো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএমে)।
আগামী ১২ থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে আপিল গ্রহণ করা হবে। আপিল নিষ্পত্তি করা হবে ১৫ সেপ্টেম্বর (রোববার)।
নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে রংপুরের সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে নিয়োগ করা হয়েছে।
সাবেক সামরিক শাসক এইচএম এরশাদ গত ১৪ জুলাই (রোববার) চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মারা যান। তার পরিপ্রেক্ষিতে সংসদ সচিবালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) আ. ই. ম গোলাম কিবরিয়া মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) আসনটি শূন্য হওয়ার গেজেট প্রকাশ করেন।
সংবিধান অনুযায়ী, কোনো আসন শূন্য হওয়ার পরের নব্বই দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হয়। সে অনুযায়ী আগামী ১১ অক্টোবরের (শুক্রবার) মধ্যে এ আসনটিতে ভোটের বাধ্যবাধকতা আছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে গত ১ সেপ্টেম্বর (রোববার) ভোটের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১৯
ইইউডি/জেডএস