ইসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছে, নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসে স্মার্টকার্ড বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন। এজন্য সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২০ ডিসেম্বর (শুক্রবার)।
জানাগেছে, গত ৫ নভেম্বর অনলাইনে প্রবাসীদের ভোটার করে নেওয়ার কার্যক্রম উদ্বোধন করে ইসি। এরপর থেকে প্রতিদিন ৫০টির মতো আবেদন পড়ছে অনলাইনে। তারপর এগুলো আবেদনকারী প্রবাসীদের নিজের উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে পাঠানো হচ্ছে। সেখান থেকে ইতিবাচক তদন্ত প্রতিবেদন এলেই সংশ্লিষ্টদের স্মার্টকার্ড ছাপিয়ে মালয়েশিয়া নিয়ে যাওয়া হবে।
ইসির একটি টেকনিক্যাল টিম যাবে সেখানে। যারা প্রবাসী নাগরিকদের ১০ আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশের প্রতিচ্ছবি নিয়ে স্মার্টকার্ড সরবরাহ করবেন।
তবে এটি হবে পরীক্ষামূলক সরবরাহ কার্যক্রম। পরে এটি ধারাবাহিকভাবে চলতে থাকবে।
মালয়েশিয়ার কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করার পর দুবাইতেও স্মার্টকার্ড সরবরাহ করবে ইসি। দুবাইতে অনলাইনে ভোটার কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয় গত ১৮ নভেম্বর (সোমবার)।
মালয়েশিয়া ও দুবাই প্রবাসী বাংলাদেশিরা services.nidw.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে আবেদন করতে পারছেন। পরে পর্যায়ক্রমে যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, সিঙ্গাপুরসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে কার্যক্রম শুরু হবে।
আবেদনের সঙ্গে যেসব দলিলাদি সংযুক্ত করতে হচ্ছে
বৈধ পাসপোর্টের কপি; বিদেশি পাসপোর্টধারী হলে দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদের কপি বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতিপত্র; বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে শনাক্তকারী একজন প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকের পাসপোর্টের কপি; বাংলাদেশে বসবাসকারী রক্তের সম্পর্কের কোনো আত্মীয়ের নাম, মোবাইল নম্বর ও এনআইডি নম্বরসহ অঙ্গীকারনামা; বাংলাদেশে কোথাও ভোটার হয়নি মর্মে লিখিত অঙ্গীকারনামা; সংশ্লিষ্ট দূতাবাসের প্রত্যয়নপত্র।
স্মার্টকার্ড বা এনআইডি ছাড়া বর্তমানে বাসাভাড়াও অনেক জায়গায় মিলছে না। এই কার্ডের মাধ্যমে বর্তমানে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ ৫০টির বেশি সংস্থা, বিভাগ সেবা দিচ্ছে। এছাড়া ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠানও এনআইডি ছাড়া কোনো সেবা দিচ্ছে না। এমন একটি জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় রাষ্ট্রীয় আইডি প্রবাসীদের অনেক সমস্যাই দূর করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিভিন্ন দেশে প্রায় দেড় কোটির মতো প্রবাসী বাংলাদেশি অবস্থান করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৯
ইইউডি/জেডএস