ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

ইউপি ভোট: নির্বাচনী এলাকায় অনুদান-ত্রাণ বিতরণ নয়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪০ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০২১
ইউপি ভোট: নির্বাচনী এলাকায় অনুদান-ত্রাণ বিতরণ নয়

ঢাকা: আগামী ১১ এপ্রিল প্রথম ধাপে ৩৭১টি ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। তাই নির্বাচনের কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় অনুদান ও ত্রাণ বিতরণ না করার পাশাপাশি কোনো উন্নয়নমূলক প্রকল্প অনুমোদন না নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) ইসির উপ-সচিব আতিয়ার রহমান নির্দেশনাটি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিতে পাঠিয়েছেন।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, প্রথম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ সাধারণ নির্বাচন আগামী ১১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে। পর্যায়ক্রমে কয়েক ধাপে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন সম্পন্ন করা হবে। ইউনিয়ন পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ (সংলগ্নী-১) এর বিধি ৪ অনুযায়ী নির্বাচন আগে অর্থাৎ নির্বাচনী তফসিল
ঘােষণার তারিখ থেকে নির্বাচনের ফলাফল সরকারি গেজেটে প্রকাশের তারিখ পর্যন্ত কোনো প্রার্থী বা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা তাহার পক্ষ থেকে অন্য কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান বা রাজনৈতিক দল নির্বাচনের আগে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ বা ইউনিয়নে কোনো প্রতিষ্ঠানে প্রকাশ্যে বা গােপনে চাঁদা বা অনুদান দেওয়া বা দেওয়ার অঙ্গীকার করতে পারবেন না।

এ বিধিমালার বিধান লঙ্ঘন দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে এবং এ ধরনের অপরাধের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি আচরণ বিধিমালার বিধি-৩১ অনুযায়ী দণ্ডনীয় হবেন।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, নির্বাচন সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে নতুন ভিজিডি কার্ড ইস্যু কার্যক্রমসহ নতুন কোনো প্রকার অনুদান/ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু করা যাবে না। তবে আগে অনুমােদিত ও চলমান প্রকল্পের অর্থ অবমুক্ত, অর্থছাড় ও বিল পরিশােধ, অনুমােদিত প্রকল্পের প্রশাসনিক আদেশ জারি, চলমান প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো, প্রকল্পের খাত পরিবর্তন (রাজস্ব-মূলধন) এবং অন্যান্য কার্যক্রম গ্রহণ/কার্যাদি সম্পাদন অথবা আচরণ বিধি প্রতিপালনপূর্বক চলমান প্রকল্পের দৈনন্দিন কার্যক্রমের জন্য ইসির সম্মতির প্রয়ােজন নেই।

এদিকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে পাঠানো নির্দেশনায় বলা হয়েছে-নির্বাচনকে প্রভাবমুক্ত রাখার লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় কোনো প্রার্থী সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের কোনো সম্পত্তি তথা অফিস, যানবাহন, মােবাইল ফোন, টেলিফোন, ওয়াকিটকি বা অন্য কোন সুযােগ-সুবিধা নির্বাচনের কাজে ব্যবহার করতে পারবেন না। এমনকি, মাশুল দিলেও এগুলাে ব্যবহার করা যাবে না।  

ইউনিয়ন পরিষদের কোনো কর্মকর্তা/কর্মচারীকে কোনো অবস্থাতেই নির্বাচনের কাজে ব্যবহার করা যাবে না। এছাড়া কোন প্রার্থী ইউনিয়ন পরিষদের দরপত্র আহ্বান কিংবা বাতিলের বিষয়েও সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না।

ইউনিয়ন পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এর বিধি ২৫ অনুসারে নির্বাচনকে প্রভাবমুক্ত রাখতে নির্বাচন কার্যক্রম সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় নতুন অনুদান কার্যক্রম স্থগিত রাখতে হবে। একইসঙ্গে নির্বাচন আগে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বা সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্য বা সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য বা অন্য কোনো পদাধিকারী সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় উন্নয়নমূলক কোনো প্রকল্প অনুমােদন দিতে পারবেন না। এ বিষয়ে নির্দেশনা জারি করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

ইউপি নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ১৮ মার্চ, বাছাই ১৯ মার্চ। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৪ মার্চ। আর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ১১ এপ্রিল।

৩৭১ ইউপির তালিকা দেখতে ক্লিক করুন

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০২১
ইইউডি/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।