ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

সিলেট-৩ আসনে উপ-নির্বাচন

শেষ বয়সে ইভিএমে ভোট দিলেন আশি-ঊর্ধ্ব বৃদ্ধ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৪, ২০২১
শেষ বয়সে ইভিএমে ভোট দিলেন আশি-ঊর্ধ্ব বৃদ্ধ

সিলেট: সিলেট-৩ আসনে উপ-নির্বাচনে প্রথমবারের মতো শেষ বয়সে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট দিয়েছেন আফতাব আলী নামে আশি-ঊর্ধ্ব এক বৃদ্ধ।  

শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে দক্ষিণ সুরমার কুচাই ইউনিয়নের শ্রীরামপুর বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন তিনি।

 

দুই নাতি রাসেল আহমদ ও স্বপন আহমদের হাতে হাত ধরে তিনি ভোট দিয়ে বেরিয়ে যান কেন্দ্র থেকে।  

এ বয়সে প্রথমবার ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট দিতে পেরে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, মেশিনে ভোট দিতে গিয়ে মোটেও সময় লাগেনি। এ পদ্ধতি খুবই সহজ।  

ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার নজরুল ইসলাম বলেন, ইভিএম পদ্ধতিতে মানুষ খুব সহজে ভোট দিতে পারছে। তাই কেন্দ্রে ভোটারদের লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে না।  

ওই কেন্দ্রের টেকনিক্যাল এক্সপার্ট রাসেল আহমদ বলেন, সকাল থেকে দু’জনের আঙুলের ছাপ না আসায় ভোট দিতে পারেননি। তাদের সমস্যা নির্বাচন অফিসে গিয়ে সমস্যার সমাধান করতে হবে।  

এর আগে সকাল ১০টার দিকে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার মোগরাবাজার ইউনিয়নের রেবতীরমণ উচ্চ বিদ্যালয়ে ভোট দিতো যান জাতীয় পার্টির প্রার্থী আতিকুর রহমান। সে সময় তার আঙুলের ছাপ না আসায় তিনি ভোট দিতে পারেননি।  

আতিকুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, আমি ভোট দিতে গেলে ইভিএম মেশিনে ত্রুটির কারণে ভোট দিতে পারিনি। এভাবে অনেক ভোটার ভোট দিতে না পেরে ফিরে যাচ্ছেন।  

তিনি বলেন, কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসারকে এটা ঠিক করতে বলেছি। এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দেবেন তিনি।  

ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার মাসুদ রানা বলেন, ইভিএম মেশিনে কিছুটা সমস্যা হয়েছিল। আঙুলের ছাপ আসছিল না। তবে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি।  

এবারই প্রথম সিলেটের দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ নিয়ে গঠিত সিলেট-৩ আসনের নির্বাচনে তিন উপজেলার সাড়ে ৩ লক্ষাধিক ভোটার ব্যালট বিহীন ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসে ভোট দিচ্ছেন। সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট উৎসব শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

এ আসনে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব, জাতীয় পার্টির আতিকুর রহমান আতিক, বিএনপি থেকে বহিস্কৃত ও সাবেক সাংসদ শফি আহমেদ চৌধুরী ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের জুনায়েদ মোহাম্মদ মিয়া।

চলতি বছরের ১১ মার্চ করোনায় সংক্রমিত অবস্থায় সিলেটের গুরুত্বপূর্ণ এ আসনটির সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী মারা যান। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১২৩ এর দফা (৪) অনুযায়ী, উক্ত শূন্য আসনে ৮ জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা থাকলেও করোনার কারণে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব হয়নি। এ অবস্থায় শূন্য আসনটিতে ৮ জুন পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তফসিল ঘোষণা করে ইসি। সেই তফসিল অনুযায়ী গত ২৮ জুলাই এ আসনের উপ-নির্বাচন ইভিএম পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় এর দু’দিন আগে ভোটগ্রহণ স্থগিত করেন আদালত। পরবর্তীতে ৪ সেপ্টেম্বর ভোটগ্রহণের দিন ধার্য করে ইলেকশন কমিশন।

বাংলাদেশ সময়: ঘন্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০২১
এনইউ/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।