ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

কুসিক ভোট: সাংবাদিক কার্ড মিলবে আগামী সপ্তাহে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৪ ঘণ্টা, জুন ২, ২০২২
কুসিক ভোট: সাংবাদিক কার্ড মিলবে আগামী সপ্তাহে

ঢাকা: কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনের খবর সংগ্রহ করতে আগামী সপ্তাহ থেকে সাংবাদিক কার্ড দেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে ঢাকায় কর্মরতদের কার্ড দেওয়া হবে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবন থেকে।

আর স্থানীয় সাংবাদিকদের কার্ড দেওয়া হবে কুমিল্লায় রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে।

ইসির যুগ্ম সচিব ও জনসংযোগ পরিচালক বৃহস্পতিবার (২ জুন) এস এম আসাদুজ্জামান বিষয়টি জানিয়েছেন। এছাড়া সাংবাদিক কার্ড সরবরাহের জন্য একটি নির্দেশনায় তিনি পাঠিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তাকে।

এতে উল্লেখ করা হয়েছে, আগামী ১৫ জুন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে শুধু ভোটার ও নির্বাচন কমিশনের অনুমোদিত পরিচয়পত্রধারীরাই ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন।

স্থানীয় সাংবাদিকদের পরিচয়পত্র ও গাড়ির স্টিকার রিটার্নিং অফিসার দেবেন। এ নির্বাচনে ঢাকা থেকে যেসব সংবাদিক সংবাদ কভার করতে কুমিল্লা যাবেন তাদের পরিচয়পত্র ও গাড়ির স্টিকার নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে দেওয়া হবে।

কতজন স্থানীয় সাংবাদিককে পরিচয়পত্র দেওয়া যায় তা স্থানীয় প্রেসক্লাব বা সাংবাদিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে নির্ধারণ করা যেতে পারে। প্রয়োজনে সাংবাদিকদের আবেদন যাচাই-বাছাই করে পরিচয়পত্র ও গাড়ির স্টিকার দেওয়ার জন্য রিটার্নিং অফিসার একটি কমিটি গঠন করে দিতে পারেন।

সংবাদ মাধ্যমের নিউজ এডিটর/চিফ রিপোর্টার/বার্তা প্রধান/ব্যুরো প্রধান/জেলা প্রতিনিধি সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকের পরিচয়পত্র, জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, সদ্য তোলা এক কপি পাসপোর্ট ও এক কপি স্ট্যাম্প সাইজ রঙিন ছবিসহ আবেদন করলে তাদের দলিলাদি যাচাই-বাছাই করে যৌক্তিক সংখ্যক সাংবাদিক কার্ড ও গাড়ির স্টিকার ইস্যু করতে হবে। যেসব সাংবাদিকদের অনুমোদন দেওয়া হবে তাদের বিস্তারিত তথ্য কার্ড নম্বরসহ রেজিস্টারে লিখে রাখতে হবে এবং নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে পাঠাতে হবে। ইস্যুকৃত কার্ডে রিটার্নিং/ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তার স্বাক্ষর ও সিল দিতে হবে।

সরকার কর্তৃক অনুমোদিত অনলাইন নিউজ এজেন্সি ও আইপি টিভির সাংবাদিকদেরও সাংবাদিক কার্ড দিতে হবে। এছাড়া অনলাইন নিউজ এজেন্সি ও অনলাইন টিভির সাংবাদিকদের ক্ষেত্রে যেসব অনলাইন এজেন্সি/অনলাইন টিভির অন্তত একজন সাংবাদিকের নামে তথ্য অধিদপ্তরের (পিআইডি) অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড রয়েছে, সেসব অনলাইন প্রতিষ্ঠানের সাংবাদিকদের যৌক্তিক সংখ্যক পরিচয়পত্র ও গাড়ির স্টিকার দেওয়া যাবে। পিআইডির অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড নেই এমন কোনো অনলাইন পোর্টাল ও অনলাইন টিভির সাংবাদিকদের সাংবাদিক কার্ড ইস্যু করা যাবে না। ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের প্রযুক্তিগতভাবে সহায়তা করার জন্য যেসব সাপোর্ট স্টাফ নিয়োজিত থাকবেন তাদের সাপোর্ট স্টাফ (মিডিয়া) কার্ড দিতে হবে। কোনো সাংবাদিকের জন্য গাড়ির স্টিকার দেওয়া হলে স্টিকারে নম্বর দিতে হবে এবং তা রেজিস্টারে লিখে রাখতে হবে।

নির্বাচনী সংবাদ সংগ্রহ করার সময় সাংবাদিক ও সাপোর্ট স্টাফদের (মিডিয়া) নির্বাচন কমিশনের সাংবাদিকতা বিষয়ক নীতিমালা মেনে চলতে হবে।  

ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের সময় সাংবাদিকদের বিষয়ে নির্দেশনাসমূহ জানিয়ে দিতে হবে। নির্দেশনাসমূহ যেসব সাংবাদিকদের পরিচয়পত্র দেওয়া হবে তাদেরও জানাতে হবে।

প্রয়োজনীয় সংখ্যক সাংবাদিক পরিচয়পত্র, সাপোর্ট স্টাফ (মিডিয়া) পরিচয়পত্র এবং গাড়ির স্টিকার অন্যান্য নির্বাচনী মালামাল সংগ্রহের সময় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জনসংযোগ শাখা থেকে সংগ্রহ করতে হবে।

সাংবাদিকরা যেভাবে ভোটের খবর সংগ্রহ করবেন-
নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে প্রদত্ত বৈধ কার্ডধারী সাংবাদিক সরাসরি ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন। ভোটকেন্দ্রে প্রবেশের পর প্রিজাইডিং অফিসারকে অবহিত করে ভোটগ্রহণ কার্যক্রমের তথ্য সংগ্রহ, ছবি তোলা এবং ভিডিও ধারণ করতে পারবেন। তবে কোনোক্রমেই গোপন কক্ষের ছবি সংগ্রহ কিংবা ধারণ করতে পারবেন না। একইসঙ্গে একাধিক মিডিয়ার সাংবাদিক একই ভোটকক্ষে প্রবেশ করতে পারবেন না এবং ১০ মিনিটের বেশি ভোটকেন্দ্রে থাকতে পারবেন না।

ভোটকক্ষে নির্বাচনী কর্মকর্তা, নির্বাচনী এজেন্ট বা ভোটারদের সাক্ষাৎকার নিতে পারবেন না। ভোটকক্ষের ভেতর থেকে কোনোভাবেই সরাসরি সম্প্রচার করা যাবে না।

ভোটকেন্দ্রের ভেতর থেকে সরাসরি সম্প্রচার করতে হলে ভোটকক্ষ থেকে নিরাপদ দূরত্বে গিয়ে তা করতে হবে, কোনোক্রমেই ভোটগ্রহণ কার্যক্রমে বাধার সৃষ্টি করা যাবে না।

সাংবাদিকরা ভোটগণনা কক্ষে ভোট গণনা দেখতে পারবেন, তবে সরাসরি সম্প্রচার করতে পারবেন না।

ভোটকক্ষ থেকে ফেসবুকসহ কোনো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরাসরি প্রচার করা যাবে না, কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ কার্যক্রম ব্যাহত হয় এমন সব কাজ থেকে বিরত থাকবেন।

ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিকরা প্রিজাইডিং অফিসারের আইনানুগ নির্দেশ মেনে চলবেন, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাজে কোনোরূপ হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না।

কোনো প্রকার নির্বাচনী উপকরণ স্পর্শ বা অপসারণ করতে পারবেন না।

নির্বাচনী সংবাদ সংগ্রহের সময় প্রার্থী বা কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে বা বিপক্ষে যেকোনো ধরনের প্রচারণা বা বিদ্বেষমূলক প্রচারণা হতে বিরত থাকবেন।

নির্বাচন অনুষ্ঠানে সহায়তার জন্য নির্বাচনী আইন ও বিধিবিধান মেনে চলবেন।

এসব নির্দেশনা পালন না করলে বা তার ব্যত্যয় ঘটলে উক্ত প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আইন, বিধি ও কোড অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, জুন ০২, ২০২২
ইইউডি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।