ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

রসিক নির্বাচন: ঋণ খেলাপিদের তথ্য দিতে অর্থ বিভাগকে নির্দেশনা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০২২
রসিক নির্বাচন: ঋণ খেলাপিদের তথ্য দিতে অর্থ বিভাগকে নির্দেশনা

ঢাকা: আসন্ন রংপুর সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনের প্রার্থীদের মধ্যে কে ঋণ খেলাপি, তা জানাতে অর্থ বিভাগকে নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী ২৭ ডিসেম্বর এই সিটিতে ভোটগ্রহণ হবে।

ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান জানিয়েছেন, সম্প্রতি নির্দেশনাটি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সচিবকে পাঠানো হয়েছে।

এতে উল্লেখ করা হয়েছে- নির্বাচনি আইন ও বিধি অনুসারে ঋণ খেলাপি ব্যক্তিরা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন না। উল্লেখিত নির্বাচনে ঋণ খেলাপি ব্যক্তিরা মনোনয়নপত্র দাখিল করলে যাতে তাদের প্রার্থী হিসেবে অযোগ্য ঘোষণা করা যায়, তার জন্য আইনে নির্ধারিত সব ব্যাংক থেকে ঋণ খেলাপি সংক্রান্ত তথ্য সরবরাহ করা আবশ্যক।

মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন বিকেল ৪টার পর মনোনয়নপত্র দাখিলকারীদের নাম, পিতা/মাতা/ স্বামীর নামও প্রয়োজনীয় অন্যান্য তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক স্ব-উদ্যোগে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের কাছ হতে সংগ্রহ করার জন্য এবং সে আলোকে বিভিন্ন ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারকে ঋণ খেলাপি সংক্রান্ত তথ্য সরবরাহ করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া প্রয়োজন।

এ অবস্থায় ওই নির্বাচন উপলক্ষে ঋণ খেলাপি সংক্রান্ত তথ্য মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন কিংবা তার আগে রিটার্নিং অফিসারকে প্রদান এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদেরকে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় রিটার্নিং অফিসারের দফতরে উপস্থিত থাকার নির্দেশনা প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ২৯ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ১ ডিসেম্বর, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের ৪ ডিসেম্বর, আপিল নিষ্পত্তি ৭ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ৮ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ হবে ৯ ডিসেম্বর এবং ভোটগ্রহণ করা হবে ২৭ ডিসেম্বর।

২০১৭ সালের ২১ ডিসেম্বর এই সিটিতে সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছিল। নির্বাচিত করপোরেশনের প্রথম সভা হয়েছিল ২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি। সে মোতাবেক এ সিটির বর্তমান নির্বাচিতদের  মেয়াদ শেষ হবে ২০২৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি। আর এই সময়ের পূর্বের ১৮০ দিনের মধ্যেই ভোটগ্রহণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০২২
ইইউডি/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।