ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন

অধিকাংশ পৌরসভায় বিদ্রোহী প্রার্থী

শামীম খান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০১৫
অধিকাংশ পৌরসভায় বিদ্রোহী প্রার্থী

ঢাকা: অধিকাংশ পৌরসভাতেই দল মনোনীত প্রার্থীর বিপরীতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আগে থেকেই একক প্রার্থী নিশ্চিত করার ওপর জোর দিলেও প্রায় অধিকাংশ পৌরসভাতেই দলের একাধিক প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া ঠেকানো যায়নি।



তৃণমূল থেকে আসা নামের ওপর ভিত্তি করে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার/পৌরসভা নির্বাচন বোর্ড দলের সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রার্থী চূড়ান্ত করে। গত তিন দিন ধরে দফায় দফায় বৈঠক করে এ প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়। দলীয় মনোনয়ন না পাওয়া অধিকাংশ পৌরসভায় আওয়ামী লীগ ও এর কোনো কোনো সহযোগী সংগঠনের নেতারা বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়ে গেছেন।

আগামী ৩০ ডিসেম্বর এই পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বৃহস্পতিবার ( ৩ ডিসেম্বর) ছিলো মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন।

মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হওয়ার পর সন্ধ্যায় ৩০টির মতো পৌরসভায় খবর নিয়ে জানা যায় এর প্রত্যেকটিতে দল মনোনীত প্রার্থীর বাইরে একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। কোনো কোনো পৌরসভায় ২ জন, কোথাও কোথাও ৩/৪ জন বিদ্রোহী প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
 
এসব পৌরসভায় দলীয় প্রার্থীর বাইরে বিদ্রোহী প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন সিরাজগঞ্জে ১ জন, সিরাজগঞ্জের উল্লাপড়ায় ১ জন, শাহাজাদপুরে ১ জন, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ২ জন, সুন্দরগঞ্জে ৪ জন, হবিগঞ্জে ১ জন, শায়েস্তাগঞ্জে ১ জন, ময়মনসিংহের ত্রিশালে ১ জন, চট্রগ্রামের রাউজানে ২ জন, সীতাকুন্ডুতে ২ জন, রাঙ্গুনিয়ায় ১ জন, বগুরার ধুনটে ২ জন, পাবনায় ১ জন, পাবনার চাটমহরে ১ জন, ভাঙ্গুড়ায় ১ জন, সুজানগরে ২ জন, মুন্সিগঞ্জে ২ জন, মুন্সিগঞ্জের মীরকাদিমে ২ জন, বরিশালের মুলাদীতে ৩ জন, বানারীপাড়ায় ১ জন, বরগুনায় ৩ জন, বগুনার বেতাগীতে ১ জন, বাগেরহাটে ১ জন, খুলনার পাইকগাছায় একজন, সিলেটের গোলাপগঞ্জে ২ জন, জকিগঞ্জে ১ জন, রাজবাড়ীতে ১ জন, রাজবাড়ীর পাংশায় ১ জন।

এদিকে বিদ্রোহী প্রার্থীদের ব্যাপারে আওয়ামী লীগের কঠোর অবস্থান রয়েছে বলে জানা গেছে। আগামী ১৩ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। এই সময়ের মধ্যে যারা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করবেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে দলটি।

বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও এ ব্যাপারে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছে। দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাদের দল থেকে বহিষ্কার করা হতে পারে বলে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। তবে কৌশলগত কারণে কিছু পৌরসভায় বিকল্প প্রার্থী দেওয়া হয়েছে বলেও আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা জানান। তবে ১৩ ডিসেম্বরের মধ্যে তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেবেন বলেও জানান নেতারা।
 
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেছেন, যারা দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করবে তাদের সর্বোচ্চ সাংগঠনিক শাস্তি পেতে হবে।

তিনি আরও জানান, কৌশলগত কারণে আমরা কিছু জায়গায় বিকল্প প্রার্থী দিয়েছি। তবে ১৩ ডিসেম্বরের পর কোনো বিকল্প প্রার্থীও থাকবে না।  

বাংলাদেশ সময়: ০৮৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৫
এসকে/এমজেএফ

** দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গে সর্বোচ্চ সাংগঠনিক শাস্তি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।