ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন

যশোর থেকে আসাদ জামান

আওয়ামী লীগ ৪, বিএনপি ১

আসাদ জামান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৫
আওয়ামী লীগ ৪, বিএনপি ১ ছবি: দেলোয়ার হোসেন বাদল/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

যশোর থেকে: আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে যশোরের ছয়টি পৌরসভার চারটিতে রয়েছে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী। অন্যদিকে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে একটি পৌরসভায়।

অবশ্য বিএনপি জোটের অন্যতম শরিক জামায়াতও একটি পৌরসভায় প্রার্থী দিয়েছে।
 
যশোর জেলা আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
 
তাদের দেওয়া তথ্য মতে, যশোর সদর, চৌগাছা, নওপাড়া (অভয়নগর) ও মনিরামপুর পৌরসভায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের পাশাপাশি অন্তত একজন করে বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন। এসব পৌরসভায় বিএনপির পাশাপাশি আওয়ামী লীগকে লড়তে হবে দলের বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে।
 
তবে বিষয়টিকে খুব একটা সমস্যা মনে করছেন না আওয়ামী লীগ নেতারা। তারা বলছেন, লড়াই হবে নৌকার সঙ্গে ধানের শীষের, ধানের শীষের সঙ্গে নৌকার। এখানে ব্যক্তি ইমেজ বলে কিছু নেই। জাতীয় নির্বাচনের আদলে অনুষ্ঠেয় এবারের পৌর নির্বাচনে লড়াইটা মূলত প্রতীকে প্রতীকে।
 
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার বাংলানিউজকে বলেন, চারটি পৌরসভায় বিদ্রোহী প্রার্থী ছিল। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ তাদের বহিঃষ্কারের নির্দেশ দিয়েছেন। এখন তারা দলের কেউ নন। তারা নির্বাচন করবেন স্বতন্ত্র প্রতীকে। সুতরাং তারা স্বতন্ত্র প্রার্থী।
 
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, যশোর সদর পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করছেন জহিরুল ইসলাম চাকলাদার, বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন এসএম কামরুজ্জামান চুন্নু।
 
চৌগাছায় নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করছেন নুরুদ্দিন হিমেল। দলটির বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন এস এম সাইফুল ইসলাম বাবুল। সুতরাং এই পৌরসভায় বিএনপির পাশাপাশি বিদ্রোহী প্রার্থীর সঙ্গেও লড়তে হবে আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে।
 
নওপাড়া পৌরসভায় (অভয়নগর) আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সুশান্ত দাস। দলের মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন মো. ফারুক হোসেন।
 
আর মনিরামপুর পৌরসভায় নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করছেন অধ্যক্ষ মাহমুদুল হাসান। বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন জিএম মাজিদ।
 
সুতরাং এ দুই পৌরসভায়ও আওয়ামী লীগকে লড়তে হবে বিএনপি ও নিজ দলের বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে। ভোটাররা বলছেন, চার পৌরসভায় দলের বিদ্রোহী প্রার্থীরা আওয়ামী লীগের ভোটের হিসাব বদলে দিতে পারেন।
 
এদিক থেকে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীরা। যশোরের ছয়টি পৌরসভার মধ্যে কেবল বাঘারপাড়া পৌরসভায় দলটির একজন বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন। বাকি পাঁচটি পৌরসভা যশোর সদর, চৌগাছা, নওপাড়া (অভয়নগর) মনিরামপুর ও কেশবপুরে একক প্রার্থী দিতে সক্ষম হয়েছে বিএনপি।
 
অবশ্য বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক জামায়াতের একজন মেয়র প্রার্থী রয়েছে চৌগাছা পৌরসভায়।
 
তবে, বিষয়টিকে বড় ধরনের কোনো সমস্যা মনে করছেন না বিএনপি নেতারা। তারা বলছেন, চৌগাছা পৌরসভায় জামায়াতের মেয়র প্রার্থী পুরো জামায়াতের প্রতিনিধিত্ব করছেন না। তিনি একটি অংশের প্রতিনিধিত্ব করছেন। ইতোমধ্যে গ্রেফতারও হয়েছেন জামায়াতের ওই প্রার্থী। সুতরাং ভোটের হিসাবে জামায়াতের ওই মেয়র প্রার্থী কোনো ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াবেন না।
 
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, যশোর সদর পৌরসভায় বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করছেন মারুফুল ইসলাম, বাঘারপাড়ায় আবদুল হাই মনা, নওপাড়ায় (অভয়নগর) রবিউল হোসেন রবি, কেশবপুরে আব্দুস সামাদ বিশ্বাস, মনিরামপুরে শহীদ মো. ইকবাল হোসেন ও চৌগাছায় সেলিম রেজা আউলিয়ার।
 
বিএনপি মনোনীত এই ছয় জন মেয়র প্রার্থীই সর্বশেষ পৌর নির্বাচনে ভোটযুদ্ধে বিজয়ী হয়েছিলেন। রানিং এই মেয়রদের জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী যশোর বিএনপি। তাদের দাবি, ভোট সুষ্ঠু হলে ছয় জনই পুনরায় মেয়র নির্বাচিত হবেন।
এ প্রসঙ্গে জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও প্রধান নির্বাচন সমন্বয়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন বাংলানিউজকে বলেন, সিটিং মেয়রদেরই দল থেকে মেয়র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমরা অনায়াসে জিতে আসতে পারবো।
 
বাংলাদেশ সময়: ২৩৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৫
এজেড/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।