ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন

‘আবারও একটি প্রহসনের নির্বাচন’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৫
‘আবারও একটি প্রহসনের নির্বাচন’ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: সরকারের নীলনকশা অনুযায়ী আবারও দেশে একটি প্রহসনের নির্বাচন হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, পৌরসভায় সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো লেশ দেখা যায়নি।



ভোটগ্রহণ শেষে বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন মির্জা ফখরুল।

তিনি বলেন, ২৩৪টি পৌরসভার মধ্যে ১৫৭টিতে সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের কেন্দ্র দখল, জাল ভোট প্রদান এবং বিএনপির এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ আমাদের কাছে আছে। স্থানীয় প্রিজাইডিং অফিসারদের কাছে অভিযোগ করা হলেও তারা বিষয়টি আমলে নেননি।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচন শান্তিপূর্ণ বা উৎসবের লেশমাত্র ছিলো না। মারামারি, সংঘর্ষ, গুলি, সহিংসতা পুরো নির্বাচনকে একটি ট্র্যাজেডিতে পরিণত করেছে। ব্যালট ছিনতাই, প্রকাশ্যে সিল মারা, কেন্দ্র দখলের জন্য রাষ্ট্রযন্ত্রগুলোকে ব্যবহার করা হয়েছে।

নির্বাচন কমিশন প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, কমিশন এবারও তাদের অযোগ্যতা প্রমাণ করলো। এছাড়া সরকারের প্রতি ‍অনুগত থাকার কারণে তারা আরেকবার প্রশ্নবিদ্ধ হলো।


তিনি অভিযোগ করে বলেন, এ সরকারের অধীনে কোনো দিনও সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়নি, এটাও (পৌরসভা নির্বাচন) হচ্ছে না।

সরকার অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায় না মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার ভালো করেই জানে, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তাদের ভরাডুবি হবে। যেহেতু জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, সেই কারণে কোনো অবাধ নির্বাচন তারা এই দেশে হতে দেবে না’।

পৌরসভা নির্বাচনের সঙ্গে জাতীয় নির্বাচনের সম্পৃক্ততা না থাকলেও সরকার দলীয়রা অতীতের মতো এবারও কেন্দ্র দখল করতে ছাড়েননি বলেও অভিযোগ করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি গণতন্ত্র বিশ্বাস করে বলেই সরকারের ‘চক্রান্ত-ষড়যন্ত্রের’ বিরুদ্ধে আন্দোলনের অংশ হিসেবে পৌর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। নির্বাচন কমিশন আশ্বাস দিয়েছিলো, নির্বাচন শান্তিপূর্নভাবে অনুষ্ঠিত হবে, যদিও ওই আশ্বাসে বিএনপি বিশ্বাস করেনি। নির্বাচন কমিশন আবারও অযোগ্য প্রমাণিত হয়েছে।

তিনি বলেন, সরকারের জনপ্রিয়তা শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে, সেটি উল্টো প্রমাণ করার জন্য দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করেছে তারা। একটি সরকার তখনই এসব কাজ করে, যখন তাদের নৈতিক বৈধতার প্রশ্ন দেখা দেয়।

কতোটি পৌরসভায় বিএনপির কতোজন প্রার্থী ভোট বর্জন করেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ভোট বর্জনের কোনো কথা বলা হয়নি। ৮ জনের মতো প্রার্থী স্থানীয়ভাবে ভোট বর্জন করেছেন বলে জানতে পেরেছি। তবে কেন্দ্রীয়ভাবে এর কোনো নির্দেশনা ছিলো না’।

বিএনপির নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ভোট গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রতিটি কেন্দ্রের সামনেই সবাই অবস্থান করে থাকবেন। এবং প্রতিটি কেন্দ্রের এজেন্টরা ফলাফলের সিটে স্বাক্ষর করে তার প্রমাণ নিয়ে রাখবেন’।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ড. আবদুল মঈন খান, ড. ওসমান ফারুক, আবদুল হালিম, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, মোহাম্মদ শাহজাহান, ফজলুল হক মিলন, আসাদুজ্জামান রিপন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৫
এসজেএ/এমআইএইচ/আরআই/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।