মাগুরা: মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার নহাটার খর্দফুলবাড়ি গ্রামে আওয়ামী লীগের দুই নেতার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে নারী ও শিশুসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
এসময় পাল্টা-পাল্টি হামলায় ২১ পরিবারের ৫০টি বসতঘরে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়েছে।
আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় রিজাউল (৩৮), মফিদুল (২৮), রমজান (২৫), তাহাজ্জুদ (৫০), আফরোজা (২০) ও লায়েবকে (৩২) মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা শামীম বিল্লাহ শিমুল ও ফারুক হোসেন মৃধার সমর্থকদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এর জের ধরে বুধবার বিকেলে শিমুলের সমর্থক নবাব প্রতিপক্ষ ফারুকের সমর্থক নায়েবকে মাঠে কৃষি কাজ করার সময় মারধর করেন। একপর্যায়ে ফারুকের সমথর্করা দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে শিমুলের লোকজনের ওপর হামলা চালায়। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়।
দুই নেতার সমর্থকদের মধ্যে থেমে থেকে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে এ সংঘর্ষ চলে। এতে নারী, শিশু ও বৃদ্ধসহ অন্তত ১০ জন আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সংঘর্ষের সময় সাফায়েত শেখ, হোসেন শেখ, হাসান শেখ, তোতা শেখ, আজিত শেখ, দাউদ শেখ, চাঁদ আলী, নূরোল শেখ, নজরুল শেখ, আবুলশেখ, মোদাচ্ছের মোল্যা, আজাদ মোল্যা,তাহাজ্জদ মোল্যা, শফিকুল মোল্যা, রমজান মোল্যা, শফিকুল মোল্যা, রমজান মোল্যা, রফিকুল মোল্যা, দাউদ মোল্যা, আজগর মোল্যা, নাসিরুল মোল্যা, রহমান মোল্যা, দুখু বিশ্বাস, কিবির বিশ্বাস, মন্টু বিশ্বাস, বাদশা বিশ্বাস, মফিদুল বিশ্বাস, ও রাজ্জাক বিশ্বাসের অন্তত ৫০টি বসতঘরে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এসব বাড়িঘর থেকে ধান-পাট নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার, সেলাই মেশিনসহ বিভিন্ন মালপত্র লুট করা হয়েছে বলেও তারা অভিযোগ করেছেন।
মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াজুল ইসলাম রহমান জানান, ফের সংঘর্ষ এড়াতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৫
এসআই