মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী চেয়ারম্যান প্রার্থীদের হলফনামা ও সম্পদের বিবরণী প্রকাশ উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সুজন।
সুজন সভাপতি এম হাফিজ উদ্দিন খান বলেন, যেকোনো ভোটে নির্বাচন কাঠামোতে এখন বড় ধরনের সংস্কার প্রয়োজন। এছাড়া বিভিন্ন নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপি হলেও সেখানে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। শুধু তাই নয়, জেলা পরিষদ নির্বাচনে স্থানীয় সংসদ সদস্যরা সরাসরি নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন। যা সম্পূর্ণ আচরণবিধির লঙ্ঘন। এটি নিয়ে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলেও এখন পর্যন্ত ইসি এ বিষয়ে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেয়নি।
যা দুঃখজনক বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনে বলা হচ্ছে নির্দলীয়ভাবে প্রার্থীর মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু দেশের কোথাও নির্দলীয়ভাবে জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীর মনোনয়ন দেওয়া হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন সুজনের সহ-সম্পাদক জাকির হোসেন।
লিখিত বক্তব্যে জেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রার্থীদের সম্পদের বিবরণী ও হলফনামা প্রকাশ করা হয়।
এতে বলা হয়, চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারীদের মধ্যে ১০ দশমিক ২৭ শতাংশের শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি’র (মাধ্যমিক) নিচে। ৫৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ ব্যবসায়ী। পূর্বের মামলার আসামি ২৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ ও বর্তমান মামলার আসামি ১০ দশমিক ২৭ শতাংশ। যাদের মধ্যে অনেকেই ৩০২ ধারার মামলার আসামি। শুধু তাই নয়, মোট ১৪৬ জন প্রার্থীর মধ্যে মাত্র ৫০ জন প্রার্থীর আয়কর দেওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে, অন্যদের পাওয়া যায়নি।
তফসিল অনুযায়ী, আগামী ২৮ ডিসেম্বর (বুধবার) জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৬
এসজে/জিপি/আইএ