জানা গেছে, সাম্প্রতিককালে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এ ব্যবস্থার পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চালিয়ে বেশ আশাপ্রদ কার্যকারিতা পেয়েছে ইসি। এজন্য আগামীতে সব নির্বাচনেই এ ব্যবস্থাটি চালুর উদ্যোগ নেওয়ার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।
এই ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের জন্য একটি নির্দিষ্ট শর্ট কোড দেওয়া হবে। ফলে কেন্দ্রেও শর্টকোর্ড মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে টাইপ করে একটি নির্দিষ্ট নম্বরে পাঠিয়ে দিলেই সংশ্লিষ্ট ভোটকেন্দ্রের সর্বশেষ অবস্থা জানা যাবে।
যেমন, কখন ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে কিংবা শেষ হয়েছে। এছাড়া কেন্দ্র বন্ধ হলো কিনা অথবা ভোটের ফলাফল কি এসব বিষয় আগে নির্দিষ্ট কর্মকর্তারা ফোন করে মাঠ পর্যায় থেকে জেনে নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে রিপোর্ট করতেন। এ ব্যবস্থাটি কার্যকর হলে এসএমএস দিয়েই এই কাজ সম্পন্ন করা যাবে। এতে কাজে গতি আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। কেননা, মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তারা ভোটগ্রহণ বা ভোটগণনার প্রক্রিয়ায় ব্যাপক ব্যস্ত সময় পার করেন। ওই অবস্থায় বারবার ফোনকল এলে কাজে (ভোটগ্রহণ বা ভোটগণনার প্রক্রিয়ায়) বিঘ্ন ঘটে। অনেক সময় তড়িঘড়ির কারণে ভুল তথ্যও চলে আসে। মূলত এসব ত্রুটি এড়াতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি।
সম্প্রতি ইসি তার পরিকল্পনাটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকেও জানিয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে শিগগিরই এ ব্যবস্থাটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে ইসির সিস্টেম ম্যানেজার মো. রফিকুল হক বাংলানিউজকে বলেন, কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে এ ব্যবস্থায় ভাল ফল পাওয়া গেছে। তাই সামনের নির্বাচনেও ব্যবস্থা কার্যকর করার পরিকল্পনা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের।
বর্তমানে মোবাইলে এসএমএসে মাধ্যমে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রের তথ্য দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। এক্ষেত্রে নিজের জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বরটি মোবাইলের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট নম্বরে মেসেজ করে দিলেই ফিরতি মেসেজে সংশ্লিষ্ট ভোটারের ভোটার নম্বর ও কেন্দ্রের নাম জানিয়ে দেওয়া হয়।
ইসির সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, নির্বাচন প্রক্রিয়া স্মার্ট করার জন্য আমরা সকল পদক্ষেপই হাতে নিচ্ছি। প্রযুক্তির এ যুগে সকল ইতিবাচক দিককেই কাজে লাগাতে হবে। তবে মোবাইলে মেসেজের মাধ্যমে সব নির্বাচনের তথ্য পাওয়ার ব্যবস্থাটি চূড়ান্ত হয়নি। আগামী দিনের নির্বাচনগুলোতে এই ব্যবস্থা চালু করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৫২ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০১৭
ইইউডি/জেএম