ইসি সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ জানিয়েছেন ২৫ জুলাই থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হবে। এতে ৩৫ লাখ নতুন ভোটার অন্তর্ভূক্তির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সংস্থাটির কর্মপরিকল্পনা থেকে জানা গেছে, দুর্গম এলাকায় ভোটার তালিকা হালনাগাদ করতে বিশেষ কমিটি গঠন করা হবে। এছাড়া রোহিঙ্গা বা বিদেশিরা যাতে অন্তর্ভূক্ত হতে না পারে সে বিষয়েও তৎপরতা বাড়ানো হবে। কিন্তু নারী ভোটার বাড়ানোর বিষয়ে কোনো পরিকল্পনা নেই।
কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন বিগত নির্বাচন কমিশনের শেষ সময়ও নারী ভোটার কম ছিল। সে সময় এর কারণ খুঁজে বের করতে ইসি জেলায় জেলায় কমিটি গঠন করেছিল। সেই কমিটিগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেশ কিছু কারণে নারীরা ভোটার হতে চান না। এগুলোর মধ্যে রয়েছে-ধর্মীয় অনুশাসন, বিয়ে সংক্রান্ত কারণে ভোটার স্থানান্তরের বিড়ম্বনা, রেজিস্ট্রেশন কেন্দ্রে যেতে অনীহা ও ব্যাপক প্রচারের অভাব।
এই প্রতিবেদন থাকা সত্ত্বেও কেএম নুরুল হুদার বর্তমান কমিশন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তাই ইসির উপ-সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তারা বলছেন এবারও নারী ভোটার কম হবে।
কর্মকর্তাদের মতে, নারী ভোটার বাড়াতে আগের কমিশনের প্রতিবেদনটিকে আমলে নিয়ে কার্যক্রম চালাতে হবে। এক্ষেত্রে মসজিদের ইমামদের কাজে লাগানো যেতে পারে। এছাড়া ব্যাপক গণসচেতনতা সৃষ্টির উদ্যোগ নিতে হবে। অন্যদিকে, স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমেও নারী ভোটার বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন।
সর্বশেষ ২০১৬ সালের হালনাগাদ কার্যক্রমে নারীর চেয়ে পুরুষ ভোটার অন্তর্ভূক্তির হার ৯ শতাংশের মতো বেশি ছিল। তবে দেশের মোট ভোটার সংখ্যার মধ্যে নারী ভোটার ৪৯ শতাংশ আর পুরুষ ভোটার ৫১ শতাংশ। কিন্তু আদমশুমারির প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশে পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা বেশি।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৩২ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৭
ইইউডি/এসকে/এসআই