তারই অংশ হিসেবে বুধবার (৩০ আগস্ট) বাংলাদেশ বিল্পবী ওয়ার্কার্স পার্টির (কোদাল প্রতীক) সঙ্গে সংলাপে বসেছে সংস্থাটি। বিকেলে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির জাগপা’র (হুক্কা প্রতীক) সঙ্গে সংলাপে অনুষ্ঠিত হবে।
ইসির জনসংযোগ পরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, নিবন্ধিত ৪০টি দলের মধ্যে ইতিমধ্যে ২০ দলের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে তিনটি দলের সঙ্গে সংলাপ অনুষ্ঠিতও হয়েছে।
বুধবার (৩০ আগস্ট) ইসির সভাকক্ষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুর হুদার সভাপতিত্বে সংলাপে দলটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকে নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নিয়েছে। এতে অন্যদের মধ্যে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদসহ সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত আছেন।
আসাদুজ্জামান আরো জানিয়েছেন, ঈদের পর ১০ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টায় বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট (মোমবাতি), বিকেল ৩টায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ (হাতপাখা), ১২ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টায় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস (রিকশা),বিকেল ৩টায় ইসলামী ঐক্যজোট (মিনার) এবং ১৪ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টায় বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি (হাতঘড়ি) এবং বিকেল ৩টায় ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ (চেয়ার) এর সঙ্গে সংলাপে বসবে নির্বাচন কমিশন।
এছাড়া ১৭ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টায় ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন (চাবি), বিকেল ৩টায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টিকে (কাঁঠাল) ডেকেছে নির্বাচন কমিশন। ১৮ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টায় বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ (গাভী), বিকেল ৩টায় প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল-পিডিপিকে (বাঘ) সময় দিয়েছে সংস্থাটি। ২০ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টায় গণফ্রন্ট (মাছ), বিকেল ৩টায় গণফোরাম (উদীয়মান সূর্য) এবং ২১ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টায় জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ (খেজুর গাছ) এবং বিকেল ৩টায় ন্যাশনাল পিপলস পার্টিকে-এনপিপিকে (আম) ডেকেছে নির্বাচন কমিশন।
গত ৩১ জুলাই সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এবং ১৬ ও ১৭ আগস্ট গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপে বসেছিলো ইসি। এরপর গত ২৪ আগস্ট থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করে নির্বাচন কমিশন। ওইদিন বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট (মুক্তিজোট) এর সঙ্গে সংলাপ করার সময়সূচি ছিলো। কিন্তু বন্যায় ত্রাণ দেওয়ার কথা বলে সংলাপে আসেনি বিএনএফ।
২৮ আগস্ট (সোমবার) সকালে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ-বিএমএল ও বিকেলে খেলাফত মজলিশের সঙ্গে সংলাপ করে ইসি।
সংলাপে এ পর্যন্ত কয়েক ডজন সুপারিশ এসেছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে- সেনা মোতায়েন, না ভোটের প্রবর্তন, প্রবাসে ভোটারধিকার প্রয়োগ, জাতীয় পরিষদ গঠন, নির্বাচনের সময় সংসদ ভেঙ্গে দেওয়া, রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার ও নির্বাচনকালীন সময়ে ইসির অধীনে জনপ্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওপর নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৩ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০১৭
ইইউডি/জিপি