ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেনের মৃত্যুবার্ষিকীতে নানা আয়োজন

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০২২
চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেনের মৃত্যুবার্ষিকীতে নানা আয়োজন আমজাদ হোসেন

ঢাকাই চলচ্চিত্রের অন্যতম গুণী নির্মাতা ও অভিনেতা আমজাদ হোসেন। তার পরিচয় এটুকুতে সীমাবদ্ধ নয়।

তিনি গীতিকার ও চিত্রনাট্যকার এবং লেখক হিসেবেও ছড়িয়েছেন দ্যুতি। সমৃদ্ধ করেছেন দেশের সংস্কৃতিকে।

বরেণ্য এই চলচ্চিত্রকার ২০১৮ সালের ১৪ ডিসেম্বর না ফেরার দেশে চলে গেছেন। বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) তার চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী।  

এ উপলক্ষে তাকে স্মরণ করে তার নিজ জন্মভূমি জামালপুরে এক শোক র‌্যালির আয়োজন করা হয়েছে। আমজাদ হোসেন চর্চা কেন্দ্র, জামালপুরের উদীচী, খেলাঘরসহ মোট ৭৪টি সংগঠনের অংশগ্রহণে এ শোক র‌্যালি সকাল ১০টায় জামালপুর বকুলতলা মোড় থেকে শুরু হয়ে পৌর কবরস্থানে গিয়ে শেষ হবে।

এ সময় শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের মাধ্যমে আমজাদ হোসেনের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও জামালপুরের সর্বস্তরের মানুষ। দিনব্যাপী কোরানখানি, বাদ আসর মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে এসব সংগঠনের পক্ষ থেকে।  

এছাড়াও এদিন আমজাদ হোসেনের সারা বজীনের কর্মস্থল এফডিসিতে চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির উদ্যোগে আমজাদ হোসেন স্মরণ সভা, মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।  

বরেণ্য এই চলচ্চিত্রকার স্মরণে এ শোক র‌্যালিতে নেতৃত্ব দেবেন আমজাদ হোসেনের বড় ছেলে অভিনেতা-নির্মাতা সাজ্জাদ হোসেন দোদুল।

জামালপুর ছাড়াও এদিন রাজধানীর শ্যামলী দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় শিল্পকলা একাডেমিতে আমজাদ হোসেন স্মরণে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হবে।  

উল্লেখ্য, চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেন ১৯৬১ সালে ‘তোমার আমার’ চলচ্চিত্রে অভিনয় দিয়ে চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার শুরু করেন। পরে তিনি চিত্রনাট্য রচনা ও পরিচালনায় মনোনিবেশ করেন এবং চলচ্চিত্র পরিচালনা করে খ্যাতি অর্জন করেন।  

তার পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘আগুন নিয়ে খেলা’ (১৯৬৭)। পরে তিনি ‘নয়নমনি’ (১৯৭৬), ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ (১৯৭৮), ‘ভাত দে’ (১৯৮৪) চলচ্চিত্রের মাধ্যমে প্রশংসিত হন। এছাড়াও ‘সুন্দরী’, ‘জন্ম থেকে জ্বলছি’ ও ‘কসাই’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে দর্শক হৃদয়ে স্থায়ী জায়গা করে নেন।  

আমজাদ হোসেন তার বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে ১২বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেছেন। এছাড়া ছয়বার বাচসাস পুরস্কার পেয়েছন। পেয়েছেন সম্মানজনক একুশে পদক ও বাংলা একাডেমি পুরস্কারও। এছাড়া সাহিত্য রচনার জন্য দুইবার অগ্রণী শিশু সাহিত্য পুরস্কারসহ একাধিক পুরস্কার লাভ করেন তিনি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০২২
এনএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।