নাট্যব্যক্তিত্ব ও বীর মুক্তিযোদ্ধা খালেকুজ্জামান। এ পর্যন্ত তিন শতাধিক নাটকে অভিনয় করে দর্শক মনজয় করেছেন তিনি।
সোমবার (০২ জানুয়ারি) এই অভিনেতার জন্মদিন ছিল। এই গুণী শিল্পীর জন্ম ১৯৫০ সালে। সেই হিসেবে সোমবার জীবনের ৭৩ বসন্তে পা রেখেছেন তিনি।
জীবনেই এই পর্যায়ে এসে দর্শক, ভক্ত ও দেশের মানুষের কাছে আগামী দিনের কর্মের সাফল্য ও দীর্ঘায়ু কামনায় দোয়া চেয়েছেন তিনি।
খালেকুজ্জামানের জন্ম শান্তাহারে। বাবা ডা. শামসুজ্জামান ছিলেন ব্রিটিশ রেলওয়ের মেডিক্যাল অফিসার। মা শায়েস্তা আক্তার জামান ছিলেন গৃহিনী।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্য ও চারুকলা বিভাগের প্রথম মাস্টার্স ডিগ্রীধারীদের একজন খালেকুজ্জামান। ১৯৭৫ সালে বিটিভির তালিকাভুক্ত শিল্পী হন তিনি। তার আগে স্কুল কলেজ জীবনের তিনি অসংখ্য মঞ্চ নাটকে অভিনয় করেন।
বিটিভিতে তিনি প্রথম নওয়াজেশ আলী খানের প্রযোজনায় ‘সর্পভ্রমে রজ্জু’ নাটকে অভিনয় করেন। এরপর তিনি ধারাবাহিক নাটক ‘তমা’, ‘বড় বাড়ি’, ‘সময় অসময়’, ‘সুবর্ণ সময়’সহ বহু নাটকে অভিনয় করে প্রশংসিত হন।
তার অভিনয়ের অনুপ্রেরণা প্রয়াত বরেণ্য অভিনেতা গোলাম মুস্তাফা। কিন্তু তার সঙ্গে একই ফ্রেমে অভিনয় না করতে পারার দুঃখবোধটা রয়েই যাবে আজীবন। আবার জাতীয় অধ্যাপক কবির চৌধুরী তার অভিনয়ের প্রশংসা করতেন এটাই যেন অনেক বড় প্রাপ্তি তার অভিনয় জীবনের। অভিনয়ে অন্তঃপ্রাণ খালেকুজ্জামানের নেশা এবং পেশা অভিনয়।
নাটকের বাইরে অর্ধশতাধিক চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন খালেকুজ্জামান। নায়ক রাজ রাজ্জাক ও কবরীর সঙ্গে ‘অনিবার্ণ’ চলচ্চিত্রে প্রথম অভিনয় করেন। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে- ছুঁয়ে দিলে মন, বৃহন্নলা, তুমি রবে নীরবে, দেবী, মিশন এক্সট্রিম ইত্যাদি।
ছাত্রজীবন থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করে আসছেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে তিনি বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্সের সদস্য হিসেবে সম্মুখ কাতারের একজন যুদ্ধ ও সংগঠক ছিলেন। সততা, নিষ্ঠা ও নির্লোভ ছিলেন বলে বঙ্গবন্ধুর স্নেহ ও ভালোবাসা লাভ করতে সক্ষম হন তিনি।
ব্যক্তিজীবনে কণ্ঠশিল্পী সুলতানা মমতাজ তার সহধর্মিণী। তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক।
বাংলাদেশ সময়: ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০২৩
এনএটি