ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

বাজুস ফেয়ার-২০২৩

জনপ্রিয় অভিনেত্রীদের গহনা ভাবনা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৩
জনপ্রিয় অভিনেত্রীদের গহনা ভাবনা ‘সেলিব্রেটিদের গহনা ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে অভিনেত্রীরা / ছবি: রাজীন চৌধুরী

বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো বাজুস ফেয়ার-২০২৩ শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার (আইসিসিবি) নবরাত্রি হলে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী এ মেলা।

এ আয়োজনের প্রথমদিনে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় সেখানে ‘সেলিব্রেটিদের গহনা ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে দেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রীরা গহনা নিয়ে তাদের ভাবনা তুলে ধরেন।  

‘সেলিব্রেটিদের গহনা ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, কালের কণ্ঠের প্রধান সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন।  

বাজুসের সাবেক সভাপতি ডা. দিলীপ কুমার রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। বাজুসের উপদেষ্টা রুহুল আমিন রাসেলের সঞ্চালনায় এ সেমিনারে বাজুসের পাবলিকেশনের মোড়ক উন্মোচনে অংশ নেন উপস্থিত ব্যক্তিরা।  

শোবিজ অঙ্গণের জনপ্রিয় তারকাদের মধ্যে এ সময় উপস্থিত ছিলেন মেহের আফরোজ শাওন, অপু বিশ্বাস, পিয়া জান্নাতুল, নিপুণ আক্তার, জাহারা মিতু, জ্যোতিকা জ্যোতি, সাবরিনা সুলতানা কেয়া, সোমনুর কোনাল, ইয়ামিন হক ববি, বর্ষা ও বারিষ হক।  

এরপর বাজুসের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হয়। সেমিনারের মূল অংশের উপস্থাপনা করেন বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ও কালের কণ্ঠের প্রধান সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন। তিনি অভিনেত্রী-কণ্ঠশিল্পী মেহের আফরোজ শাওনকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করতে আমন্ত্রণ জানান।  

এ সময় শাওন বলেন, প্রথমেই বলে রাখি, গহনা নিয়ে যে চিন্তা নারীদের থাকে, তা আমার নেই। তবুও বাঙালী নারী হিসেবে গহনার গুরুত্ব তো আছেই। এখানে এসে বাজুসের মূল কর্মকাণ্ড নিয়ে জেনেছি। আসলে স্বর্ণের গহনা নিয়েই বাজুস মেলা। আমার কাছে স্বর্ণের গহনা একটা ঐতিহ্যের বিষয়। এক সময় বিশেষ উপলক্ষ অর্থাৎ বিয়ের সময় স্বর্ণের অলংকারের প্রচলন ছিল। জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবেই তখনকার সময়ে নারীরা স্বর্ণের অলংকার ব্যবহার করতেন। সময় পাল্টেছে, এখন স্বর্ণলংকার শখের অনুষঙ্গ। সৌন্দর্যের প্রতীক। আমার কাছে এ বিষয়টা কিন্তু ভিন্ন। আমি মনে করি, আমার গহনা আমার সৌন্দর্য, আমার রুচিবোধ, আমার ব্যক্তিত্ব, আমার নৈতিকতা। তবে বাজুস মেলা আমার কাছে অসাধারণ উদ্যোগ মনে হয়েছে। বাংলাদেশে তৈরি গহনা মানে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ নামাঙ্কিত গহনা বিশ্ব দরবারে দেখবো-সেটা সম্মানের।

অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস সেলিব্রেটিদের গহনা ভাবনা নিয়ে বলেন, আমার কাছে সেলিব্রেটি থেকে নারীদের গহনা ভাবনা বেশি প্রযোজ্য। সন্তান জন্মের পর স্বর্ণের জিনিস উপহার দেওয়া হয়। কিংবা সন্তানের পরীক্ষায় পাশের পরও তাকে যে কোনো স্বর্ণের অলংকার দেওয়া হয়। তবে স্বর্ণের অলংকার একটা ঐতিহ্য ও স্মৃতি বহন করে। ছেলেদের থেকে মেয়েরাই মূলত গহনা বেশি পছন্দ করেন। যাই হোক, আমি বাজুস মেলার সার্বিক সফলতা কামনা করছি।

ইয়ামিন হক ববি বলেন, গহনা মানেই নারী। নারীকে অলংকার ছাড়া ভাবাই যায় না। নারীকে অলংকার থেকে আলাদা করা যায় না।  

নিপুণ বলেন, আমি দুই বছর ধরে বাজুস মেলা দেখছি। সৌন্দর্যের ওপরে নির্ভর করেই তো জুয়েলারি বিক্রি হয়। তাই জুয়েলারি সেল করা খুব সহজও নয়। সামনে বাজুস ফেয়ার আরও বড় পরিসরে হোক সেই কামনা করছি।

এদিকে সেলিব্রেটি গহনা ভাবনা নিয়ে জ্যোতিকা জ্যোতি বলেন, সিনেমার চরিত্র যখন করি তখন গহনা পড়তে হয়। তাই যদি বাজুস বা জুয়েলারি শিল্প সিনেমা স্পন্সরে এগিয়ে আসে তবে ভালো একটা বিষয় হবে।

কেয়া বলেন, গহনা পড়তে আমার খুবই ভালো লাগে। স্বর্ণ তো আরও ভালো লাগে। আমি বাজুস ফেয়ারের সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি।

এ সেমিনারে সেলিব্রেটিদের গহনা ভাবনা নিয়ে আরও মতামত দেন মডেল ও অভিনেত্রী পিয়া জান্নাতুল, জাহারা মিতু, সোমনুর কোনাল, বর্ষা, বারিষ হকসহ অনেকেই।

এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে বাজুস ফেয়ার-২০২৩ এর উদ্বোধন করেন বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক সাবরিনা সোবহানসহ বাজুস নেতারা।  

বাজুস ফেয়ার-২০২৩ আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত পর্যন্ত চলবে। প্রবেশ টিকিটের মূল্য জনপ্রতি ১০০ টাকা। তবে পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের টিকিট লাগবে না।  

এছাড়া বাজুস ফেয়ারে ক্রেতাদের জন্য র‌্যাফেল ড্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ক্রেতারা যে প্রতিষ্ঠানের অলঙ্কার কিনবেন, সেই প্রতিষ্ঠান থেকেই র‌্যাফেল ড্রয়ের কুপন সংগ্রহ করবেন। এছাড়া জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রেতাদের মনোযোগ আকর্ষণে বিশেষ অফার দিচ্ছে। এবার বাজুস ফেয়ারে আটটি প্যাভিলিয়ন, ১২টি মিনি প্যাভিলিয়ন ও ৩০টি স্টলে দেশের ঐতিহ্যবাহী ৫০টি জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৩
এনএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।