ঢাকা, বুধবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

তিশা-ফারুকী অভিনীত প্রথম সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে ৩০ নভেম্বর

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০২৩
তিশা-ফারুকী অভিনীত প্রথম সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে ৩০ নভেম্বর নুসরাত ইমরোজ তিশা-মোস্তফা সরয়ার ফারুকী

‘‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’ ইলহাম হওয়ার পর আমার প্রথম কাজ। রাইটার হিসেবে আমার প্রথম লেখা।

ইলহামের প্রথম মিউজিক ভিডিও, একজন ডিরেক্টর ফারুকীর প্রথম অভিনয়- এই ফিল্মে অনেক কিছুই প্রথমবার ঘটেছে। আর যে কোনো প্রথম বিষয় মানুষের জীবনে অনেক স্পেশাল। তাই ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’ আমার জন্য অনেক স্পেশাল। ’’ কথাগুলো বলছিলেন অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা।

চরকিতে ‘মিনিস্ট্রি অব লাভ’ প্রজেক্টে জনপ্রিয় ১২ জন নির্মাতা ভালোবাসার গল্প নিয়ে ১২টি ফিল্ম বানাচ্ছেন। এই পুরো প্রজেক্টের সার্বিক তত্ত্বাবধানে আছেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তিনি নিজে নির্মাণ করেছেন দুটি সিনেমা ‘অটোবায়োগ্রাফি’ ও ‘মনোগামী’।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) রাত ৮টায় মুক্তি পাবে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’।

তিশার কথাতেই উঠে এসেছে সিনেমাটিতে অনেকগুলো প্রথমের স্বমনয় ঘটেছে। এই অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘এই সিনেমা নিয়ে যদি আরও কিছু বলতে হয় তাহলে আমি ছোট্ট করে বলবো এই সিনেমাটা হচ্ছে সকল সন্তানের প্রতি তার মা বাবার অনুভূতির উপহার। ’

পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী সিনেমায় প্রথমাবার অভিনয় করেছেন। তিনি বলেন, ‘অনেক দিন তো কাজ করছি। কখনো ভাবি নাই অভিনয় করবো। সেটাও করা হয়ে গেলো। ফলে এক ধরনের সংকোচ ভাবতো আছেই। একই সঙ্গে উত্তেজনাও কাজ করছে। নিজেদের জীবন ছেঁনে গল্প বের করার মধ্যে একটা ভালনারেবিলিটি আছে। কিন্তু হৃদয় খুঁড়ে বেদনা বের করে আনাইতো শিল্পীর কাজ। ’

ফারুকী আরও বলেনে, ‘নিজের সময়টার সাক্ষী হওয়া ছাড়া আমাদের আর কিই বা করার আছে। আমরা এখানে সেটাই করার চেষ্টা করেছি। বাবা মা হিসাবে আমরা বিশেষ কেউ না। সব বাবা-মায়ের গল্পই এক। সন্তানের জন্য সব বাবা মায়েরই স্পেশাল ত্যাগের গল্প আছে, আনন্দের গল্প আছে, বিব্রতকর গল্প আছে, এই সিনেমাটা যদি তাদের সেই সব অনুভুতির কথা মনে করিয়ে দেয় তাহলেই আমরা খুশি হবো। ’

‘অটোবায়োগ্রাফি’র সিনেমাটোগ্রাফি করেছেন তাহসিন রহমান, সম্পাদনার কাজটি করেছেন মোমিন বিশ্বাস। কালার গ্রেডিংয়ে ছিলেন দেবজ্যোতি ঘোষ। সাউন্ড ডিজাইনে ছিলেন রিপন নাথ ও ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর করেছেন পাভেন আরিন। আর্ট ডিরেকশন দিয়েছেন শিহাব নুরুন নবী।  

সিনেমার শিল্পীদের ক্যামেরায় অনন্য ও বাস্তবরূপে করে তুলেছিলেন দুই নারী। তারা হলেন-মেকআপের আতিয়া রহমান ও কস্টিউম ইদিলা ফরিদ তুরিন।

ফারুকী ও তিশার সঙ্গে এই সিনেমায় অভিনয় করেছেন ইরেশ যাকের, ডলি জহুর, শরাফ আহমেদ জীবনসহ আরও অনেকে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০২৩
এনএটি 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।