ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

একই দিনে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশে ‘ডেসপিকেবল মি ফোর’

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২০ ঘণ্টা, জুলাই ২, ২০২৪
একই দিনে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশে ‘ডেসপিকেবল মি ফোর’

অ্যানিমেটেড কমেডি সিনেমা ‘ডেসপিকেবল মি’ সারা বিশ্বের দর্শকদের কাছে দারুণ প্রিয়। ২০১০ সালে সিরিজের প্রথম সিনেমা মুক্তি পায়।

২০১৩-তে দ্বিতীয় কিস্তি এবং তৃতীয় কিস্তি মুক্তি পায় ২০১৭ সালে। সবগুলোই ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করে।

ভক্তদের জন্য সুখবর হলো, পর্দায় আসছে এই সিরিজের চতুর্থ সিনেমা ‘ডেসপিকেবল মি ফোর’। বুধবার (৩ জুলাই) যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মুক্তি পেতে যাচ্ছে এটি। একই দিনে বাংলাদেশের স্টার সিনেপ্লেক্সেও মুক্তি পাবে কাঙ্খিত এই সিনেমা।  

ইউনিভার্সেল পিকচার্সের পরিবেশনায় এটি পরিচালনা করেছেন ক্রিস রেনড। গ্রু-এর কণ্ঠ দিয়েছেন স্টিভ ক্যারেল। এছাড়াও বিভিন্ন চরিত্রে কণ্ঠ দিয়েছেন ক্রিস্টেন উইগ, মিরান্ডা কসগ্রোভ, স্টিভ কুগান, ক্রিস রিনাউড, ডানা গাইয়ের এবং পিয়েরে কফিন।

ইতোমধ্যেই মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটির ট্রেলার। মুক্তির দ্বিতীয় দিনেই ইউনিভার্সেল পিকচার্সের ইউটিউব চ্যানেলে যা দেড় মিলিয়নের মতো দর্শক দেখে ফেলেছে।

আগের সিনেমাতে দেখা গিয়েছিল, ভিলেনগিরি ছেড়ে দিয়ে তিনজন পালক মেয়ে এবং স্ত্রীর সঙ্গে সুখে দিন কাটাচ্ছে গ্রু। এন্টি ভিলেন লিগে একটি চাকরিও জুটিয়ে নিয়েছে সে। স্বামী-স্ত্রী একসাথে মিলে অন্যান্য ক্ষতিকর ভিলেনদের প্রতিরোধ করার মিশনে নামে মাঝে মাঝে। স্বামী গ্রু এবং স্ত্রী লুসির একত্রিত কোড নাম দেওয়া যায় গ্রুসি।

এখানে ব্র্যাট নামে নতুন এক সুপারভিলেনের আগমন ঘটে। ছোটবেলায় সে হলিউডের একটি টিভিতে সুপারভিলেন হিসেবে অভিনয় করতো। সে ঐ চরিত্রের সঙ্গে নিজেকে মিলিয়ে ফেলেছিল। কিন্তু একসময় এই অনুষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়, লোকজন ভুলে যেতে থাকে তাকে।

এই ঘটনাকে অপমান হিসেবে গ্রহণ করে সে এবং প্ল্যান করতে থাকে একদিন টিভির সেই ভিলেন রূপ নেবে বাস্তবে। আর তখন প্রতিশোধ হিসেবে পুরো হলিউডকে ভূমি থেকে উপড়ে নিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হবে মহাশূন্যে। পরিকল্পনা অনুযায়ী সে কাজও করতে থাকে, এমন সব প্রযুক্তি সে তৈরি করে, যা দিয়ে এসব করা সম্ভব। এমন অবস্থায় তার সাহায্য দরকার গ্রু পরিবারের।

এ কিস্তিতে দেখা যাবে কিছু নতুন মুখ। তার মাঝে গ্রু ও লুসির শিশুপুত্র গ্রু জুনিয়র অন্যতম। এবারের গল্পে দেখা যাবে, ১৯৮৫ সালের প্রাক্তন ছাত্রদের মধ্যে সেরা ছাত্রের পুরস্কারটি ম্যাক্সিম লে মালকে দেওয়া হয়, যিনি নিজেকে তেলাপোকার দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দিয়ে সজ্জিত করেছেন। কিন্তু গ্রু এবং অ্যান্টি-ভিলেন লিগ (এভিএল) এজেন্টরা অনুষ্ঠানের শেষে তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।

জেল থেকে পালানোর পর, সে এবং তার বান্ধবী ভ্যালেন্টিনা তার শিশুপুত্র গ্রু জুনিয়রসহ গ্রু এবং তার পরিবারের প্রতি প্রতিশোধ নিতে চায়। এভিএল তাদের সুরক্ষার জন্য পুরো পরিবারকে নতুন পরিচয়ে, মাত্র তিনজন মিনিয়নসহ স্থানান্তরিত করে। বাকি মিনিয়ন্স এভিএল সদর দফতরে স্থানান্তরিত হয়। সেখানে তাদের মধ্যে ৫টি সুপার-পাওয়ার দেওয়া হয়।

কিন্তু এই মেগা-মিনিয়নদের সুপার-হিরো হিসেবে সংক্ষিপ্ত ক্যারিয়ার ফ্লপ। তাদের নতুন সচ্ছল আবাসিক শহরে গ্রু এবং তার পরিবার তাদের নতুন প্রতিবেশী, প্রেসকটস এবং তাদের কিশোরী কন্যা পপির সঙ্গে দেখা করে। পরেরটি গ্রুকে চিনতে পারে এবং তাকে একটি ডাকাতির জন্য ব্ল্যাকমেইল করে।

গ্রু এবং গ্রু জুনিয়র এবং তিন মিনিয়ন এই মিশনে পপির সঙ্গে মিত্র। তারা সবাই লেনির সঙ্গে বাড়ি যায়, কিন্তু ব্যাজারের কলারে একটি ট্র্যাকার রয়েছে। ম্যাক্সিমকে এইভাবে গ্রু এবং তার পরিবারের গোপন অবস্থান সম্পর্কে অবহিত করা হয় এবং গ্রু জুনিয়রকে তার উড়ন্ত তেলাপোকা জাহাজে অপহরণ করে। গ্রু অবশেষে পপির সাহায্যে তাকে বাঁচায়।

বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০২৪
এনএটি 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।