কিছু কিছু বউ আছে যারা অন্যের ওপর ছড়ি ঘুরাতে পছন্দ করে। তেমনি প্রেক্ষাপটের এক নববধূ মায়া শ্বশুর বাড়িতে যাওয়ার পর থেকেই শ্বশুর-শাশুড়ি এমনকি আপন স্বামী-সঙ্গী আদিলের সঙ্গেও নির্মম-অত্যাচার করে বেড়ায়।
বউয়ের কথায় রাগ না করে উল্টো বউকে বুঝায়, বউয়ের সেবা-যত্ন করে। আদিলও তাকে বুঝায়, কিন্তু কোনো লাভ হয় না। দিনে দিনে বউয়ের অত্যাচার আরও বেড়ে যায়। বৃদ্ধ বাবা-মাকে দিয়ে সংসারের সব কাজ করায়। কৃষি কাজ, গোয়াল ঘরের কাজ করায় অসুস্থ বাবাকে দিয়ে। ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে ছেলে। কিন্তু বউয়ের কাছে যেন অসহায়। তারপর কী হবে?
রাজীব মণি দাসের এমনি এক গল্পে নির্মিত হয়েছে নাটক ‘দজ্জাল বউ’। এটি পরিচালনা করেছেন নির্মাতা নাজনীন হাসান খান।
নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন আ.খ.ম. হাসান, রেজমিন সেতু, শফিক খান দিলু, রেশমা আহমেদ, ফরিদ হোসাইন, আফতাব উদ্দিন প্রমুখ।
এ প্রসঙ্গে নাট্যকার রাজীব মণি দাস বলেন, স্বাভাবিকভাবে বউয়ের অত্যাচারের বিপরীতে শ্বশুর-শাশুড়ি রাগ করার কথা, বউকে বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়ার কথা, কিন্তু আমরা এখানে দেখেছি- ছেলে এবং বউয়ের সুখের জন্য বাবা-মা-ই সরে যেতে চাইছে, তারপরও যেন ছেলে সুখে থাকে। কিন্তু ছেলে তাতে রাজী হয় না। আবার লোকলজ্জার ভয়ে জোরালোভাবে প্রতিবাদও করতে পারছে না। অর্থাৎ স্বভাবগত জীবনের বাইরের জীবন-দর্শনকেই পজিটিভভাবে এখানে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
নির্মাতা নাজনীন খান বলেন, নাটক হচ্ছে সমাজের আয়না। সেই আয়নায় আপনি নিজেকে যেভাবে দেখতে চাইবেন, সেইভাবেই দেখতে পারবেন। প্রয়োজন শুধু মন-মানসিকতার। আমি সব সময় চেষ্টা করি নিজস্ব স্বকীয়তা বজায় রেখে নাটক নির্মাণ করতে। যে নাটক আপনার আমার কথা বলবে, সমাজের কথা বলবে, বিনোদনের পাশাপাশি মূল্যবোধ শিখাবে।
নির্মাতা সূত্রে জানা যায়, ইতোমধ্যেই নাটকটির দৃশ্যধারণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। শিগগিরই এটি প্রচারে আসবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০২৪
এনএটি