জাতীয় গণমাধ্যমে কর্মরত বিনোদন সাংবাদিকদের সংগঠন কালচারাল জার্নালিস্টস ফোরাম অব বাংলাদেশের (সিজেএফবি) ২৩তম অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে শনিবার (২৮ ডিসেম্বর)। এদিন রাজধানীর ঢাকা শেরাটনের বলরুমে জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে দেশের বিভিন্ন অঙ্গনের তারকাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় সম্মাননা।
এদিন বাংলাদেশের মার্কেটিং জগতের সুপারস্টার হিসেবে পরিচিত সৈয়দ আলমগীরকে বিশেষ সম্মাননা দিয়েছে সিজেএফবি। তাকে বিজ্ঞাপন উদ্ভাবন (অ্যাডভাটাইজিং ইনোভেশন) হিসেবে বিশেষভাবে এই সম্মান প্রদান করা হয়।
একজীবনে দেশ বিদেশের বহু সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন সৈয়দ আলমগীর। সিজেএফবির এই সম্মাননা পেয়ে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে তিনি বলেন, সাংবাদিকরা এই পুরস্কার দিয়ে আমাকে সারপ্রাইজড করেছে। আমি ভীষণভাবে সম্মানিত হয়েছি, কারণ এর আগে টেলিভিশন কর্তৃক মার্কেটিং সুপারস্টার হিসেবে সম্মানিত করা হয়েছিল। কিন্তু এবার জার্নালিস্টরা অ্যাডভাটাইজিং ইনোভেশন হিসেবে সম্মান দিয়েছে। এজন্য ওয়ান্ডারফুল অনুভূতি কাজ করছে।
তিনি বলেন, জুরি বোর্ড থেকে আয়োজক আমাকে সম্মানিত করেছেন তাদেরকে অনেক ধন্যবাদ জানাই। সিজেএফবির আয়োজন অত্যন্ত চমৎকার ছিল। পূর্ণিমা এবং নাঈমের উপস্থাপনাও আমাকে মুগ্ধ করেছে। সিজেএফবি ভিডিও প্রমোতে আমার সম্পর্কে স্টাডি করে যে ভিডিও বানিয়েছিল সেটিও আমাকে সারপ্রাইজড করেছে।
সৈয়দ আলমগীর বাংলাদেশের টেলিভিশন বিজ্ঞাপন ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন দিগন্তের সূচনা করেন। তার প্রতিটি ভাবনা দেশের পাশাপাশি বিশ্বের কাছে সমাদৃত হয়েছে। পৃথিবীর একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে তার এসব কর্মযজ্ঞ নিয়ে গবেষণা হয়ে থাকে। এমনকি বিশ্বের মার্কেটিং জগতের তারকাদের মধ্যে তিনি অন্যতম নাম।
ফিলিপ কোটলারের লেখা ‘বিপননের নীতি’ পাঠ্য বইতে সৈয়দ আলমগীরের চিন্তা ও উদ্ভাবনী নিয়ে রয়েছে পৃথক অধ্যায়। এছাড়া ফিকশন কনটেন্টের প্রোডাক্ট প্লেসমেন্ট কীভাবে বিজ্ঞাপনকে আড়াল করে পণ্য উপস্থাপন করতে পারে সেই ধারণা তিনি শুরু করেছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০২৪
এনএটি