ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

মৌলবাদের বিরুদ্ধে উদীচীর যুগল অনুনাটক ১ জুন

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩১ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৫
মৌলবাদের বিরুদ্ধে উদীচীর যুগল অনুনাটক ১ জুন

মৌলবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ ও দৃপ্ত কণ্ঠে প্রতিরোধের ডাক দিয়ে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় নাটক বিভাগ আগামী ১ জুন পরিবেশন করবে নতুন দু’টি অনুনাটক “দাফন” ও “হত্যার শিল্পকলা”।  

 

জুন ১, ২০১৫ সোমবার বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর স্টুডিও থিয়েটার হলে সন্ধ্যা সাতটায় শুরু হবে এ যুগল অনুনাটকের প্রদর্শনী।

 

১৯৬৮ সালের ২৯ অক্টোবর প্রতিষ্ঠার পর থেকেই মৌলবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মের অপব্যবহার করে রাজনৈতিক ফায়দা লেটার বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছে উদীচী। একইসাথে একটি অসাম্প্রদায়িক, মৌলবাদমুক্ত এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী বাংলাদেশ গঠনে আত্মনিয়োজিত রয়েছেন উদীচী’র শিল্পী-কর্মীরা। এরই ধারাবাহিকতায় উদীচী কেন্দ্রীয় নাটক বিভাগ মঞ্চে আনে নতুন নাটক দু’টি।  

সন্ধ্যা সাতটায় উদীচী’র নাট্য কর্মীরা প্রথমে পরিবেশন করবেন নাটক “দাফন”। “দাফন” অনুনাটকের গল্প আবর্তিত হয়েছে খরায় পোড়া শস্যভূমির এক নিভৃত ক্লান্ত গ্রামে অনাকাঙ্খিত একটি মেয়ের লাশের সংবাদের মাধ্যমে একদল মানুষের ঠুনকো অনুভূতিতে ব্যাকুলতা তৈরি করাকে ঘিরে। মেয়েটির অস্বাভাবিক মৃত্যুকে গ্রামের অতি স্বাভাবিক এবং দোজখ গমণে শংকিত মানুষের কাছে কৌশলে কিংবা ক্ষমতার আচ্ছাদনে তুলে দেয়া হয় পাপপূণ্য পরিমাপক যন্ত্রে। যার ফলে, বাবা, স্নেহময়ী মা, প্রতিবেশীসহ যাদের নিবিড় মায়ার ঘেরাটোপে মেয়েটি কৈশোর পেরিয়ে যৌবনে পা ফেলেছিল, তাদের উপস্থিতিতে মুর্হূতেই সে তার পরিচয় হারিয়ে ফেলতে থাকে। এক পর্যায়ে হারিয়ে ফেলে শেষকৃত্য পাওয়ার সম্ভাবনাটুকুও। আর, তাই মেয়ের জানাজায় কিছু মানুষকে শরীক করতে চাওয়ার জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে বৃদ্ধ বাবার করুণ আর্তনাদও বৃথা যায়। টানটান উত্তেজনায় ভরপুর গল্পের নিখুঁত বুনন ও অভিনয় শিল্পীদের দক্ষ পরিবেশনা দর্শকরা মুগ্ধ হয়ে উপভোগ করেন নাটকটি। নাটকটি রচনা করেছেন হরিপদ দত্ত এবং এর নাট্যরূপ ও নির্দেশনা দিয়েছেন উদীচী’র নাটক বিভাগের কর্মী আইনুল ইসলাম অপু।  

“দাফন” নাটকের পর দশ মিনিটের বিরতি দিয়ে শুরু হবে দ্বিতীয় অনুনাটক “হত্যার শিল্পকলা”-এর পরিবেশনা। জঙ্গি ও সন্ত্রাসীরা কীভাবে নিজেদের হীন স্বার্থ চরিতার্থ করতে একজন মানুষকে নানাভাবে প্রলোভন দেখিয়ে ও প্রতারণা মাধ্যমে ধীরে ধীরে আত্মঘাতী জঙ্গিতে রূপান্তরিত করে তা নিয়েই রচিত হয়েছে এ নাটক। বর্তমান সময়ে ধর্মের নামে যেভাবে একদল সন্ত্রাসী একের পর এক নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে সেই প্রেক্ষাপটকে ঘিরেই তৈরি হয়েছে এ নাটক। তারা যে রাজনৈতিক বা মতাদর্শ বিশ্বাস করে তার সাথেই যেন জুড়ে দেয়া আছে হত্যার নীলনক্সা। এসব দিকভ্রান্ত মানুষ অন্ধ বিশ্বাসে নিজেই একের পর এক রচনা করতে থাকে হত্যার চিত্রনাট্য। ধর্ম কিংবা বিপ্লবের নামে এসব মানবঘাতী কর্মকাণ্ড বন্ধ করে মানুষকে ভালোবাসায় বেঁচে থাকার রসদ খুঁজে নেয়ার আহবান জানানো হয়েছে এই নাটকে। মলয় ভৌমিক রচিত নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছেন উদীচী’র নাটক বিভাগের কর্মী আসলাম অরণ্য।  

 

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৪ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৫

একেএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।